অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সরানো চাঞ্চল্য। যদিও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ( Jagdeep Dhankhar) ও তার স্ত্রী সুদেশ ধনকড় নিরাপদে রয়েছেন বলে খবর। হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সামান্য। তা সত্ত্বেও এমন হাইসিকিউরিটি জোনে এই ধরনের ঘটনায় আতঙ্কিত কর্মীরা। কিভাবে লাগলে আগুন? তা খতিয়ে দেখছে দমকলের শীর্ষ আধিকারিকরা। প্রাথমিক অনুমানে শর্ট সার্কিট থেকে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ঘড়িতে তখন প্রায় সাড়ে পাঁচটা। শহর কলকাতার ঘুম ভেঙেছে সবে। এমনই সময় আচমকা বিপত্তি। রাজভবনের পিছনের দিকে কালো ধোঁয়া চোখে পড়ে ভবনের নিরাপত্তা রক্ষীদের। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তারা। সঙ্গে সঙ্গে দমকল কে খবর দেওয়া হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে দমকলের ছটি ইঞ্জিন রাজভবনে হাজির হয়। শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। দেখা যায় রাজভবনের তিন তলায় আগুন লেগেছে। সেখানে মজুদ ছিল বালিশ,তোষক। ফলে তুলোর সামগ্রীতে আগুন লাগায় দাও দাও করে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। আর তাতেই বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন নিরাপত্তারক্ষীরা।
এমনিতেই জরুরি পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে রাজভবনের মত উচ্চ নিরাপত্তা বলয় মোরা জায়গায় দমকলের একটি ইঞ্জিন সর্বদাই প্রস্তুত থাকে এই চত্বরে। মঙ্গলবার ভোরে আগুন লাগার ঘটনা নজরে আসতে তাই এই ইঞ্জিনটি প্রাথমিকভাবে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। কিন্তু আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় একটি ইঞ্জিন এর সাহায্যে তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই আরো ছটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে দেয়। আর আস্তে আস্তে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এতে কারো কোনো ক্ষতি হয়নি বলেই রাজভবন সূত্রে খবর। কিভাবে আগুন লাগলো তা বুঝতে তদন্তে দমকল বিভাগের আধিকারিকরা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। তবে শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে বলে প্রাথমিক অনুমান করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে রাজভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
আপনার মূল্যবান মতামত জানান কমেন্ট বক্সে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন