আমাদের সাথে যখন কিছু ভালো না হয়, তখন আমরা বলে থাকি সময় ভালো চলছে না। কিন্তু এই কোরনা কালে পুরো বিশ্বের সময় যেন খারাপ চলছে । ২০২০ সালটি মানুষের জীবনে একটি খারাপ অধ্যায় হয়ে থাকবে।এই প্যানডেমিক কালবেলায় মানুষের জীবন আর চলছে না সোজা পথে । বাঁকা জীবনটাই যেন সোজা হয়ে গিয়েছে। শারীরিক অসুস্থতা, চাকরি চলে যাওয়া অথবা বেতন কমে যাওয়া অসংখ্য বেসরকারি সেক্টরে। আর্থিক সংকটের মুখে পড়ে বহু অভিনেতাকে সবজি- ফল বিক্রি করতে দেখা গেছে ।
আর এই প্যানডামিক পরিস্থিতিতেমার খেয়েছে সবথেকে হসপিটাল, খাবার ও হোটেল ব্যাবসায়ীরা।দীর্ঘদিন লকডাউন মানুষের করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকা মৃত্যুর হার কাজ না থাকা আতঙ্কে সবটাই একেবারে ঘেঁটে গিয়েছে। তবে একটা কথাই মনে রাখতে হবে যে চিরকাল কোন ভাইরাসের এমন কালবেলা থাকবে না। আবার ঘুরে দাঁড়াবে গোটা বিশ্ব। একটা ভাইরাসের শক্তি হারাতে যতটা সময় লাগে, ততটাই ধৈর্য ধরতে হবে মানুষকে।
এমনই মুম্বাইয়ের এক শেফ এর কাহিনী। যার লড়াই নিঃসন্দেহে এমন কালবেলায় আপনাকে অনুপ্রেরণা দেবে। অক্ষয় পার্কার নামক এই যুবক পেশায় একজন শেফ অর্থাৎ রাঁধুনী। গত আট বছর ধরে মুম্বাই অনেক নামিদামি হোটেলে কাজ করেছেন তিনি। রান্না করেছেন নানা দেশের নানা জিভে জল আনা রেসিপি। কিন্তু কন্যার সংকটে কাজ হারিয়েছে তিনি। কিন্তু আচমকা চাকরি চলে গেলে কি হবে, ঘুরে দাঁড়াতে ও অঙ্গীকার নিয়েছিলেন তিনি। একটু সময় লেগেছে সেই কাজে তবে পেট চলছে সেই রান্না করেই। কিন্তু একটু অন্যরকম ভাবে।
মুম্বাইয়ে এক রাস্তার পাশে পাঁচতলা হোটেলের সাদের বিরিয়ানির একটি স্টল খুলেছেন অক্ষয়। ফেসবুকে 'বিইং মালওয়ানি'নামের একটি পেজ অক্ষয়ের এই কাহিনী শেয়ার করে আর তারপরেই ভাইরাল হয়ে যায় রোডসাইড বিরিয়ানি ও অক্ষয়ের গল্প। দাদার এর শিবাজী মন্দিরে একটি ছোট্ট বিরিয়ানির স্টল খুলেছেন অক্ষয়। নাম দিয়েছেন পার্কার বিরিয়ানি হাউজ মেনু তে রয়েছে তিন ধরনের বিরিয়ানি। ভেজ বিরিয়ানি, আন্ডা বিরিয়ানি এবং চিকেন বিরিয়ানি। হা প্লেটের দাম ৬৫ টাকা এবং ফুল প্লেট ১৪০ টাকা। শুধু তাই নয় এর সঙ্গে ওই এলাকায় হোম-ডেলিভারী ব্যবস্থা করেছেন তিনি। পার্টি, বিয়েবাড়ির অর্ডার নিচ্ছেন অক্ষয়। ভেজ বিরিয়ানি প্রতি কেজি ৮০০ টাকায় এবং নন ভেজ প্রতি কেজি ৯০০ টাকায়। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে অক্ষয়ের আপাতত জীবনযুদ্ধ সফল। ভালোই ব্যবসা করছেন তিনি, আশা ছাড়েননি সুদিনের।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন