জ 22 Oct গতকাল ছিল 21 Oct সংবাদ এল FATF ঘোষনা করলো একদম সঠিক তুরস্ক ও FATF এর ধূসর তালিকা (grey list ) থাকবে পাকিস্তানের মত। এটি এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা তুরস্কের  অর্থনীতির জন্য। যখনি এই সংবাদ প্রকাশ পায় তুরস্কের যে কারেন্সি আছে লিরা (Turkish Lira) বিশাল পতন হয়েছে।



যদিও তুরস্কের সংবাদ মাধ্যমগুলো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এটাকে দেখাচ্ছে যে এদের যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আছে তাদের রেটের তারতম্য ঘটিয়েছে সেটাও একটা কারণ ঠিকই কিন্তু এই যে দুঃসংবাদ এসেছে এটি খুব বড় ভুমিকা পালন করেছে তুরস্কের কারেন্সির পতনের জন্য। এখন পাকিস্তানের সমস্যা এই জন্য বেড়ে যাবে কেননা একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ যেটি সবসময় পাকিস্তানকে FATF এর কাল তালিকা ( Blacklist ) থেকে বাঁচাতো সেই দেশও FATF এর কবলে । আসছে 1 থেকে 2 বছরের মধ্যে সম্ভাবনা প্রবল হবে যে কিছু সময়ের জন্য হতে পারে  পাকিস্তান, উত্তর করিয়া এবং ইরানের সাথে FATF এর কাল তালিকায় ও যেতে পারে । এটির সম্ভাবনা প্রবল । 

আর আপনি যদি কথা বলেন বিস্তারিত তাহলে FATF এবার পাঠিয়েছে 3 দেশকে ধূসর তালিকায়। এই দেশগুলো হল‌ জর্ডান, মালি এবং তুরস্ক। তুরস্ক এশিয়ান দেশ এবং মালি একটি আফ্রিকান দেশ‌ এবং স্থলবেষ্টিত দেশ যার রাজধানী বামকো। এদের সরকারের উপর আরোপ এটা লাগে যে এরা আতঙ্কবাদীদের সমর্থন করে সাধারণ ভাবে । Isis jihadis যে প্রভাব আছে এই‌ এলাকায় তাকে সমর্থন করে । যার জন্য আতঙ্কবাদীদের ফান্ডিং এর জন্য মালি (Mali) আজ FATF এর  ধূসর তালিকায় । 


তাছাড়াও যদি দেখ, তাহলে মালি দেশ সংবাদে এই‌ জন্য ও‌ ছিল কেননা বেশ কয়েক বছর পর, 7 বছর পর যে ব্রিটিশ সেনা‌ এবং‌ ফ্রান্স সেনা মোতায়েন আছে।এদের কাজই এটা যে ইসলামিক স্টেটের যে আতঙ্কবাদী আছে এদের কে নিয়ন্ত্রণ এ‌ রাখা । তাছাড়া এখানে ব্রিটিশ সেনা isis এর বহু আতঙ্কবাদীদের হত্যা করে । তছাড়া বহু বড় সড় একটি গুলির লড়াইও হয়েছিল । এমনিতেই মালি কিছুদিন ধরে সংবাদ শিরোনাম দেখা‌ যাচ্ছে। 

তাছাড়া আরও একটি দেশ হল জর্ডান। জর্ডান একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ দেশ। ইজরায়েলের কারণে বেশকিছু সময় সংবাদ শিরোনামে দেখা গেছে। জর্ডানের রাজধানী হচ্ছে আমান। আর এই দেশের উপরো আরপ আছে এই দেশ ইসলামিক স্টেটকে আর্থিক সাহায্য করছে।
 
তুরস্কের যে আরপ লেগেছে এটি খুবই গুরুতর, আর এটি কেউ ভাবতেই পারে নি যে এমন ধরনের আরপ লাগাবে তুরস্কের উপর । আপনি যদি FATF এর নথি দেখেন তবে ওখানে পরিস্কার লেখা আছে তুরস্ককে আমরা অন্তর্ভুক্ত করছি ধূসর  তালিকায়। দুটি কারনের জন্য । আপনি জেনে থাকবেন FATF শাস্তি প্রদান করে এক হল অর্থপাচার করার জন্য, কাল অর্থকে ভুল পথে সাদা করা। তাছাড়া আতঙ্কবাদী সংগঠনকে আর্থিক সাহায্য প্রদানের জন্য। তুরস্কের উপর দুটি আরপ লেগেছে । পাকিস্তানের মতো বলতে পারেন, সম্পূর্ণ কার্বন কপি। এখানে অর্থপাচার হয় খুবই বড় মাত্রায় তাছাড়াও FATF দুনিয়াকে চমকে দিয়েছে এটা বলে যে আতঙ্কবাদীদের ও বড় মাপের আর্থিক সাহায্য দিচ্ছে তুরস্ক। যেটা FATF হাতে আছে যার প্রমান তাদের কাছে যথাপোযুক্ত নথি আছে তুরস্ককে গ্রে লিস্টে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আর এমন যেসব আমেরিকার বিপক্ষে কাজ করা আতঙ্কবাদী সংগঠন আছে সিরিয়ার আসে পাশে, তুরস্ক তাদের আর্থিক সাহায্য প্রদান করছে। আর যার জন্য তুরস্কো FATF  এর লিস্টে প্রথম নাম তুলেছে।

এখন তুরস্কের জন্য দুঃখজনক কথা এটা পাকিস্তানের মতো এদের ওয়ার্ল্ড ব্যাংক থেকে, IMF থেকে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক তাছাড়া অন্য অন্য জায়গা থেকে লোন নিতে হয় তখন খুবই সমস্যা হবে । তুরস্ক কাল যদি তাদের বন্ড ও ইসু করে পয়সা তোলার জন্য তবুও সমস্যায় পড়তে হবে। এমনি এমনি‌ তাদের কারেন্সি পড়ছে না। তাদের স্টক মার্কেট আছে তাতেও ভেশ বড়সড় পতন ঘটছে । এখনতো এটাই লাগছে যে এরদোগান এর নীতির করণে এ দেশ‌ প্রচুর ভুগবে । আর পাকিস্তানের জন্য দুঃখজনক ব্যাপার এটা যে তুরস্কো সবসময় ভোট করে পাকিস্তানকে বাঁচিয়ে নিতো FATF এর কালো তালিকাভুক্ত হওয়া থেকে। যখনই ইন্ডিয়া, ইজরায়েল এবং ফ্রান্স চেষ্টা করেছে FATF এর কালো তালিকায় পাঠাবেন পাকিস্তানকে তখনই তুরস্ক, চায়না এবং কখনো কখনো মালয়েশিয়া ও পাকিস্তানকে ভোট দিয়ে বাঁচিয়ে নিতো। এখন তুরস্ক এই লিস্ট থেকে মুছে যাবে । 
 

যদি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা দেখ, তবে FATF এর যে সিদ্ধান্ত ‌‌‌এটির সব থেকে বড় প্রভাব পড়বে তূ্রস্কের নির্বাচনে । জেনে থাকবেন তুরস্কের যে সাধারণ নির্বাচন হবে সেটি হবে 2023 এ । এরদোগানের অবস্থান এখানে ক্রমাগত কম হচ্ছে। কেননা ইনি থাকাকালীন তুরস্কের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই নিচে নেমে গেছে। কারেন্সি ক্র্যাশ করে গেছে । তাছাড়া সব থেকে বড় ব্যাপার হলো তুরস্ক আতঙ্কবাদীদের ফান্ডিং করে । এই অপকর্মের লেবেল তুরস্কের গায়ে লেগে গেছে আন্তর্জাতিক স্তরে যেটা তুরস্কের আমজনতা কখনই ভালো চোখে দেখবে না। তুরস্কের জনগনকে যদি দেখেন‌ তবে তারা এতোটা মৌলবাদী নন। যদি তুলনা করেন পাকিস্তানের সাথে। পাকিস্তানের বহু বার বড় বড় ব্যক্তিত্ব, এদের যে বিদেশমন্ত্রী ইনি বলেছিলেন, ওসামা বিন লাদেন একজন শহীদ ছিলেন। কিন্তু তুরস্কে যদি দেখেন তারা সরাসরি খোলামেলা ভাবে প্রকাশ করে লাদেন আতঙ্কবাদী । তুরস্কে এটা নিয়ে কোনরকম সন্দেহ নেই কে ছিল। এখন তুরস্কের যে আরপ লেগেছে আতঙ্কবাদীদের আর্থিক সমর্থন প্রদানের । এদের যে নাগরিক আছে তারা পছন্দ করবে না । তারা ওই রাস্তায় যেতে চায় না‌ যে রাস্তায় পাকিস্তান চলছে । তাহলে আপনি দেখতে পাবেন আসছে ভবিষ্যতে তুরস্কের রাজনীতিতে বেশ কিছু পরিবর্তন আসবে । আর এটাও ধরে নেওয়া শক্ত নয়, এরদোগান তার পদে বেশি দিন টিকে থাকতে পারবেন । 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন