![]() |
Abhishek Bandyopadhyay & Babul Supriyo |
অভিষেকের পাঠানো আইনে নোটিশে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে বাবুলকে। নাহলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। 31 শে ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে বাবুল সুপ্রিয় যা মন্তব্য করেছিলেন, তা ভিত্তিহীন এবং অপমানজনক বলে নোটিশে উল্লেখ করেছেন অভিষেক। দাবি করেছেন অবশ্যই বাবুলকে ক্ষমা চাইতে হবে। আর তা না হলে আদালত এই জবাব দিতে হবে বাবুলকে। করা হবে তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা।
অভিষেক কে নিয়ে বাবুল সেদিন সোশ্যাল মিডিয়াতেও বলেন, 'ভাইপো আবার বলে যে তার নাম কেউ নিতে পারবে না। আমি বলছি, ভাইপোর নাম হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আপনার পরিচয়তো ভাইপো'ই'রাজনীতিতে আপনার উত্থান ভাইপো হিসেবেই। কলকাতায় ভাইপো ২৫ কোটি টাকার বাড়ি বানিয়েছেন, তাতো কয়লা ও গরু পাচারের টাকা দিয়ে তৈরি। আমি স্পষ্টতই নাম নিয়ে বলছি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গরু পাচার, কয়লা পাচারের সঙ্গে যুক্ত। তিনি এই সবকিছু থেকে কাঠ মানি নেন।'সেই মন্তব্যের পর এবার আইনি পথে হাঁটলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে আসানসোলে বাবুল সুপ্রিয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর নাম তুলেছিলেন কয়লা পাচার নিয়ে। তখনো মামলা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মামলার প্রেক্ষিতে আদালত জানায়,আগামী দিনে বাবুল সুপ্রিয় কে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে হলে, সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে'কিন্তু বাবুল থামেনি আবার শুরু আদালতের লড়াই।
এদিন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আদালতে গিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অভিষেকের বিরুদ্ধে ব্যাঙ্কশাল আদালতের এসিএমএমের এজলাসে মানহানির মামলা দায়ের করেছেন দিলীপ। ডায়মন হারবার একটি জনসভায় দিলীপ ঘোষকে গুন্ডা মাফিয়া বলে সম্মোধন করেন অভিষেক। আইনি চিঠি পাঠিয়ে তাকে বক্তব্য প্রত্যাহার করতে বলেন দিলীপ। কিন্তু সেই চিঠির জবাব দেননি অভিষেক। এরপর সরাসরি আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন দীলিপ। তার আইনজীবীর দাবি, অভিষেকের বক্তব্য মানহানিকর। সে বক্তব্য জনসমক্ষে দেখে নি তিনি এবং তাঁর দলের কর্মীদের অসম্মান করেছেন। আমরা আদালতের কাছে অভিষেকের শাস্তি দাবি করছ।'আর সেই মামলা এখন আদালতে বিচারাধীন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন