পৃথিবীতে দুই ধরনের মানুষ রয়েছে, যারা কখনোই কোন জব ইন্টারভিউ ক্র্যাক করতে পারে না। এক আন্ডার কনফিডেন্স, আর দুই ওভার কনফিডেন্ট। তো চলুন দেখে নেওয়া যাক এই মানুষগুলো আসলে কিভাবে আর তাদের এই ধরনের চিন্তাভাবনার কারণেই এদের সাথে আসলে কি হয়। টাইপ নাম্বার ওয়ান UNDER CONFIDENT এই মানুষগুলো কিছুটা এমন ভাবে চিন্তা করে। আরে আমিতো কত ইন্টারভিউ দিলাম আজ পর্যন্ত একটা চাকরিও তো হল না। আমার তো মুখ দেখেই আমাকে বাদ দিয়ে দেয়। আর যদি কিছু না পায়, আরে আমার তো ভাগ্যটাই খারাপ। তাদের এই ধরনের চিন্তাভাবনা তাদেরকে ভেতর থেকে আস্তে আস্তে শেষ করে দেয়। টাইপ টু ওভার কনফিডেন্ট এদের ক্ষেত্রে যেটা হয় এরা কোনো না কোনো মোটিভেশনাল ভিডিও না হয় কোন মোটিভেশনাল বই পড়ে হয়তো ইন্টারভিউ দিতে পৌঁছে যায়। আর মনে মনে ভাবতে থাকে এই আমি যাচ্ছি আর চাকরিটা যদি কেউ পায় তাহলে সেটা আমিই পাব। আমাকে কেউ ঠেকাতে পারবে না। এই ধরনের চিন্তাভাবনা POSITIVE THINKING । কিন্তু আসলে এগুলো POSITIVE THINKING না এগুলো হলো WISHFUL THINKING। এদেরকে আপনি শুধু যদি একটা প্রশ্ন করেন কেন ভাই শুধু তুমি কেন চাকরি পাবে? অন্যেরা কেন নয়? ডিগ্রি কি শুধু  তোমার একারই আছে? লাইফে প্রবলেমস কি শুধু তোমার একারই আছে? বাকিরা যারা ইন্টারভিউ দিতে এসেছে তারা কি সবাই গাধা? এদের কাছে আপনি কোন উত্তর পাবেন না। আর যদি উত্তর পান ও। তবুও উত্তরগুলো হবে বেসলেজ। ঠিক যে মুহূর্তে থেকে তারা তাদের WISHFUL  চিন্তাভাবনা গুলি করতে শুরু করে। সেই মুহূর্ত থেকেই তারা মনে মনে তাদের স্বপ্নের রাজ্যে তৈরি করতে ব্যস্ত হয়ে ওঠে। ওয়াও এই হল কোম্পানি এখানে এত টাকা বেতনের আমি চাকরি করব। চাকরি পেয়ে আমি এটা করব সেটা করব এটা কিনব, বাইক কিনবো ইত্যাদি ইত্যাদি। আর এই স্বপ্নের রাজ্যে তৈরি করা সাথে সাথে তাদের মধ্যে আরও একটা জিনিস জন্ম নেয় সেটা হল ভয়। এটা অটোমেটিক্যালি তৈরি হয়ে যায়। যদি আমার এই চাকরি টা না হয়। তাহলে আমি বিয়ে করবো‌ কিভাবে।

 

এতদিন ধরে যা যা ভেবে রেখেছি সেগুলো কিভাবে করব। মায়ের অসুখের চিকিৎসা টাকা পাব কোথায়। পরিবারের ফাইনান্সিয়াল ক্রাইসিস কিভাবে সলভ করব, কিভাবে ! এইসব ভয় মাথায় ভূত হয়ে চেপে বসে আর ধীরে ধীরে তাদের পটেনশিয়াল কে ভেতর থেকে নষ্ট করে দেয়। ঠিক যেমনটা হয় আন্ডার কনফিডেন্স লোকেদের বেলায়। তাহলে যব ইন্টারভিউ ক্রাক করার সঠিক উপায় টা কি? আমি আপনার সাথে 3 টি স্টেপ এর মাধ্যমে সঠিক পথটা শেয়ার করবো। 


স্টেপ নম্বর ওয়ান STOP WISHFUL THINKING AND START REALISTIC POSITIVE THINKING যিনি আপনাকে চাকরি দেবেন তার কাছে আপনার কি প্রবলেম আছে না আছে সেটা কোন মূল্য নেই। আপনার অসুস্থ মায়ের জন্য চিকিৎসার টাকা লাগবে, কিংবা আপনি নতুন বাইক কিনতে চান এগুলোর কোনটাই তার কাছে ম্যাটার করে না। খর তার কাছে এমনটা ম্যাটার করা কোথাও না কারণ সে তো দান শিবির খুলে বসে নি সে চাকরি দিচ্ছে। অতএব তাঁর কাছে শুধু এটাই ম্যাটার করবে যে আপনাকে চাকরি দিলে তার কোম্পানির কি লাভ হবে। তো আপনার কি লাভ হবে সে কথা ভুলে যান। আর তার বদলে আপনাকে চাকরি দিলে কোম্পানির কি লাভ হতে পারে সেই কথা চিন্তা করতে থাকুন।

 

স্টেপ নাম্বার টু RESEARCH এবার আপনি সেই কোম্পানি নিয়ে রিচার্জ করতে শুরু করুন। তাদের ওয়েবসাইটে যান তাদের প্রোডাক্ট এন্ড সার্ভিস স্টাডি করুন। আপনার জব প্রফাইল স্টাডি করুন। আপনাকে যে পোষ্টের জন্য ডাকা হয়েছে সেই পোস্টের ব্যাপারে স্টাডি করুন। আর তারপরেই বিষয়গুলোকে আপনার কার্যকারী ক্ষমতার সাথে তুলনা করুন। তারপর খুঁজে বের করুন আপনি কি অফার করতে পারবেন যার দ্বারা আসলেই সেই কোম্পানির কোন লাভ হবে।

 আরও পড়ুন: আপনি কি চান এই গুন গুলি আপনাকে গরিবের পথে ঠেলে দিক, কেন গরিব আর গরিব হচ্ছে !

স্টেপ নম্বর থ্রি BE READY HUNDRED PERCENT TO GIVE YOUR HUNDRED PERCENT যখন আপনি আপনার পুরো এফোর্ড দিয়ে রিচার্জ করে নেবেন এবং তারপর জব ইন্টারভিউ এর জন্য যাবেন। তখন আপনার চিন্তাভাবনা জব পাওয়া না বরং পার্টনারশিপ পাওয়ার মতন হবে। অর্থাৎ আপনার অ্যাটিটিউড এমন হবে যদি আমাকে চাকরিটা দেওয়া হয় তাহলে তো সেটা আমার এবং কম্পানি দুজনের জন্যই ভালো হবে। কিন্তু যদি আমাকে চাকরীটার না দেওয়া হয় তাহলে আমার কথা ছাড়ো এই বেচারীর কোম্পানি একটা মূল্যবান জিনিস হাতছাড়া করে ফেলবে। একদম এরকমই অ্যাটিটিউড আর এরকমই কনফিডেন্স আপনার ভেতরে‌ থাকা চাই। আর এটা কোন কল্পনার উপর ভিত্তি করে হবে না বরং বাস্তবের ভিত্তি করে তৈরি হবে। কারণ আপনি সেখানে কাউকে ঠকাতে যাচ্ছেন না। যেমন আপনি আপনার একশো শতাংশ জন্য দেবেন জব পাওয়ার জন্য তেমনি জব পাওয়ার পরেও কাজের সময় আপনি আপনার একশো শতাংশ পরিশ্রম দেবেন। তবে মজার ব্যাপার হলো আপনি যখন খুব ভালোভাবে রিচার্জ করে তারপর ইন্টারভিউটা দিতে যাবেন তখন আপনার এই জিনিস গুলো মুখে বলার দরকার পরবেনা। ইন্টারভিউয়ার আপনার চোখে মুখেই আত্মবিশ্বাসটা ফুটে উঠতে দেখতে পাবেন। 

 

স্টেপগুলো যখন আপনি ফলো করবেন তখন আপনি এমন কিছু করবেন যেগুলা আপনার সাথে ইন্টারভিউ দিতে আসা অন্য কেউই হয়ত করবে না। আর সেটাই আপনার জন্য জবটা পাওয়া নিশ্চিত করবে। যদি আপনি স্টেপগুলো প্রোপার্লি ফলো করেন। তাহলে শুধু চাকরি না ওই কোম্পানিতে আপনার প্রমোশনের খুব তাড়াতাড়ি হবে। কারণ আপনি আপনার কাজের একজন মাস্টার হয়ে উঠবেন। এমনকি যদি কোম্পানি বন্ধ হয়ে যায় তবু আপনার জব নিয়ে টেনশন করতে হবে না। কারণ যখন আপনার বেজ শক্ত হবে। আর আপন আপনার কাজটাকে দক্ষতার সঙ্গে করতে পারবেন। তখন অন্য কোন কোম্পানি ও আপনাকে সহজেই ওয়েলকাম জানাবে। অর্থাৎ এই স্টেপগুলি সঠিকভাবে অনুসরণ করলে  আপনার পুরো লাইফ সিকিওর হয়ে যাবে। আমি আইডিয়াগুলো পেয়েছি Napoleon Hill এর Think and Grow Rich বই এর সাত নম্বর পাতা  থেকে। যদি প্রতিবেদনটি পড়ে আপনি একটুও উপকৃত হন তাহলে ডানদিকে Follow বাতনটা চেপে দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

আরও পড়ুন: STARTUP নয় BUSINESS করুন, কিভাবে নিজের ব্যবসা শুরু করবেন?

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন