Dr. Tao Lina

চিনের তৈরি সিনোফার্মের (Sinopharm) টিকা কে নিয়ে জনগন কে সাবধান করতে গিয়ে চিনের প্রশাসন এর রোষে পড়লো এক চিকিৎসক। চিনা প্রশাসনের চাপে পড়ে সোশ্যাল মেডিয়া থেকে উঠিয়ে নিতে হলো পোস্ট শুধু তাই নয় ক্ষমা চাইতো হলো জনগনের কাছে এমন ভুল তথ্য দেওয়ার জন্য। এরপর সংবাদ মাধ্যমে তার বয়ান ও পরিবর্তন হয়ে যায়।জিনপিং সরকার এর এই কার্যকলাপে জনগনের মনে আশঙ্কার দানা বাঁধছে।কেননা এই টিকা কোন পরিক্ষামূলক প্রয়োগের রিপোর্ট পেশ না করেই বাজারে ছাড়া হচ্ছে। আসলেই তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কি হতে পারে তা জানা নেই কারও। আর সেই ব্যাপারে মানুষকে জানাতে গিয়ে চিকিৎসক তাও লিনা চিনা সরকারের রোষানলে পড়লেন।

তাও লিনা জানিয়েছেন তার সোশ্যাল মিডিয়া পেজে যে, অন্তত ৭৩ রকমের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে এই টিকা নিলে, পৃথিবীর ভ্যাকসিন গুলির মধ্যে এটি সব থেকে নিম্নমানের। তাও লিনা তিনি নিজেই মে একজন‌ প্রতিষেধক বিশেষজ্ঞ। তাই নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি সতর্ক করেছিলেন। তার মতে এই টিকা নেওয়ার ফলে বেশ কিছু রোগ দেখা দিচ্ছে । ইনজেকশন অংশে যন্ত্রণা, মাথাব্যথা, দৃষ্টি ও ঘ্রাণশক্তি কমে আসা উচ্চ রক্তচাপসহ একাধিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তার এই সতর্কবার্তা ভাইরাল হওয়ার পর নেমে আছে জিনপিং এর কালো হাত। ফলে চাপে পড়ে তিনি বয়ান বদল করতে বাধ্য হলেন। সংবাদমাধ্যমকে বললেন তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তিনি টিকার নিরাপত্তা নিয়ে কোনো নেতিবাচক কথাই বলেননি।
 
এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, চীনের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম উইবোতে(Weibo) তে এনিয়ে বেশ শোরগোল শুরু হত না হতেই সব পোষ্ট মুছে ফেলা হয় । স্বদেশে তৈরি প্রতিষেধক নিয়ে এমন মন্তব্যের জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হয় তাকে। এসব এরপর অবশ্য সংবাদমাধ্যমে ডক্টর তাও লিনা সম্পূর্ণ উল্টো কথা বলেন। তার কথায়, "আমি কখনই ভ্যাকসিন যথাযত সুরক্ষিত নয়' এমন কথা বলিনি। বরং এটাই বলতে চেয়েছি যে মানুষজন টিকাকরণ নিয়ে যে সুরক্ষার অভাব বোধ করছেন, সিনোফার্মের ভ্যাকসিন সে দিক থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ।"তাহলে বোঝাই যাচ্ছে চাপে পড়ে একজন ভ্যাকসিন বিশেষজ্ঞের এই বয়ান বদল।


সে যাই হোক আসলেই কিন্তু ডক্টর লিনার সতর্কবার্তা কি একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।কারন, চিন নিজের সিনোফার্মের টিকার ক্লিনিকাল ট্রায়ালের কোন রিপোর্ট প্রকাশ করেনি। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে শুধু এটুকু জানিয়েছে যে, ভ্যাকসিনটি ৭৯% কার্যকারী। অথচ এই অবস্থায় জরুরি পরিস্থিতিতে তাপ প্রয়োগে ছাড়পত্র দিয়েছে চীন। ফলে টিকা আদৌ কতটা নিরাপদ তা নিয়ে প্রশ্ন আছে বৈকি! আর কিছু দের কার্যকলাপ গোপন রাখতে চীনের চাতুর্যের কথা কে না জানে। উড়ানের করোনা সংক্রমণ নিয়ে চীনের ভূমিকা এখনো সর্বস্তরের নিন্দনীয়। এবার টিকার নিরাপত্তা নিয়ে লুকোচুরি। সব মিলিয়ে বিষয়টি যে বেশ ধোঁয়াশা ময় তা আরো একবার প্রমান করে দিল ডক্টর তাও লিনা।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন