এখন শক্তি মাপার পালা, তাই মরিয়া বামেরা চেষ্টার কোনো ত্রুটিই রাখছেন। কিন্তু ঘুরে ফিরে সমর্থকদের মুখে একটাই প্রশ্ন, বুদ্ধবাবু কি আসতে পারেন? প্রত্যেকেই জানেন বুদ্ধবাবু অসুস্থ, দিন কয়েক আগেই জীবন-মরণ সংকট থেকে রক্ষা পেয়েছেন, তবুও যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ আশ, ও অন্তত একবার যদি তার বার্তা টুকু শোনা যায়।
সূত্রে খবর, বুদ্ধবাবু তিনি নিজেই ব্রিগেডে আসতে চান। কিন্তু বাধা দিচ্ছে তার শরীর। অবশ্য সেখানেও বিকল্প থাকছে।ভার্চুয়ালি তিনি কিছু বলতে পারেন কিনা সেটা কেউ নজর থাকছে বা নেতাকর্মীদের। সূত্রে খবর, থাকতে পারেন অডিও বার্তায়। সকলেই জানেন তার একটি বিবৃতি চাঙ্গা করে দিতে পারে নিচুতলার কর্মীদের। যদিও এ বিষয়ে কিছুই আগেভাগে বলতে নারাজ সিপিএম শিবির।
২০১৪ সালে ব্রিগেডে ১৮ মিনিট বক্তব্য রেখেছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্য।২০১৯ সালেও তাকে ব্রিগেডের মাঠে দেখা যায়। যদিও মঞ্চে উঠতে পারেননি।নাকি অক্সিজেন নল লাগানো অবস্থায় গাড়িতেই বসে থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন। কিন্তু সেই উপস্থিতির ফলেই অক্সিজেন নিয়ে ফিরেছিলেন বাম নেতা কর্মীরা। আজ রাজ্যের নির্বাচনে লড়াইয়ের মুখে আরও একবার বুদ্ধদেব বাবুর বার্তা শুনতে চায় সাধারণ মানুষ, তা যেভাবেই হোক। কিন্তু ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ এর কারনে ডিসেম্বরেই হাসপাতালে যেতে হয়েছে তাকে। জীবন সংকটে পড়ে ছাড়তে হয়েছে সাধের সিগারেট। এই অবস্থায় তার সুস্থতায় যে বাম নেতাকর্মীদের অন্যতম কামনা সে কথা বলাই বাহুল্য।
যদিও চমকের অভাব থাকছে না এবারের ব্রিগেডে। আসছে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। শোনা যাচ্ছে কংগ্রেস নাছোড় চেষ্টা করছে, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী অন্তত মঞ্চে রাখার। সেই চেষ্টা বাস্তবায়িত হয় কিনা তা দেখতে মরিয়া কোমরের সমর্থকরাও।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন