যেকোনো বিষয় নিয়ে মন্তব্য করা এবং বিতর্কে জড়ানো তার নাম বরাবর খবরের শিরোনাম। ২০২১ এর বঙ্গে বিজেপি ভরাডুবির পর এবার দলীয় শীর্ষ নেতাকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করলেন দলের বর্ষিয়ান নেতা তথাগত রায়(Tathagata Roy)। তার কটাক্ষের কারণ বিশেষত বিজেপির তারকা প্রার্থীদের হার। কি তাদের নির্বাচনের টিকিট দিয়েছেন এই প্রশ্ন তুলে টুইট করেছেন তিনি। তবে এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ, কৈলাশ বিজয়বর্গী, অরবিন্দ মেননদের নাম করে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন তথাগত রায়।

রবিবার বিধানসভা ভোটে বিপুল সংখ্যা নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য বাংলায় ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। বঙ্গ জয়ের টার্গেট নিয়ে হাজারো প্রচার স্ট্রেটেজি তৈরীর পরেও রীতিমতো হুমড়ি খেয়ে পড়ে‌ বিজেপি। বিশেষ করে কলকাতা এবং তথাকথিত শিক্ষিত হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় রুপালি পর্দার তারকা প্রার্থীদের দাঁড় করানো কৌশল কাজে আসেনি। প্রায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জনপ্রিয় প্রার্থীরা হারের মুখ দেখেছেন। বেহালা পূর্বে অভিনেত্রী পায়েল(Payel Sarkar) সরকার, বেহালা পশ্চিমে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় (Srabanti Chatterjee) এবং বরানগরে পার্নো মিত্র (Parno Mitra)। এদের শোচনীয় পরাজয় ঘটেছে। আর তার জন্য বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায় দায়ী করলেন দলীয় নেতৃত্ব কে। এমনকি এই তারকাদের 'নগরীর নটি' বলে চিহ্নিত করেছেন তিনি। লিখেছেন,''নগরের নটিরা' নির্বাচনের টাকা নিয়ে কেলি করে বেড়িয়েছেন আর মদন মিত্রর সঙ্গে নৌকা বিলাসে গিয়ে সেলফি তুলেছেন এবং হেরে ভূত হয়েছে।"


তথাগত রায় আরো প্রশ্ন তুলেছেন,"তাদেরকে টিকিট দিয়েছিল কে? কেনইবা দিয়েছিল? দিলীপ-কৈলাস- শিবপ্রকাশ-অরবিন্দু প্রভুরা একটু আলোকপাত করবেন কি?"তার এসব প্রশ্নের মধ্যে যে কতটা ঘৃণা লুকিয়ে, তাবিজ এপি শীর্ষ নেতৃত্ব চাক্ষুষ বুঝেছেন। তবে তারকা প্রার্থীদের 'নগরীর নটি' হিসেবে চিহ্নিত করা নিয়ে স্বভাবতই বিস্তর আপত্তি উঠেছে তারকা মহলে। তৈরি হয়েছে বিতর্কও। এর আগে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী সায়নী ঘোষ কে নিয়ে তথাগত রায় নানাবিধ আপত্তিকর মন্তব্য উভয়ের টুইট যুদ্ধ বেঁধেছিল। সেই বিতর্ক রেশ ছিল  বহু দিন। এবার তিনি দলীয় নেতৃত্বের ওপর ব্যর্থতার দায় চাপাতে গিয়ে ফের আরেক বিতর্ক উস্কে দিলেন।

অবশ্য এই টুইট নিয়ে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য,"আমরা অসম যুদ্ধে লড়াই করেছি। আজ পর্যন্ত রেকর্ড জিত আমরা জিতেছি, যেটা বাংলার কেউ কল্পনা করেনি। কেউ কল্পনার জগতে থাকতে পারেন। আমরা বাস্তবের লড়াই করছি।" রাহুল সিনহা বলেন,"এখন কর্মীদের পাশে থাকা দরকার। এটা প্রথম কাজ। হারের ময়নাতদন্ত পরে হবে ‌‌।
 

 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
আপনার মূল্যবান মতামত জানান কমেন্ট বক্সে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন