বন্ধুরা সফটওয়্যার কথাটির অর্থ হল :- The programs and the other operating information used by a computer । আসলেন বন্ধুরা সফটওয়্যার বা প্রোগ্রাম হার্ডওয়ারের ফিজিক্যাল কম্পনেন্টস কে কাজ করার জন্য যোগ্য করে তোলে অর্থাৎ সহজ ভাষায় বলতে গেলে যেমন আপনার কাছে একটি কম্পিউটার আছে তার সাথে মনিটর, কিবোর্ড, মাউস ইত্যাদি আছে। কিন্তু শুধুমাত্র সেই গুলো থাকলেই কম্পিউটার চলবে না। এই কম্পিউটারটিকে চালাতে গেলে প্রথমেই প্রয়োজন অপারেটিং সিস্টেম। অপারেটিং সিস্টেম দিয়ে আপনি কম্পিউটার চালু করলেন এরপর যদি কম্পিউটারে কোন কাজ করতে চান, ধরে নিন কিছু লিখতে চান। তখন প্রয়োজন পড়বে অ্যাপ্লিকেশন সফট্ওয়ারের। আর ঠিক তেমনি আপনি যখন কোনো অ্যাপ্লিকেশনকে তৈরি করতে বা ডেভলপ করতে চাইবেন তখন প্রয়োজন পড়বে প্রোগ্রামিং সফটওয়্যারের। তাহলে আপনি যদি সফটওয়্যার সম্বন্ধে ডিটেলস জানতে চান। যে সফটওয়্যার কত প্রকার হয়? সফটওয়্যার গুলি কিভাবে কাজ করে? প্রোগ্রামিং সফটওয়্যার কিভাবে কাজ? করে তাহলে প্রতিবেদন টি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
প্রথমেই আপনার জানা প্রয়োজন সফটওয়্যার 3 প্রকারের হয়। প্রথম সিস্টেম সফটওয়্যার , এই সফটওয়্যার হার্ডওয়ার ও কম্পিউটার সিস্টেমকে চালাতে সহায়তা করে। এর মধ্যে অপারেটিং সিস্টেম, ডাইভার্স, ডায়াগনস্টিক টুলস, সার্ভার, উইন্ডোজ সিস্টেম, ইউটিলিটি ইত্যাদি থাকে এবং সিস্টেম সফটওয়্যার গুলি কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার এবং কম্পিউটার হার্ডওয়ার এক্সেসারিস ডিভাইস গুলোর মধ্যে সামঞ্জস্য সাধন করে, যেমন মডেম, রাউটার, প্রিন্টার, মনিটর, কিবোর্ড, মাউস ইত্যাদি।
দ্বিতীয় এপ্লিকেশন সফটওয়্যার, অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার বলতে বিশেষ ধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রামকে বোঝায়। যা মানুষকে কোন বিশেষ ধরনের কার্যসম্পাদনের সহায়তা করে। একটি কম্পিউটার সফটওয়্যার কম্পিউটার ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন করতে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের সহায়তা করে। তবে কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার অপারেটিং সিস্টেম, সিস্টেম ইউটিলিটি, প্রোগ্রাম ল্যাংগুয়েজ ইত্যাদি থেকে আলাদা হয়। এপ্লিকেশন সফটওয়্যার গুলি সাধারণত কম্পিউটার ব্যবহারকারীকে টেক্সট, নম্বর, ইমেজ, অডিও ভিডিও ইত্যাদি নিয়ে কাজ করার সুযোগ করে দেয়। আর উদাহরণস্বরূপ বলা যায় একাউন্টিং সফটওয়্যার, অফিস সফটওয়্যার, গ্রাফিক্স সফটওয়্যার, মিডিয়া সফটওয়্যার, ইন্টারনেট সফটওয়্যার ইত্যাদি।
তৃতীয় প্রোগ্রামিং সফটওয়্যার, প্রোগ্রামিং সফটওয়্যার সাধারণত খুব সহজভাবে প্রোগ্রামিং এর ভাষা ব্যবহার করে কম্পিউটার প্রোগ্রাম আর সফটওয়্যার রাইটার কাজে প্রোগ্রামারকে সহায়তা করে। অসলে সহজ ভাষায় বলতে গেলে মনে করুন আপনি এম.এস.ওয়ার্ডে ফাইল মেনুকে ক্লিক করলেন এবং সেখান থেকে সেভ, ওপেন, ক্লোজ ইত্যাদি অপশনগুলো ওপেন হল। তাহলে আমি যদি আপনাকে প্রশ্ন করি যে ফাইলগুলো তে ক্লিক করতে এই অপশন গুলো কিভাবে এল? তাহলে আপনি বলবেন যে এগুলো আগে থেকেই সেট করা ছিল, তাই এসেছে। কিন্তু এগুলিকে কিভাবে সেট করা হয়? তো এর জন্য যে ব্যক্তি বা যারা এই সফটওয়্যার টি কে তৈরি করেছে তারা এগুলো আগে থেকেই সেট করে দিয়েছে। কিন্তু কিভাবে তার জন্য তারা ব্যবহার করেছে প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ বা কোডিংয়ের। তো প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ কে কোথায় ব্যবহার করবেন। হ্যাঁ আপনার উত্তর একদম ঠিক, প্রোগ্রামিং সফটওয়্যার। এইরকমই কিছু প্রোগ্রামিং সফটওয়্যার হলো সি, সি প্লাস প্লাস, জাভা, পাইথন ইত্যাদি।
আরও পড়ুন:৩টি গোল্ডেন নিয়ম YouTube এ সফলতা পাওয়ার, যা অনেকেই জানে না !
তাহলে এবার পরিচয় করে নিয়ে যাক সিস্টেম সফটওয়্যার এর সাথে। ফ্রেন্ড সিস্টেম সফটওয়্যার গুলো দুই প্রকারের হয়ে থাকে প্রথম অপারেটিং সিস্টেম এবং দ্বিতীয় ইউটিলিটি প্রোগ্রাম। তো অপারেটিং সিস্টেম প্রোগ্রাম সেই সেট সমূহ হয় যাতে কম্পিউটার ও হার্ডওয়্যার এর মধ্যে সমন্বয় স্থাপন করার জন্য সকল অবশ্যক বার্তা কোন নির্দেশ শামিল থাকে। অর্থাৎ সহজ ভাষায় বলতে গেলে মনে করুন কোন একটি ইমেজকে আপনি কম্পিউটার ওপেন করলেন এবং এর উপর প্রিন্ট অপশন ক্লিক করলেন তার পর অপারেটিং সিস্টেম সেই তথ্যকে কম্পিউটার থেকে প্রিন্ট এ পাঠালো। অর্থাৎ প্রিন্টারকে কম্পিউটার একটি সম্পূর্ণ তথ্য দিল যে কোন জায়গায় কোন কালার হবে কোন আকার হবে বা কোন টেক্সট হবে। তারপর প্রিন্টার সেই নির্দেশ অনুযায়ী প্রিন্ট করে ফাইনাল রেজাল্ট দিল। তবে অপারেটিং সিস্টেম তথ্যকে হার্ডডিক্সে সেভ করা এবং হার্ডডিস্ক মেমরি থেকে ডাটা কে রিড করা এবং নির্দেশ এর মধ্যে সমন্বয় স্থাপন করা ইত্যাদি কাজগুলোই করে। তাই কম্পিউটার চালানোর জন্য অপারেটিং সিস্টেমের প্রয়োজন হয়। আর অপারেটিং সিস্টেম কম্পিউটার হার্ডডিক্স বা SSD এর মধ্যে থাকে। তবে মোবাইলের ক্ষেত্রে মেমোরি চিপে ইন্সটল করা থাকে এবং অপারেটিং সিস্টেম এর উদাহরণ গুলি হল উইন্ডোজ এক্সপি, উইন্ডোজ সেভেন, এইট, নাইন, টেন, ইলেভেন, লিনাক্স, অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস ইত্যাদি।
পরবর্তীটি হল ইউটিলিটি প্রোগ্রামস্ তো বন্ধুরা বেশিরভাগ অপারেটিং সিস্টেম এর মধ্যেই ইউটিলিটি প্রোগ্রামও দেওয়া থাকে। যেগুলো সাধারণত কম্পিউটারের স্টোর ডিভাইস বা স্টোর প্রোগ্রামগুলিকে ম্যানেজ করতে সহায়তা করে। অর্থাৎ মনে করুন কোন এপ্লিকেশন আপনার কম্পিউটারে ইন্সটল করা আছে। কিন্তু সেটি এখন আর আপনার প্রয়োজন নয়। তাহলে তখন নিশ্চয় আপনি অ্যাপ্লিকেশন থেকে আনইন্সটল করে দেবেন তো আনইন্সটল করার জন্য যে সফটওয়্যারটি প্রয়োজন সেটি আপনার অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে পেয়ে যাবেন। তো এই আনইন্সটল করার জন্য আপনি যে সফটওয়্যারটি ইউজ করলেন সেটিকে ইউটিলিটি প্রোগ্রাম বলা হয়। তো এবার দেখা যাক ইউটিলিটি প্রোগ্রাম গুলি সাধারণত কি কি থাকে।
- প্রথম ফাইল কম্প্রেশন File Compression, তো এই প্রোগ্রাম ব্যবহার করে আপনি ফাইলের সাইজ কে সংকুচিত করতে পারবেন। অর্থাৎ মনে করুন আপনার কম্পিউটারে একটি ফোল্ডারে 100টি ইমেজ ফাইল আছে যার সাইজ 20MB। তাহলে যখন আপনি ফাইল কম্প্রেশন সফটওয়্যারটি দিয়ে সেটিকে কম্প্রেস করবেন। তখন সেই ফোল্ডারটির কম্প্রেস ফোল্ডারে সাইজ হবে প্রায় 10MB। হ্যাঁ তবে ফাইল কম্প্রেস করলে ফাইলগুলো কোয়ালিটির কোন পরিবর্তন হবে না আর ফাইলগুলিকে আনকম্প্রেস করার পর আবার ফাইলটি 20MB ,সাইজে ফেরত পাবেন।
- দ্বিতীয় ডিস্ক স্ক্যানার Disc Scanner এর কাজ হার্ড ডিস্ক বা এস এস ডি এর প্রবলেমগুলো কে সার্চ করা, ডিটেক্ট করা এবং সেটিকে কারেক্ট করে অপ্রয়োজনীয় ফাইল গুলোকে সরিয়ে দেওয়া অর্থাৎ টেম্পোরারি ফাইল গুলোকে রিমুভ করা।
- তৃতীয় স্ক্রীণসেভার Screen Sever আর স্ক্রিনসেভার সাথে তো সকল কম্পিউটার ব্যবহারকারীর পরিচয় আছে। আপনি যদি বেশ কিছু সময় পর্যন্ত কিবোর্ড ও মাউসের না হাত দেন অর্থাৎ এগুলির মধ্যে কোন এ্যাকটিভিটির না থাকে তাহলে স্ক্রিনসেভার মনিটরের স্ক্রিন কে প্রটেক্ট করার জন্য স্কিনকে ব্লক করে দেয় বা কোন ছবি বা টেক্সট কে রিভিউ করে যাতে স্ক্রীন সুরক্ষিত থাকে। তবে সেই মুহূর্তে মানুষকে সামান্য নাড়ালেই আবার অফ হয়ে যাবে।
- চতুর্থ ডিস্ক ডিফ্রাগমেন্ট Disc Defragment ডিস্ক ডিফ্রাগমেন্ট সফটওয়্যার কম্পিউটার ফাইলস এবং ফ্রি স্পেস কে রিকগনাইজ করতে সাহায্য করে যাতে অপারেটিং সিস্টেম দ্রত ডেটাকে অ্যাক্সেস করতে পারে এবং আপনার কম্পিউটার ফাস্ট কাজ করে।
তাহলে এবার পরিচয় করা যায় এপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর সাথে। বন্ধুরা, অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার বলতে বোঝায় যে এপ্লিকেশন প্রোগ্রাম ইউজারের বিশেষ কাজকে পূরণ করে। এপ্লিকেশন সফটওয়্যার গুলির মধ্যে বিজনেস টুলস, মাল্টিমিডিয়া, কমিউনিকেশন টুলস, প্রডাক্টিভিটি টুলস ইত্যাদি থাকে অর্থাৎ সহজ ভাষায় বলতে গেলে কম্পিউটারে আপনাকে যে ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট, ফটোশপ, অটোক্যাড, মাল্টিমিডিয়া, ইন্টারনেট সফটওয়্যার ইত্যাদি ব্যবহার করি এগুলিকে এপ্লিকেশন সফটওয়্যার বলা হয়। তবে অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার গুলি কে কতগুলি ভাগে ভাগ করা হয়। তাহলে আসুন এগুলি সাথে পরিচয় করে নেওয়া যাক প্রথম 1. স্প্রেডশিট সফটওয়্যার বা এটিকে অফিস টুলস্ ও বলা হয়। বন্ধুরা আগে কাগজ আর পেন নিয়ে লেখালেখির কাজ করা হতো। মনে করুন আপনার বায়োডাটা তৈরি করতে হবে আর যখন কম্পিউটার বা অফিস টুলস ছিল না তখন আপনাকে হাতে লিখে বায়োডাটা তৈরি করা ছাড়া আর কোন রাস্তা নাই। আর ঠিক তেমন অফিস প্রেজেন্টেশনের তৈরীর ক্ষেত্রেও পাওয়ার পয়েন্ট এর ব্যবহার করা। আর এই তালিকায় ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ারপয়েন্ট, পিডিএফ ইত্যাদি সফটওয়্যার গুলি থাকে। 2. গ্রাফিক্স সফটওয়্যার আর এই তালিকায় ইমেজ ভিউ বা এডিট জাতিয় সফ্টওয়্যারগুলি থাকে যেমন প্রিন্টিং, ফটো এডিটিং, স্লাইড শো ইত্যাদি সফটওয়্যারগুলি পেয়ে যাবেন। 3. একাউন্টিং সফটওয়্যার, তো একাউন্টিং সফটওয়্যার গুলিকে ব্যবহার করা হয় টাকা-পয়সার হিসাব রাখার জন্য, ব্যাংকিং, বিলিং, ফাইন্যান্স, স্যালারী, রেন্ট ইত্যাদির ক্ষেত্রে। 4. ক্যাট সফটওয়্যার, এই ক্যাটাগরির সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয় আরকিটেকচার ডিজাইন যেমন কোন বাড়ি নির্মাণের জন্য, স্কুল-কলেজ, ব্রিজ, বিল্ডিং ইত্যাদি এছাড়াও বিভিন্ন রকম মেশিনারি ডিজাইনিং, টুলস্ ডিজাইনিং, এমনকি জুয়েলারি ডিজাইনিং, ইলেকট্রনিক্স এবং ছোট-বড় বিভিন্ন প্রজেক্ট এর ক্ষেত্রে ক্যাডের ব্যবহার সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। 5. অডিও এন্ড ভিডিও এডিটিং বা মাল্টিমিডিয়া তো এই ক্যাটাগরিতে অডিও মিক্সিং, ভিডিও মিক্সিং,2D, 3D অ্যানিমেশন, ভিএফএক্স ইত্যাদি সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশনগুলো পেয়ে যাবেন। 6. ইন্টারনেট সফটওয়্যার আর এই ক্যাটাগরির সফটওয়্যার গুলি সাথে তো আমরা সবাই পরিচিত। ইন্টারনেট সফটওয়্যার ক্যাটাগরিতে আছে ইমেইল সফটওয়্যার, ওয়েব ব্রাউজার, ডাউনলোডার ইত্যাদি।
তাহলে এবার পরিচয় করে নেওয়া যাক প্রোগ্রামিং সফটওয়্যার এর সাথে। ডাটাকে প্রসেস করে সেটাকে ইনফরমেশনে পরিবর্তিত করার নির্দেশ প্রদান করার জন্য কম্পিউটার প্রোগ্রাম ইন্সট্রাকশন সমূহ থাকে। একজন কম্পিউটার প্রোগ্রামার প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজের প্রয়োগ করে এই সমস্ত ইনস্ট্রাকশনস সমূহ লিখতে পারে। আর প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ওয়ার্ড এবং সিম্বল এর সমূহ হয় যে গুলির ব্যবহার কম্পিউটার দ্বারা প্রসেস আর অ্যাক্সেস করার যোগ্য ইনস্ট্রাকশন তৈরি করার কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কম্পিউটার প্রোগ্রামাররা কম্পিউটার প্রোগ্রাম তৈরি করার জন্য যে পদক্ষেপ গুলি নেন সেটিকে Program Development Life Cycle বা PDLC বলা হয়। তবে প্রোগ্রাম লেন্গুজ নিয়ে বেশি ডিটেল্স এ গেলে প্রতিবেদন টি আর বড় হয়ে যাবে । তার জন্য পরবর্তী লিখনিতে বিস্তারিত জানতে পারবেন অবশ্যই । আপনার নিজের ইমেল দিয়ে সাবস্ক্রাইব করুন।
আরও পড়ুন:Job Interview দিতে যাওয়ার আগে অবশ্যই একবার পড়ুন , চাকরির ইন্টারভিউ সহজেই পাশ করার কৌশল !
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন