বাং
লায় রীতিমতো বেড়েই চলেছে কোরনা আক্রান্তের সংখ্যা। রাজ্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যখন প্রশ্নের মুখে, তখন উল্টো ছবি ধরা পরল কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। করোনা মুক্ত হওয়ার পর আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না এক বৃদ্ধা। ছাড়া পাবার সময় ডাক্তারের হাত ধরে রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়লেন। চোখ ভিজে গেল ডাক্তারেরও।

গতবছর যেটা ঘটেনি, সেটাই ঘটলো এবার। প্রথম এই রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ১০০ পেরিয়ে গেল। শনিবার রিপোর্ট, গত ২৪ ঘন্টায় প্রাণ হারিয়েছেন ১০৩ জন। নতুন করে সংক্রমনের কবলে পড়েছেন ১৭,৫০০ এরও বেশি মানুষ। অপরদিকে হাসপাতালে পর্যাপ্ত বেট নেই, ক্রমশ বাড়ছে অক্সিজেনের ঘাটতি ও। কিন্তু সবটাই কি নিরাশার? কলকাতা মেডিকেল কলেজে ঘটনাটি হয়তো নতুন করে আশার সঞ্চার করবে অনেকের মনেই।


বয়স্ক মহিলাটির নাম কল্পনা চক্রবর্তী। বয়েস ৭৫ । দিন দশেক আগে করোনা সংক্রামিত হয় ভর্তি হয়েছিলেন কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। রোগীর শারীরিক অবস্থা তখন রীতিমত সংকটজনক। সঙ্গে প্রবল শ্বাসকষ্ট। তবুও হাল ছাড়েননি হাসপাতালে তরুণী ডাক্তার অভিষিক্তা মল্লিক। আর তারই চেষ্টায় শেষমেষ বৃদ্ধা যখন সুস্থ হলেন, তখন তার কাছে এসে গল্প করে যেতেন তিনি। এভাবে কখন যে রোগী ডাক্তারের সম্পর্কটা বদলে গিয়েছিল তা টের পাননি কেউই।

োরনার সাঙ্গে টানা ১০ দিন লড়াই করে, এদিন কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে ছাড়া পেলেন কল্পনা চক্রবর্তী। পিপিই কিট পরিহিত ডাক্তার অভিশিক্তার হাত ধরে কাঁদতে দেখা গেল তাঁকে । চোঁখের কোণ জল চিকচিক করছিল ডাক্তারের ও। তিনি বললেন 'নিজেদের জীবন বিপন্ন করে করোনা আক্রান্তদের সুস্থ করার লড়াই চালাচ্ছে। দিনের শেষে এইটুকু ভালোবাসাই আমাদের পাওনা।' ভালোবাসার মুহূর্তটি বন্দি করে রাখলেন মুঠো ফোনের ক্যামেরায়।

 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
আপনার মূল্যবান মতামত জানান কমেন্ট বক্সে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন