পুরানো তিক্ততা ভুলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে নেপাল।আর সেই তৎপরতার অঙ্গ হিসেবে ভারতের কাছে নেপালের বিদেশমন্ত্রী প্রদীপ গোয়ালি।১৪ জানুয়ারি নয়া দিল্লিতে আসবেন তিনি। সূত্রের খবর, এই সফরে ভ্যাকসিন রপ্তানি নিয়ে নয়াদিল্লির আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করবেন নেপালের বিদেশ মন্ত্রী। টিকা কি নেয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করে দেশে ফিরতে চান তিনি।



যাইহোক কিছুতেই উদ্দেশ্য পূরণ হচ্ছে না চিনের। বেজিংয়ে তৈরি সিনোভ্যাক টিকা কার্যত নেপালে বিক্রির কতইনা চেষ্টা করেছিল জিনপিং প্রশাসন। কিন্তু তাতে জল ঢেলে দিয়েছে ওলির প্রশাসনি। মে ওলি কিছুদিন আগে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের আবহ তৈরি করেছিলেন। নেপালের এমন ভারত বিদ্বেষী মনোভাব আগে কখনো দেখেনি গোটা বিশ্ব। ওলি প্রশাসন সরাসরি জানিয়েছে, ভারতের থেকেই (CoVaxin)টিকা কিনবে তারা। চিনা প্রতিষেধক কে মোটেই আস্থা রাখতে পারছে না নেপাল।


নেপাল হেঁটেছিল ভারত বিদ্বেষী কূটনৈতিক পথে যার ইন্ধন জুগিয়ে ছিল তিন। কিন্তু সময় থাকতে থাকতে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে শুধরে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে ওলি প্রশাসন। ইতিমধ্য পড়শী দেশের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক ডামাডোল চলছে। পরিস্থিতি এতটাই সঙ্গীন যে সরকার ভেঙে দিতে হয়েছে। নেপালি নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। এর মাঝে চীনের সঙ্গ ছেড়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে চায় নেপাল। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, এই কারণে চীনের টিকার বদলে ভারত থেকে প্রতিশোধ নিতে আগ্রহী তারা।


িনোভ্যাক করোনা টিকা(Cenovak vaccine) নেপালি বিক্রি করার চেষ্টা করেছিল চিন। কিন্তু তা নিতে আপাতত রাজি নয় নেপাল প্রশাসন। বরং ভারত থেকে ১ কোটি ২০ লক্ষ্য ডোস কেনার বিষয়ে কথাবার্তা চালাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে ভারতে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত নীলাম্বর আচার্য জানিয়েছে, মোদি সরকার সেরাম ও বায়োটিক দুটি সংস্থার করোনার প্রতিষেধক কে ছড়পত্র দিয়েছে। দুটি সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে টিকা আমদানির বিষয়ে কথা চলছে। দ্রুত চুক্তি চূড়ান্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।



কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত জানান।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন