ভারত সরাকার এর বক্তব্য , যেটা হয়েছে বাংলাদেশে এটি খুবই অপত্তিকর, কিন্তু ইন্ডিয়া এখানে এটাও বলে যে , বাংলাদেশ সরকার চটজলদি ব্যবস্থা ও নিয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করে দ্রুততার সঙ্গে। কেননা যেমন আক্রমন হয়েছে তাতে বেশ কিছু লোক মারা গেছে । বহু ব্যাক্তি আহাত হয়েছে । যে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় আছে তখদের উপর বেশ কিছু বার দফায় দফায় আক্রমন হয়েছে । আর জন্য বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতেই হয়। শেখ হাসিনা বলেন, যে আক্রমন হয়েছে হিন্দু মন্দিরের উপর, দূর্গাপূজার প্যান্ডেলের উপর এর নিন্দা করি । আর যার এই সব আক্রমন করছে এদের ছাড়া হবে না যে ঘটনা ঘটছে কুমিল্লাতে ।
যে ঘটনা ঘটছে এটি কুমাল্লাতে হয়। এখানে যে দোষী পাওয়া গেছে তার সাজা হবে ধর্ম নির্বিশেষে। বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী বিবৃতি দেওয়ার পর কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে । শুধু যে বিবৃতি এটা নয় , বিবৃতি দেওয়ার পরও বাংলাদেশের যে প্যারামিলিটারি আছে তাদেরকে মোতায়ন করেছে । এখন কিছুটা আক্রমণ কে প্রতিহত করা গিয়েছে। কিন্তু 12 অক্টোবর থেকে 14 অক্টোবর প্রচুর আক্রমন হয়েছে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর।
বাংলাদেশের এই স্নান কুমিল্লা। আর সেখানে হিন্দু সম্প্রদায় আছে যারা দূর্গাপূজা উদযাপন করছিল। তাদের উপর লাগাতার আক্রমন হয়েছে গত কিছু দিনে, এখন গিয়ে আক্রমন থেমেছে । তবে পশ্ন এই আক্রমনের সূত্রপাত হলো কিভাবে? এখানে এমন কি হয়ে গেল? প্রথমেতো একটি সংবাদ ছড়িয়ে দেওয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকের মাধ্যমে। এক প্যান্ডেলে যে পবিত্র কোরান আছে সেটাকে অসম্মান করা হয়েছে। এই সংবাদ ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এই সংবাদের কোন রকম ভিত্তি ছিল না। আর যখনই এই সংবাদ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়ার আনাচে কানাচে। একের পর এক প্রত্যেক প্যান্ডেলে মুসলিম সম্প্রদায়ের কিছু উগ্রবাদী আক্রমণ শুরু করে দেয়। তাছাড়াও প্রত্যেক বছরই দুর্গাপূজার সময় বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কিছু না কিছু আক্রমণ হয়ে থাকে। অল্পবিস্তর আক্রমণ তাদের সহ্য করতে হয়। তবে যেটা এবার হয় কুমিল্লাতে, যে বিরাট মাত্রায় আক্রমণ হয় যার জন্য কোন প্যান্ডাল এখানে অবশিষ্ট নেই। এমন ধরনের ব্যাপক আক্রমণ বিগত কোন বছর ঘটতে দেখা যায় নি ।
আর ভারত সরকারের কাছে এই ঘটনা কে সামাল দেওয়া খুব একটা সোজা ব্যাপার নয়। কেননা এক দিকে দেখতে পাবেন বাংলাদেশ আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ পতিবেশী দেশ। এদের প্রধানমন্ত্রী সরাসরি সামনে আসে যে এই আক্রমন কখনই মেনে নেওয়া হবে না। যারা এই আক্রমন করেছে তার মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত নয়, প্রত্যেক সম্প্রদায়ের মধ্যে এমন উগ্রবাদী লোক থাকে যারা অরাজকতা ছড়ায়। আর এরাই এই আক্রমন করে ।
বাংলাদেশ সরকার নিজের মতো করে চেষ্টা করছে এই ঘটনাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য । তবে হিন্দু সম্প্রদায়ের যে অবস্থা হয়েছে বিগত 40 বছরে বাংলাদেশে এটা খুবই অতিশয় বেদনাদায়ক। বর্তমানে বাংলাদেশ ভারতের প্রথম সারির 5 রপ্তানি গন্তব্যের মধ্যে একজন। দুই রাজ্যের যে বাণিজ্য তা 10 বিলিয়ন আমেরিকার ডলারের ও উপর আর খুব তাড়াতাড়ি ইন্ডিয়া আর বাংলাদেশ একটি Economic Pact সাইন করতে চলেছে । CEPA খুব তাড়াতাড়ি সাইন হবে দুটি দেশের মধ্যে । আর যার জন্য সম্ভাবনা আছে দুটি দেশের ব্যবসা বেড়ে 15 থেকে 20 বিলিয়ন ডলারে চলে যেতে পারে । বিগত কিছু বছরেই । শুধু তাই নয় ইন্ডিয়া একটি বড় সম্ভাবনা বিদেশি বিনিয়োগের । আর ভবিষ্যতে এটা অনুমান করা যাচ্ছে যে 2023 এর মধ্যে সম্পূর্ণ ইন্ডিয়ার ফরেন ডিরেক্ট ইনভেসমেন্ট FDI বাংলাদেশের সেটা 9 বিলিয়ন হতে চলেছে । আর তাছাড়া বহুবার পাকিস্তান যখন ইন্ডিয়াকে নিশানা করে organisation of Islamic corporation এ সেখানে বহু সময়ে মালদ্বীপ ও বাংলাদেশের সরকার ইন্ডিয়ার পক্ষ হয়ে কথা বলে ।
বাংলাদেশ কে যদি দেখেন বহু ভালো গুনতো আছে কিন্তু এটাও দেখতে হবে যে সরকার এখানে যেটা বলছে, যে আমরা পদক্ষেপ নেব, আমরা কিছু করছি। কি নিচুতলায় এর প্রভাব কতটা থাকছে?কেননা এমনি দেখলে দেখা যাবে বিগত কিছু বছরে হিন্দু সম্প্রদায় পুরোপুরি মুছে যাবে বাংলাদেশ থেকে। এটা আমি বলছি না । কিছু বছর আগে বাংলাদেশের এক প্রফেসরের কথা এটা 2016 এর আর্টিকেল Hindu থেকে । 'No Hindu will be left in Bangladesh after 30 years' । কেননা প্রতিনিয়ত যেমন ভাবে আক্রমন হচ্ছে হিন্দুদের উপর। লাগাতার মন্দিরের উপর আক্রমন হচ্ছে। যে বাংলাদেশি হিন্দু আছে তাদের মুসলিমে রূপান্তর করা হচ্ছে না হয় তারা ইন্ডিয়াতে চলে আসছে ।
এদের জনসংখ্যা ব্যাপক পরিমানে কমে গেছে । 1940 তে 28% হিন্দু ছিল 2010-2011 সেটা এসে দাঁড়িয়েছে মাত্র 8.96%। আর পরবর্তী সময়ের গননায় সেটা এসে দাঁড়াতে পারে অনুমান করা হচ্ছে 6% থেকে 5% হতে পারে । যার ফলে দেখতে পাবেন একটি বড় পতন । আর যখন 6% হবে কোন জন গোষ্ঠি তখন সেই সম্প্রদায়কে খুঁজে বের করা কঠিন হয়ে পড়ে । তা সত্ত্বেও তাকে খুঁজে খুঁজে আক্রমণ করা হয় । এই যে ছোট পরিসংখ্যান বেঁচে আছে তাকেও শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে । খুবই সংকটজনক পরিস্থিতির । কোথাও না কোথাও ইন্ডিয়াকে সুষ্ট আলোচনা করতে হবে বাংলাদেশের সাথে । যাতে এর সঠিক সমাধান খুঁজে পাই । কারন এর প্রভাব অর্থনৈতিক দিক থেকে ইন্ডিয়ার ও হয়ে থাকে । কেননা বাংলাদেশী হিন্দু বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ইন্ডিয়াতে আসে তখন সেই চাপ ইন্ডিয়ার উপর এসে পড়ে ।
তাছাড়াও দুই সরকারকে নজর দেওয়া দরকার জমি দখল দিকে । মূলত কি হচ্ছে বাংলাদেশে কিছু মৌলবাদী সংগঠন আছে । যারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আছে তাদের জমি দখল করে নেয় । তারা এই চিন্তা থেকে সাহস পায় যে তারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এদের কেউ শুনবে না , এদের জমি দখল করে নেও এর দরুন এরা সুবিধা পায় । আর সেটা যদি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক হয় সেটা আর সোজা হয়ে যায় বাংলাদেশে । তো সম্প্রতি যে লকডাউন লাগে বাংলাদেশে খুব বড় মাত্রায় যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আছে তাদের জমি দখল করে নেয় অপহরণ হয়েছে অনেক জায়গায় । এই সমস্যা ভারতে সরকারকে তুলতে হবে । এমন না ভারত বললো বাংলাদেশ কিছু করলো না । এমন নয় সুষ্ট ভাবে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হবে এবং যৌথ ভাবে কাজ করতে হবে । কি ভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায়, কি ভাবে ইন্ডিয়া সাহায্য করতে পারে বাংলাদেশের সরকার কে হিন্দুদের রক্ষা করতে।
( সূত্র-India Today, zeenews,ANI, DhakaTribune, Hindustan Times,The Daily Star, The Hindu, Indian Express)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন