ব্রিটিশ সরকারকে দেওয়ার পরও PNB  কাণ্ডে অভিযুক্ত নিরব মোদীকে এখনই দেশে ফেরাতে পারছিনা ভারত সরকার। তাই ঋণ প্রতারক ব্যবসায়ীর ভারতে ফেরার প্রক্রিয়া থমকে গেল। খানিকটা বিজয় মালিয়ার (Vijay Mallya)দেখানো পথে হেটে ভারতে যে নির্মাণ এবং বিচার ব্যবস্থার উপর অনাস্থা দেখিয়ে বৃটেনের হাইকোর্টে পাল্টা আবেদন জানিয়েছেন নীরব। তাঁর দাবি, ভারতে ফিরলেন তিনি উপযুক্ত বিচার পাবেন না। আর ভারতে জেলের যা মান, সেখানে তার পক্ষে থাকা সম্ভব নয়। এই চুক্তিতে প্রত্যর্পণের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ বানানোর অনুমতি চেয়েছেন তিনি। বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত যে দেশে ফেরানোর প্রশ্ন উঠছে না।


চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে নীরব মোদী কে দেশে ফেরার ব্যাপারে সাজিয়েছিল লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেটস কোর্ট। বিচারককে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, ভারতীয় বিচারব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িত এই ব্যবসায়ীকে। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির যথেষ্ট প্রমাণ ভারতে তদন্তকারী সংস্থা গুলির দেখিয়েছেন। আদালতের নির্দেশের পর থেকেই প্রত্যর্পণের ব্যাপারে বৃটেনের মুখ্যসচিবের অনুমতির অপেক্ষায় ছিল ভারত। গত ১৫ ই এপ্রিল বৃটেনের মুখ্য সচিব প্রীতি প্যাটেল (Priti Patel) নীরবকে ভারতে প্রত্যর্পণের চুক্তিতে সই করেন। তারপরই কোটি কোটি টাকার ঋণ প্রতারক অভিযুক্ত এই অলংকার ব্যবসায়ীকে প্রত্যর্পণের ব্যাপারে আশা  দেখিয়েছিল ভারত। কিন্তু নিরবের কালো টাকা আর কৌশলের জোরে সেই আশা আপাতত জলাঞ্জলি দিতে হচ্ছে।

শনিবার ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেটস কোর্টের রায় এবং ব্রিটেনের মুখ্য সচিব প্রীতি প্যাটেলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছেন নীরব মোদী। তাঁর দাবি, ভারতে প্রত্যর্পণ করা হলে তিনি সুবিচার পাবেন না। তিনি কারণ দেখিয়েছেন, সেদেশে তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র চলছে। তাছাড়া ভারতের তদন্তকারী সংস্থা গুলির কাছে তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রমাণ নেই বলেও দাবি করেছেন এই অলঙ্কার ব্যবসায়ী। ভারতে জেলের মান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। আপাতত বৃটেনের হাইকোর্টের বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত নীরবকে দেশে ফেরাতে পারবে না ভারত সরকার।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন