ইলেকশন কমিশন কথা শুনেনি। তাইতো জোর করে ভোটের ডিউটিতে পাঠানো হয়েছিল শিক্ষকদের। করোনা পরিস্থিতিতে চলে গিয়েছে বউ শিক্ষকের প্রাণ, তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত ভোটের গণনা বয়কটের ডাক দিল আরএসএসের শিক্ষক সংগঠন। আরো বেশ কয়েকটি সংগঠন ভোটগ্রহণে বয়কটের ডাক দিয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৬০ হাজার শিক্ষক রবিবার গণনার জন্য ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের যেতে আপত্তি জানিয়েছেন।
কোরনা পরিস্থিতি পঞ্চায়েত ভোটের আয়োজন নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়েছিল শিক্ষক সংগঠন গুলি। কিন্তু তা সত্বেও রাজ্যে নির্বাচন কমিশন তাতে আমল দেয়নি। প্রশাসনের তরফে একপ্রকার জোর করে শিক্ষকদের ভোটের ডিউটিতে পাঠানো হয়। শিক্ষক সংগঠনগুলোর দাবি, গত ১২ই এপ্রিল থেকেই রাজ্যের কোভিড (Covid-19)পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। সেই সময় নির্বাচন কমিশনের কাছে ভোট স্থগিত করার আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু শিক্ষক সংগঠনের সেই দাবি মানা হয়নি উল্টে শিক্ষকদের ভয় দেখানো হয়। তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও ভোটের ডিউটিতে যেতে বাধ্য হন শিক্ষকরা।
RSS অনুমোদিত শিক্ষক সংগঠনগুলি রাষ্ট্রীয় শিক্ষক মহাসঙ্ঘের ( Rastriya Shikshak Maha Sangh) দাবি, আমরা শিক্ষকদের প্রাণ বাঁচাতেই ভোটের গণনা বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের কাছে হাজার হাজার অনুরোধ আসছিল শিক্ষকদের তরফ থেকে। শিক্ষকরা ভীষণ ভয় পাচ্ছেন এই অতি মহামারীর কারণে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন মে মাসে করোনা চরম আকার নেবে। উত্তরপ্রদেশ শিক্ষক মহাসংঘের তরফে আবার দাবি করা হয়েছে,"সরকার আমাদের নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নয়। বরং ভোটের ডিউটি তে গিয়ে আমরা ৭০৬ জন শিক্ষক কে হারিয়েছি। সংখ্যাটা আরো বাড়তে পারে। সব বিবেচনা করে আমরা গণনা বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।" সংগঠনগুলোর দাবি, সব মিলিয়ে ৬০ হাজার শিক্ষক গণনা বয়কট করবেন। যা কমিশনের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।
আরও পড়ুন:ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তির তৈরি রুদ্র লাইট হেলিকপ্টারের দুই পাশে চারটি করে আটটি ‘হেলিনা’ সংযোজন করা
আপনার মূল্যবান মতামত জানান কমেন্ট বক্সে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন