রোগা হতে চান,তাহলে ডায়েট নয়। ফিট থাকতে প্রয়োজন পরিমাণ এবং গুণগত মানেনা আহার। যে কারণে শরীর চর্চার পাশাপাশি জোর দেওয়া হয় সঠিক ডায়েটে। প্রতিদিন শুধু মাইলের পর মাইল হাঁটলেই হবে না। কতটা ঘাম ঝরল এবং কতটা ক্যালরি খরচা হলো সেদিকেও নজর রাখতে হবে। আর তার ওপর নির্ভর করেই হোক আপনার সারাদিনের খাওয়া-দাওয়া। রাতে খাবারের পর অনেকটা সময় গ্যাপ পড়ে। আর তাই সেই দীর্ঘ উপস ভাঙ্গন ব্রেকফাস্ট। কখন ব্রেকফাস্ট বাদ দেবেন না। পেট ভরে খান ব্রেকফাস্টে। পছন্দের খাবার, জুস ফল এসব রাখুন ব্রেকফাস্ট। সারাদিনের প্রোটিন চাহিদার অনেকটাই পূরণ হয় ব্রেকফাস্ট থেকে। তাই বলে কচুরি, আলুর তরকারি, লুচি পরোটা এসব কখন ব্রেকফাস্ট হতে পারে না। বিশেষজ্ঞদের মতে 200 ক্যালরি বেশি ব্রেকফাস্ট কখনোই হবে না। সেই সঙ্গে অবশ্যই মুখোরোচক হতে হবে। ভাবছেন কি বানাবে? রইল এই সাতটি ব্রেকফাস্ট রেসিপি। হিন্দি আর্টিস্ট এই ব্রেকফাস্টে আপনার ওজন অবশ্যই কমবে।

১.সুজির উপমা


সুজিতে প্রোটিন ফ্যাট কোন কিছুই থাকেনা। সুজি কে ভাল করে রোস্ট করে সবরকম সবজি দিয়ে বানিয়ে ফেলুন সুজির উপমা। এতে মিষ্টিও কম লাগে‌ হজম ভালো হয়। পেটও  অনেকক্ষন ভরে থাকে। ফ্যাট একদম থাকে না।বরং থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। আর তাই ওজন কমাতে খুবই জনপ্রিয় সুজির উপমা। এক প্লেট সুজির উপমায় ক্যালোরির পরিমাণ ১৯২।


২.মুগডাল চিল্লা


ওজন কমাতে চাইলে খুবই জনপ্রিয় হল চিল্লা। মুগডাল এমনিই খেতে ভালো,আর তাই মুগডালের চিল্লাও খুবই সুস্বাদু।মুগডালের  সঙ্গে জিরে, কাঁচালঙ্কা আর সামান্য ধনেপাতা দিয়ে বানানো যায় চিল্লা। তবে খেয়াল রাখবেন যেন ভাজার সময় বেশি তেল না লাগে । সর্ষের তেলেও কিন্তু চিল্লা বানাতে পারেন। ২টো চিল্লায় ক্যালোরির  পরিমাণ ১২৮।


৩.ডালিয়া


ডালিয়া নানা ভাবে খাওয়া যায় । দুধ, মধু, ড্রাই ফ্রুটস দিয়ে যেমন খাওয়া যায় তেমনি বাড়ানো যায় সবজি দিয়ে ডালিয়ার পোলাও। আবার ডালিয়ার খিচুড়ি বানাতে পারেন। সব রকম সবজি ক্যাপসিকাম পেঁয়াজ দিয়ে। মুগদা মসর ডাল দুটোই চলতে পারে। সেইসঙ্গে টমেটো দিন। এক প্লেট ডালিয়ায় ক্যালরির পরিমাণ ১৭৪


৪.ওটস ইডলি


অনেকেই দুধ দিয়ে বা দই দিয়ে ওর খেতে পারেন না। তারা কিন্তু ওটশের ইডলি বানিয়ে খেতে পারেন। ওটস এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এছাড়াও ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন এসব তো থাকেই। টক দই আর ওটস একসঙ্গে মিলিয়ে ইডলি বানান। সাম্বার বানান সবজি দিয়ে। দুটো ওটসের ইডলিতে ক্যালরির পরিমাণ ৬০।

৫.ধোসা


শুধু ধোসা নয়, এটা হল রাগী ধোসা গ্লুটেন ফ্রি। যাদের ঘুম জাতীয় শস্যে এলার্জি রয়েছে তারা কিন্তু খেতে পারেন এই ধোসা। এছাড়াও এর পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। সেইসঙ্গে আয়রন, ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম ও নানা ভিটামিন-এ পূর্ণ এই ধোসা। পছন্দের ভেজিটেবলস টাইট করে পুরো বানান। সেইসঙ্গে বানিয়ে নিন নারকেলের চাটনি। একটি ধোসায় ক্যালরির পরিমাণ ১৩২।



৬.ধোকলা


ধোকলা যেটি আমরা সচরাচর মিষ্টির দোকানে দেখতে পাই। গুজরাতি খুব জনপ্রিয় এই খাবার। এখন আমাদের রাজ্যেও ধোকলা বেশ জনপ্রিয়। ব্রেকফাস্টে অনেকেই পছন্দ করেন। বেসন টক দই দিয়ে ধোকলা বানানো হয়। চিনি ও লাগে খুব সামান্য। সেই সঙ্গে থাকি নারকেলের চাটনি। ধোকলা সঙ্গে চলতে পারে একটি ডিম সেদ্ধ। চাইলে এক বাটি পাকা পেঁপে খেতে পারেন। দুটো ধোকলায় ক্যালরির পরিমাণ মোট ৬০।




Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন