তই হোক লকডাউনে সবার হাতেই হিজড়া সংকট দেখা দিয়েছে। সবাই বুঝে শুনে খরচা করছে। লকডাউন এর আগে হোক বা পরে, খুচরা পয়সা অথবা 10 টাকার কয়েন নিতে সবার একটা আলাদা রকমের অনীহা। অটো, বাস, রেস্তুরা শপিং মল ১০ টাকার কয়েন নিতে তীব্র অনীহা দেখা যায়। এমনকি রিজার্ভ ব্যাংক থেকে নির্দেশ জারী করা হলেও তাতে সাধারণ মানুষের টনক নড়েনি। তবে এই পরিস্থিতিতে 10 টাকার কয়েন ব্যবহারে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য উদ্যোগ নিল ‌ বেঙ্গালুরুর ন্রুপাথুঙ্গা রোডের একটি রেস্তোরাঁ।


পয়লা অক্টোবর থেকে এক অভিনব অফার দিচ্ছে YMCA চত্বরে অবস্থিত হোটেল নিসর্গ গ্রান্ড। রেস্টুরেন্ট মতে,বিল মেটানোর সময় যদি কেউ পুরো বিল 10 টাকার কয়েন ব্যবহার করেন, তাহলে টাকি মোট অংকুর থেকে 10% বাদ দেওয়া হবে। টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে এক সাক্ষাৎকারে হোটেলের মালিক কৃষ্ণা জানিয়েছেন এই অভিনব অফার এর পর বেশ সাড়া মিলেছে। মানুষ এখানে ভিড় মেটাচ্ছে 10 টাকার কয়েন দিয়েই। আরওপড়ুন: পম্পেইয়ে মিলল প্রায় যিশুর সময়কালিন‌ প্রভু ও ভৃত্যের খোঁজ


আরবি এই মুহূর্তে দশ টাকার নোট ছাপানো কমিয়ে দেওয়ার ফলে বেশ অসুবিধার মুখে পড়তে হয়েছে।মানুষজন ও কয়েন নেওয়ার প্রতি অনীহা থাকায় ব্যবসা করা আরও কঠিন হয়ে গিয়েছে।ব্যাঙ্গালুরুতে মাঝারি মাপের রেস্তোরাঁর দরকার 50000 টাকা বা দশ টাকার কয়েন। কিন্তু নোট এর অভাবে কোন সম্বল। কিন্তু সেখানেও বিপত্তি।কিন্তু কিভাবে সেই বিপদ থেকে উদ্ধার হওয়া যায় তা ভাবতে গিয়ে মাথা যায় সেই অভিনব ভাবনা। তারপরই এমন অফার দেওয়া হয় সাধারণের জন্য। হোটেল ব্যবসায়ী ও ছোট ব্যবসার মধ্যে যেন এই 10 টাকার কয়েন এর ব্যবহার বাড়ুক। ফলে কয়েনের অভাব এর ঘাটতি অনেকটাই কমবে বলে তার ধারণা।


তার কথায়, একটি কাস্টমার বাড়ি থেকে 70 টি কয়েন নিয়ে এসেছিলেন।
 এবং পুরো টাকাটাই সে কয়েন দিয়ে পেমেন্ট করেন। প্রতিদিন 25 শো কয়েন এই হোটেলে জমা হয়। রাজের কথায়, তিনি কখনো কাস্টমারদের ফেরান না।এমনকি ব্যাংকে সেই টাকা জমাও করতে কোন অসুবিধার মুখে পড়েন নি সে।কোন অভিযোগ ছাড়াই কাস্টমারের নিজে থেকেই কয়েন দিয়ে বিল মেটাচ্ছেন, এই আশাতেই তিনি অভিনব অফার চালু করেছেন। তিনি আশাবাদী এতে যদি মানুষের সুবুদ্ধি একটুও বাড়ে।


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন