US Capitol Violenceua
আমেরিকায় ক্ষমতার হস্তান্তর কে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া নজিরবিহীন সাজেরে ওয়াশিংটন আগামী ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে হয়েছে। বুধবার বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উস্কানিমূলক বক্তব্যের পর পরই কার অনুগামীরা মার্কিন কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটলে চড়াও হয়। এই ঘটনার জন্য তৈরি ছিল না ওয়াশিংটন পুলিশ। বাঁধভাঙ্গা বন্যার জলের মতো ক্যাপিটালে ঢুকে পড়তে থাকে আন্দোলনকারীরা। মার্কিন কংগ্রেস ভবন চত্বরে আগুন জ্বালিয়ে নিরাপত্তা বলয় ভেঙে ভবনের গা বেয়ে উড়তে দেখা যায় বিক্ষোভকারীদের। ইতিমধ্য ৪ জন মারা গিয়েছেন। হিংসার ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫২ জনকে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট এর দাবি তুলেছেন সেনেটাররা। ক্যাপিটাল বিল্ডিংয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অফিসার পল আভিং বলেন, ভবনের নিরাপত্তা বলয় ভেঙে ঢুকে পড়ে একদল বিক্ষোভকারী।হাতে ট্রাম্পের নাম লেখা পতাকা মুখে ট্রাম্পের জয়ের স্লোগান। ভেতরে ঢুকিয়ে লন্ডভন্ড করতে শুরু করে দেয়। পরিস্থিতি সামাল না দিতে পেরে বাহিনী চেয়ে পাঠানো হয়।


সূত্রের খবর, আতঙ্কে মাটির নিচের টানেলে গা ঢাকা দেন মার্কিন কংগ্রেস সদস্যরা। ওয়াশিংটন ডিসির মেয়র মুরিয়েল ব্রাউসার বৃহস্পতিবার ট্যুইট বার্তায় , ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ জরুরি অবস্থা জারি থাকবে বলে জানান তিনি। ওয়াশিংটনের হিংসার পর ফেসবুক টুইটারসহ ডোনাল্ড ট্রাম্পের সোশ্যাল অ্যাকাউন্টগুলি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৪ ঘন্টা ফেসবুক বা ইনস্ট্রাগ্রামে কোন পোস্ট করতে পারবেন না। টুইটার অ্যাকাউন্টও আপাতত বন্ধ। ফেসবুকের ভাইস প্রেসিডেন্ট গুই রোজেন বলেন, এটা জরুরি অবস্থা। এই আপৎকালীন সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা। আমরা মনে করছি এর ফলেই পরিস্থিতি শান্ত হবে। আরো বড় অশান্তি সম্ভাবনা কমবে।

এই গোটা ঘটনার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের থেকেই সরাসরি অভিযোগের আঙুল  তুলেলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। প্রথম থেকেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল মানতে নারাজ ট্রাম্প। বিরোধীদের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে, নিজেকে প্রকৃত বিজয়ী বলে দাবি করতে থাকেন। আদালতের শরণাপন্ন হন। বিরোধীদের অভিযোগ, কোনরকম প্রমাণ ছাড়া দিনের-পর-দিন নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন ট্রাম্প। তা থেকেই আজকের এই পরিস্থিতি।



বুধবার এক জনসভায় ট্রাম্প বলেন, আমরা পিছু হটবো না। মার্কিন সংবাদমাধ্যম গুলি বলছে, এরপর এই রাস্তায় নেমে পড়েন ট্রাম সর্মথকরা। পরে অবশ্য টুইটারে সমর্থকদের শান্ত হওয়ার কথা বলেন ট্রাম্প। ছোট একটি ভিডিও শেয়ার করে তিনি লেখেন 'বাড়ি ফিরে যাও'। কিন্তু তার সমর্থকদের আর সামাল দেওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন:মহিলাকে গণধর্ষণ করে গোপনাঙ্গে ঢুকিয়ে খুন যোগীরাজ্যে স্মৃতিচারণ হল 'নির্ভয়া কান্ড'
ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে মার্কিন কংগ্রেসের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাইক প্রিন্সও। হামলা হওয়ার পরই প্রেন্স সেখান থেকে বেরিয়ে পড়েন। ট্রাম সমর্থকদের বিক্ষোভের জেরে তুমুল বাকবিতণ্ডা শুরু হয়ে যায় সেনেট সদস্যদের মধ্য। সেনেট মেজরিটি লিডার মিচ ম্যাককনেল বলেন, শুরু থেকেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে ঝামেলা চলছে। যা হচ্ছে তা গণতন্ত্রের অবমাননা বলা যায়।

আরও পড়ুন:চিনা প্রেসিডেন্টের নির্দেশে "প্রস্তুত থাকুন, যেকোনো সময় যুদ্ধ বাঁধতে পারে"


গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করে সিনেট ডেমোক্রেটিক লিডার চাক স্কুমার বলেন, সবটাই ট্রাম্পের প্ররোচনার ফল। ষড়যন্ত্র করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার পথে নেমেছেন একদল বিক্ষোভকারী।




কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত জানান।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন