![]() |
US Capitol Violenceua |
সূত্রের খবর, আতঙ্কে মাটির নিচের টানেলে গা ঢাকা দেন মার্কিন কংগ্রেস সদস্যরা। ওয়াশিংটন ডিসির মেয়র মুরিয়েল ব্রাউসার বৃহস্পতিবার ট্যুইট বার্তায় , ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ জরুরি অবস্থা জারি থাকবে বলে জানান তিনি। ওয়াশিংটনের হিংসার পর ফেসবুক টুইটারসহ ডোনাল্ড ট্রাম্পের সোশ্যাল অ্যাকাউন্টগুলি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৪ ঘন্টা ফেসবুক বা ইনস্ট্রাগ্রামে কোন পোস্ট করতে পারবেন না। টুইটার অ্যাকাউন্টও আপাতত বন্ধ। ফেসবুকের ভাইস প্রেসিডেন্ট গুই রোজেন বলেন, এটা জরুরি অবস্থা। এই আপৎকালীন সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা। আমরা মনে করছি এর ফলেই পরিস্থিতি শান্ত হবে। আরো বড় অশান্তি সম্ভাবনা কমবে।
এই গোটা ঘটনার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের থেকেই সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলেলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। প্রথম থেকেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল মানতে নারাজ ট্রাম্প। বিরোধীদের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে, নিজেকে প্রকৃত বিজয়ী বলে দাবি করতে থাকেন। আদালতের শরণাপন্ন হন। বিরোধীদের অভিযোগ, কোনরকম প্রমাণ ছাড়া দিনের-পর-দিন নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন ট্রাম্প। তা থেকেই আজকের এই পরিস্থিতি।
বুধবার এক জনসভায় ট্রাম্প বলেন, আমরা পিছু হটবো না। মার্কিন সংবাদমাধ্যম গুলি বলছে, এরপর এই রাস্তায় নেমে পড়েন ট্রাম সর্মথকরা। পরে অবশ্য টুইটারে সমর্থকদের শান্ত হওয়ার কথা বলেন ট্রাম্প। ছোট একটি ভিডিও শেয়ার করে তিনি লেখেন 'বাড়ি ফিরে যাও'। কিন্তু তার সমর্থকদের আর সামাল দেওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:মহিলাকে গণধর্ষণ করে গোপনাঙ্গে ঢুকিয়ে খুন যোগীরাজ্যে স্মৃতিচারণ হল 'নির্ভয়া কান্ড'I have issued Mayor’s Order 2021-003, extending the public emergency declared earlier today for a total of 15 days, until and unless provided for by further Mayoral Order.
— Mayor Muriel Bowser (@MayorBowser) January 7, 2021
ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে মার্কিন কংগ্রেসের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাইক প্রিন্সও। হামলা হওয়ার পরই প্রেন্স সেখান থেকে বেরিয়ে পড়েন। ট্রাম সমর্থকদের বিক্ষোভের জেরে তুমুল বাকবিতণ্ডা শুরু হয়ে যায় সেনেট সদস্যদের মধ্য। সেনেট মেজরিটি লিডার মিচ ম্যাককনেল বলেন, শুরু থেকেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে ঝামেলা চলছে। যা হচ্ছে তা গণতন্ত্রের অবমাননা বলা যায়।
আরও পড়ুন:চিনা প্রেসিডেন্টের নির্দেশে "প্রস্তুত থাকুন, যেকোনো সময় যুদ্ধ বাঁধতে পারে"I am asking Washingtonians and those who live in the region to stay out of the downtown area on Tuesday and Wednesday and not to engage with demonstrators who come to our city seeking confrontation, and we will do what we must to ensure all who attend remain peaceful.
— Mayor Muriel Bowser (@MayorBowser) January 4, 2021
গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করে সিনেট ডেমোক্রেটিক লিডার চাক স্কুমার বলেন, সবটাই ট্রাম্পের প্ররোচনার ফল। ষড়যন্ত্র করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার পথে নেমেছেন একদল বিক্ষোভকারী।
কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত জানান।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন