ম্প্রতি পাকিস্তান সম্পূর্ণ বিমান ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়েছে আফগানিস্তানের। আর এসব করেছে পাকিস্তান , হতাশা থেকে। কিন্তু দেখতে গেলে‌‌ এই‌ ঘটনাতে তালিবান কে কিন্তু দোষী সাব্যস্ত করা মটেও‌ ঠিক‌‌ হবে না। 

তাহলে সম্পুর্ণ ‌‌‌ঘটনাটির পুঙ্খানুপুঙ্খ  ভাবে জানা‌ যাক। PIA (Pakistan International Airlines) এটাই শেষ এবং একমাত্র এয়ারলাইন্স ছিল যেটা লাগাতার ইসলামাবাদ থেকে কাবুল এয়ারলাইন্স চালাছিল। যদি‌‌ আপনি‌ দেখেন কোন‌ দেশের সাহস নেই যে তারা আফগানিস্তানে এয়ারলাইন্স চালু করবে। কিছু চ্যাটার ফ্লাইট দেখতে পাবেন খুব ধনী ব্যক্তিদের জন্য । কিন্তু আম আদমির জন্য আফগানিস্তানে‌ যাওয়া বা‌ সেখান থেকে‌ বেরোন খুব ‌‌‌‌‌‌মুসকিল। আপনি‌ এটা বলতে পারেন আফগানিস্তান‌ পুরপুরি সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন  হয়ে‌ গেছে‌ ভ্রমণের ক্ষেত্রে। পাকিস্তান এয়ারলাইন্স কেন‌ করলো? তালিবান কি পদক্ষেপ নিতে পারে ? 

আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের মধ্যে যে সম্পর্ক সম্প্রতি খারাপ হয়েছে তার কারন যদি খুঁজতে যান অনলাইনে তাহলে দুটি সংস্করণ পাবেন। একটি আফগানিস্তানের তরফ থেকে অপরটি পাকিস্তানের তরফ থেকে । যদি‌ পাকিস্থানের কথা বলা হয় তো পাকিস্তান‌ Oct 14 ,2021 এ DAWN এ প্রকাশ পায় 'PIA suspends kabul flights over 'unprofessional' aviation authorities। যার অর্থ দাড়ায় যখন পাকিস্তান এয়ারলাইন্স এর কোন‌ বিমান কাবুল এয়ারপোর্টে অবতারণ করে। বর্তমানে কাবুল এয়ারপোর্টে পুরো ক্যাপচার করে আছে তালিবান। এখন তালিবানের নেই কোন‌ রকম প্রশিক্ষন, এয়ারপোর্ট চালনোর জন্য । অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কি ভাবে চলে অথবা ট্যাক্স ব্যবস্থা কি ভাবে চলে সেটা জানে না তারা । তালিবানদের যে শিক্ষামন্ত্রী আছে তিনি সম্প্রতি বলেন পড়া-লেখা করে কিছু হয় না, পি,এস, ডি, ডিগ্রি করে কিছু হয় না।হলে ভাল মানুষ হও। তারমানে দেশ কি ভাবে চলে এর সঠিক জ্ঞান এদের নেই। 

 আর নিঃসন্দেহে কল্পনা করা যায় যে পাকিস্তানি অথরিটি এই ব্যাপারে ঠিক কথাই বলছে। যে পাকিস্তানের পাইলট যখন কাবুল এয়ারপোর্টে অবতারণা করে। তারপর তাকে খুবই কঠোর ভাষায় কথাবার্তা করে তালিবান রা । একটি পেশাদার আচারন থেকে‌ তারা বঞ্চিত থাকেন। তাছাড়াও বহু এয়ার হোস্টেস  এবং পাইলট যারা কাবুল এয়ারপোর্টে যেতে চান না। তালিবানদের সাথে কথাবার্তা বলো তারপর গিয়ে বিমান ফিরিয়ে আনা একটি চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। 


 
তবে আসল সত্য যেটা‌ পাকিস্তান লুকিয়ে‌ যাচ্ছে সেটা অন্য রকম । যেটা তালিবান সারা বিশ্বকে দেরিতে হলেও তথ্য দিয়েছে। যে Pakistan International Airlines যে পাকিস্তানি এয়ারলাইন্স আছে এরা খুব খারাপ ভাবে শোষণ করছিল সেসব মানুষদের যারা আফগানিস্তান যেতে চায় বা ওখান থেকে যেতে চায় অন্যত্র। তাদের কাছ থেকে প্রিমিয়াম দাম উসুল করে। আপনি শুনে চমকে যাবেন। PIA সম্প্রতি কাবুল-ইসলামাবাদ যাত্রা করতে হলে অথবা ইসলামাবাদ থেকে কাবুল আসতে হলে এর যে টিকিট মূল্য ছিল 1.88 lakh পাকিস্তানি রুপি । যেটা ইন্ডিয়ান রুপিতে দাঁড়ায় 80,000 টাকার মতো । তবে বলা যায় আশি হাজার টাকার কেবল অনওয়ে টিকিট বিক্রি করছিল। আবার ফিরে আসতে গেলেও একয় রকম টিকিটের মূল্য নির্ধারিত ছিল । এখানে‌ তুলনা করেন যদি ইন্ডিয়ার সাথে তবে 80,000 টাকায় আরাম করে কোন ইউরোপের দেশে‌ গিয়ে ফিরে আসতে পারবেন । একসময় আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের মধ্যে এয়ার টিকিটের মূল্য ছিল 9,000-11,500 সেই টিকিট আজ 1,88 লাখ । 


আর এই টিকিট মূল্য নিয়ে তালিবানরা প্রতিবাদ করে । এখানে যদি আপনি শোনেন প্রত্যেক টিকিট 1.88 হাজার রুপি । শুনতে বেশি না লাগতে পারে তবে কল্পনা করুন 10 জন যাত্রী আছে, তার পর কল্পনা করুণ 100 যাত্রী আছে  তাহলে সেই অঙ্কটা কোম নয় সেটা গিয়ে দাঁঢ়ায় 1 কোটি 80 লক্ষ টাকা। আর এটাতো একটা বিমানের কামাই । এইসব করে প্রত্যেকদিন  5-6 কোটি টাকা কামাতে পারে । যেটি খুব ছোট অংক নয়। আর PIA ও Air India  এর মতো লোকেশন এ চলছে ।  এর উপরেও আছে‌ মোটা অংকের ‌‌‌‌‌‌‌‌‌ধারের বোঝা । তবে পাকিস্তানে নেই কোন‌ টাটার মতো সংস্থা, যার জন্য তারা বিক্রি করতে‌ পারবে না । যার জন্য শেষমেষ কোন চাইনিজ ব্যবসায়ী কিনে নেবে  পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস কে। 
 
 
এদিকে আফগানিস্তানে অন্য কোন এয়ারলাইন্স আপাতত উড়তে রাজি নয় কেউ। পাকিস্তানি PIA এবং আফগানিস্তানের নিজস্ব এয়ারলাইন্স যেটি একটি প্রাইভেট কোম্পানি যেটা তালিবান চালায় না যেটি হল Kam Airway। এই এয়ারলাইন্স ও বড় অংকের টাকা নিচ্ছিল যাত্রীদের কাছ থেকে । যার জন্য তালিবান এদের উদ্দেশ্য করে একটি চিঠি লিখে দেয়। এই চিঠি ফেসবুকে এবং অন্য অন্য সোশ্যাল সাইটে আপলোড দেয়। আর সেখানে বলে  PIA ও kam Air বলে দিয়েছি হয় টিকিটের দাম কোমাও সাধারন লোকে শোষন করা বন্ধ করো । তোমাদের মনপলি হয়ে গেছে তার মানে এই নয় যা ইচ্ছে টিকিটের মূল্য নেবে। এই মূল্য কোমাও না হয় আমরাই তোমার যা রুট আছে সব বাতিল করে দেব। 

আর তালিবানদের এমন  বলার ও যথেষ্ট কারণ আছে। বহু সংখ্যক মধ্যবিত্ত বাস করে আফগানিস্থানে। যারা আফগানিস্তান ছাড়তে চাই, আফগানিস্তান থেকে পালাতে চাই। আর বিপদে পড়ে যখন তারা যায় পাকিস্তান ইন্টার্নেশনাল এয়ারলাইনস(PIA) এর কাছে। তখন তারা তাদের কাছে‌ বিরাট মূল্যর টিকিট ধরিয়ে দেয়। যে টাকা জোগাড় করা একটি মুস্কিল তাদের কাছে‌। যার জন্য সাধারন মানুষ তার ঘর বন্ধক রেখে , ধার নিয়ে যা করেই হোক টিকিট মূল্য জোগাড় করছেন। যে শোষন চলছে সেটাকে আটকাতে তালিবানরা পদক্ষেপ নেয় । এখন একটাই সমাধান যে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স  বা PIA যদি‌ আফগানিস্তানে গিয়ে কোনরকম লাভ না করতে পারে তবে কেনো যবে? প্রথমে তো‌ প্রত্যেক যাত্রীর কাছ থেকে‌ মোটা অংকের ‌‌‌‌‌‌‌‌‌টাকা লুটছিল যার জন্য এয়ারলাইন্স ও চলছিল । আর এখানে আফগানিস্তান সঠিক পদক্ষেপ নিলেও পাকিস্তানের দাবি তালিবানরা খুবই আনপ্রফেশনাল  মনোভাব  দেখায় যার জন্য আমরা এয়ারলাইন্স বন্ধ করাতে‌ বাদ্ধ হচ্ছি। আর এইসব তথ্য দুনিয়ার সামনে আসছে।যে পাকিস্তান সরকার দুনিয়াকে তো‌ বলে আফগানিস্তান কে সমর্থন করো,এদের কে সাহায্য করো । তবে আপনি যখন এসব পর্দা সরিয়ে দেখবেন গ্রাউন্ড লেবেলে তবে দেখতে পাবেন পাকিস্তানের যে সব কোম্পানি খুব বিশাল মাত্রায় আফগানিস্তানের অসহায় ব্যাক্তিদের দ্বারা  উপকার নিচ্ছে। আর তাদের লক্ষ্য ‌এখানে যেসব লোক আটকে গেছে তাদের কাছ থেকে যতটা সম্ভব কাজ করিয়ে নেওয়ার ।
 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন