পনি লক্ষ্য করলেই বুঝবেন, আপনার মন যা চায়, সেটা শরীর করতে চায় না। অথবা ঠিক উল্টোটা শরীর যেটা করতে চায় সেটা মন চায় না। আরএটা সত্যি। মানুষের মনের থেকে জটিল কোনো কিছু নেই। এ কথা অস্বীকার করেন বিশেষজ্ঞরাও। দীর্ঘদিন গবেষণা চালিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা মানুষের মন নিয়ে। মানুষের মন নিজে নিজেই লড়াই  করে চলেছে। প্রতিদিন যাবতীয় সমস্যার সমাধান সব মনই করে। কিন্তু মন প্রভাব ফেলে সম্পর্কের উপরেও। আর তাই সুখ-দুঃখ সবই নির্ভর করে মনের উপর। বিশ্বাস, ধৈর্য, ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে মন।আর তাই মনের অজান্তেই আমাদের এমন কিছু অধিকারবোধ চাপে যেখান থেকে সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সম্পর্কের ভিত্তি হলো বিশ্বাস। সেইসঙ্গে অবশ্যই পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা। নইলে সম্পর্কের ভাঙ্গন ধরতে বাধ্য। দেখে নিন কিভাবে আপনার সঙ্গী অথবা সঙ্গিনীর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখবেন।

সঙ্গীর ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিন


প্রত্যেক মানুষেরই নিজের সম্মান বোধ আছে। জীবনের কখনো কোন মানুষের কোন সম্পর্ককে হালকা ভাবে নেবেন না। সমস্যা হলে সঙ্গীর সাথে সরাসরি আলোচনা করুন। তাকে মিথ্যে বলে কোন কাজ করবেন না। কোন কিছুতে সমস্যা থাকলে তাকে স্পষ্ট করে বলুন। কোন ব্যাপারে আশা করে বসে আছেন, এদিকে আপনি শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করে দিলেন এরকম একদম নয়। সঙ্গীর সম্মান যাতে বজায় থাকে সেই ব্যাপারে খেয়াল রাখুন।


সব সময় নিজের গণ্ডি বজায় রাখুন



সব সম্পর্কের কিন্তু একটা গণ্ডি রয়েছে। এছাড়াও সব সম্পর্কের উপর সব মানুষের নিজেরও একটা জীবন থাকে। তাই সমস্ত বিষয়ে কথা না বলাই ভালো। সঙ্গীর সঙ্গে আপনার অন্যরকম সম্পর্কটি করি কিন্তু তিনি কার সঙ্গে ফোনে কথা বলছেন কাকে হোয়াটসঅ্যাপ করছেন এসব চেক কখনোই করবেন না। স্ত্রী বা স্বামীর ফোনে কেউ যেমন হাত দেবেন না। তেমনি একে-অপরের পাসওয়ার্ড আদান প্রদান করবেন না। এটি সম্পর্ক তিক্ত হওয়ার সময় সব থেকে বেশি।


অকারনে দোষারোপ করবেন না



অযথা কোন মানুষকেই সন্দেহ করবেন না। এই সন্দেহবাতিক সম্পর্ক শেষ হওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। সম্পূর্ণ না জেনে কখনও একে অপরের উপর কিছু চাপিয়ে দেবেন না। একটা সম্পর্কে সন্দেহ বাতিক সবচেয়ে খারাপ। এখান থেকেই হয় যাবতীয় ভুল বোঝাবুঝি। কেউ যে আপনার খারাপ চাইতে পারে এ রকম ভাববেন না।


আন্ডারস্ট্যান্ডিং
 
 

সম্পর্কের বোঝাপড়া সব থেকে জরুরি। নইলে কোন একটা কথা থেকে বদলে যেতে পারে সম্পর্কের মোড়। একে অপরকে খুব ভালো বুঝতে হবে। একসঙ্গে সময় কাটাতে হবে যতটা সময় কাটানো সম্ভব। কোন ব্যাপারে যদি মনে হয় সমস্যা হচ্ছে তাহলে একসঙ্গে বসে সেটা মিটিয়ে নিতে হবে। নিজেদের সমস্যা কখনোই বাইরে টেনে নিয়ে যাবেন না। আপনার জন্য যাতে অন্যরা সমস্যায় না পড়ে সবসময় তার খেয়াল রাখবেন।



সময় কাটান একসাথে




দুজন একসাথে সময় কাটান। কাজের ফাঁকে সময় বের করে নিন। অবশ্যই দুজনের ব্যক্তিগত জীবন আছে। সব সময় নিজের টুকু না দেখে নিজেদের দিকে নজর দিন। যাতে সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকে তাই চেষ্টা করুন। বিয়ের প্রথম দু'বছর সঙ্গীকে প্রচুর পরিমাণে টাইম দিন। সঙ্গে অবশ্যই গুরুত্ব দিন। আর তাই এই সময়টা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিন নিজেদের সম্পর্কে। নিজেদের মতো করে সম্পর্কটা দেখুন।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন