জ কথা বলবো eRUPI নিয়ে । খুব সোজা ভাষায় বলবো ই-রুপি কি? আর কিভাবে এর ফলে মানুষ সুবিধা পাবে। সম্প্রতি শুনবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ই-রুপি লঞ্চ করেছেন । সম্পূর্ণ বিপ্লব নিয়ে আসবে সরাসরি সুবিধা হস্তান্তরে। 


e-RUPI সোজা কথায় একটি QR কোড  অথবা SMS string-based e-Voucher.  এটাও বলব এর অর্থ কি হয় তবে এর থেকে সরকার কোন স্বতন্ত্র ব্যক্তি কে সুবিধা দান করতে পারে। আর এখানে ক্যাশ এর কোন দরকার নেই। ব্যাংকিং সুবিধার ও দরকার নেই ওই ব্যক্তির কাছে যদি ব্যাংকিং সুবিধা না থাকে। তা হলেও সে এই ই-রুপির ব্যবহার করতে পারবে। এখনো পর্যন্ত এটির সক্রিয় ব্যবহার আরম্ভ হয়নি তবে সরকার যদি মনে করে। যদি কাল সরকার মনে করে, যেকোনো পরিবার যার ইনকাম একটি সময়সীমা থেকে কম তাদেরকে সরকার ফ্রিতে মাক্স  প্রদান করবে। তবে সরকার এটা করতে পারে ই-রুপির দ্বারা।


সরকারকে এখানে করতে হবে যেসব ব্যক্তিদের লক্ষ্য করেছে সরকার উনাদের ফোনে পাঠিয়ে দিতে হবে এরকম QR কোড।  অথবা অন্যদের ফোনে চলে আসবে একটি বিশেষ SMS। আর যাদের ফোনে এই ধরনের কোড আসবে অথবা এসএমএস আসবে। তাদেরকে চলে যেতে হবে কোন সরকারি বা বেসরকারি ফার্মেসিতে‌ ওখানে দেখাতে হবে QR code আর সেখান থেকে পেয়ে যাবেন একটি ফ্রিতে মাক্স। তবে এটা যদি বাস্তবিক দিক দিয়ে দেখা যায় তাহলে এটি ফ্রী না। কেননা সরকার এখানে অর্থ প্রদান করছেন ওই ফার্মেসিকে ব্যাংকের দ্বারা। তবে এখানে যে সুবিধা পাচ্ছে, যে মাক্স পাচ্ছে,সে পেয়ে যাচ্ছে এখানে সরাসরি একটি সুবিধা। আর সরকারের কাছেও এটি একটি ভালো খবর। সরকার এখানে সবাইকে মাক্স প্রদান করে করোনা কে বাধা দেওয়ার সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে।



সরকারি এটাও ভেবেছে যদি সরকার তার অ্যাকাউন্টে 100-200 টাকা প্রদান করে তবে এর কোনো রকম নেই যে সে মাক্সি কিনবে। যদি সেইসব ব্যক্তি 200 টাকায় অন্য কিছু কিনে নেয় তবে এক্ষেত্রে সরকারের নীতি সরকারের যে কৌশল সেটি বিঘ্নিত হবে। আর মাক্স শুধুমাত্র একটি উদাহরণ স্বরূপ। সরকার যদি শিক্ষাঙ্গনে কিছু প্রকল্প আনে। যদি এমন কিছু পরিকল্পনা নিয়ে আসে যে ছাত্র-ছাত্রীদের সরাসরি কিছু অর্থ প্রদান অথবা খাতা পেন অথবা ট্যাব জাতীয় জিনিস প্রদান করতে হয় তবে সরাসরি সেটি সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এখানে ছাত্রছাত্রীদের ফোনে অথবা তাদের পিতা-মাতার ফোনে সরাসরি চলে আসবে QR কোড অথবা SMS  আর সেটা নিয়ে যেতে হবে কোন শপে। আর এখানে ধার্য করা জিনিসটি পেয়ে যাবেন খুব সহজে।


 সরকার এটকে ব্যবহার করতে পারে মনে রকম ভাবে‌। এটি লক্ষ্যযুক্ত, স্বচ্ছ এবং  দুর্নীতিমুক্ত বিতরণ। খুব সম্ভব এটি সক্রিয় হবে, চিকিৎসা উদ্দেশ্যে‌। যেহেতু কোভিডকে মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে এটি‌ জরুরি‌। যদি পরবর্তী ক্ষেত্রে কোন বিশেষ ঔষধ সরবরাহ করতে হয় দরিদ্র পরিবারে সে ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি খুবই কাজে আসবে। তবে ভবিষ্যতে e-RUPI  বহুমুখী কাজে নেওয়া সম্ভব। যদি সরকার চায় দরিদ্র পরিবারকে দুপুরের খাওয়ার ফ্রিতে দেবে তাহলে তার ফোনে চলে আসবে এই QR Code  বা SMS দেখালে হোটেলে‌ গিয়ে সেখান থেকে   খাবার খেতে পারেন। এটাকে নিয়ে Prasar Bharati News Services একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে যেটি নিচে দেওয়া থাকলো।


ধরে‌ নিন কাল রিলায়েন্স যদি‌ চায় গরিবের ফ্রিতে চাল বিতরণ করবে । তাহলে‌‌ চালে বিক্রেতা যে সব বড় কোম্পানি আছে রিলায়েন্স তাদেরকে পয়সা দেবে ব্যাংকের মাধ্যমে , আর সেটা পরে e-RUPI ভাওচার এ পরিবর্তন হবে তারপর হেটা দরিদ্র‌ মানুষকে বিতরন‌ করা হবে । যে ব্যাক্তির ফোনে এই ভাউচার যাবে কেবলমাত্র সেই সেটি ব্যবহার করতে পারবে। এটি কারণ নামে পরিবর্তন করা সম্ভব না। ধরুন একটি ব্যক্তির কাছে এ QR Code এল অথবা এস এম এস এল তাহলে সেটি কাউকে বিক্রি করতে পারবে না। 


আর এর গোপনীয়তা সুরক্ষিত থাকবে। আর এই যে পদ্ধতি সেটি ভারতে প্রথম বার ব্যবহার করবেন এমন না। যেনে রাখুন U.S.A তে ফুড ভাউচার খুবই জনপ্রিয়। আমেরিকায় অনেক সময় সরকার তাদের ব্যাংক একাউন্টে টাকা না পাঠিয়ে এরকম ফুট ভাউচার দিয়ে থাকেন গরিবদের । আর ফুড ভাউচার দেখাতে হয় নিকটবর্তী কোন সুপার মার্কেটে সেখান থেকে পেয়ে যায় তার দরকারি জিনিস। তবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে এমন বড় মাপের দেশে এমন কাজ আগে হয়নি। আর সেই হিসেবে আপনি যদি ভেবে দেখেন এটি একটি বিপ্লব।‌‌ 


আরও পড়ুন:এমন দিন দেখেছি , সোনু সুদের জীবনী বিস্তারিত

 

আর আপনি যদি দেখেন সার্বজনীন মৌলিক আয়‌। যার অর্থ দাঁড়ায় দেশের প্রত্যেকটি জনগণের মাসিক একটি ন্যূনতম ইনকাম। সাধারণ মানুষ বলে থাকে আপনি যদি ক্যাশ দিয়ে দেন তবে সেই মানুষের মধ্যে যদি মাদকাসক্ত মনোভাব থাকে। আর পয়সার পাওয়ার সাথে সাথেই সে অ্যালকোহল কিনে নেবে। আর তার জন্য তার পরিবারকে দুর্দশা দিন কাটাতে হতে পারে। আর তার জন্যই তৈরি হয়েছে এই পদ্ধতি যার নাম e-RUPI। কাল যদি সরকার চায় কোন এক Tuberculosis রোগীকে TB  ঔষধ প্রদান করতে। তবে সরকার কিভাবে সরাসরি তাকে সেই ঔষধ প্রদান করতে পারে। যদি ক্যাশ টাকা তবে হতে পারে সে মাদকাসক্ত থাকার জন্য সেটাতে টাকা উড়িয়ে দিল।বা অন্য কোন কাজে টাকাটা খরচা করে দিল। তার মেডিসিন কেনার জন্য সেটাকে ব্যবহার করল না। আর তার এই সমস্যার সমাধানের জন্য এই পন্থাটা খুবই কার্যকরী হবে। সরকার সরাসরি ওই ব্যক্তির ফোনে কোড বা এসএমএস পাঠাবে। যেটা মেডিকেল শপে স্ক্যান করে সে ওষুধ পেয়ে যাবে। তাকে কোন রকম টাকা দেওয়ার দরকার নেই,  টাকা দেবে সরকার। আর এর ফলস্বরূপ একটি সুস্থ সমাজ গড়ে তোলার পথে এগিয়ে যাবে ভারত। 


আর এটার এতগুলো কাজ হতে পারে যেটা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। প্রেগনেন্ট ওম্যান দের জন্য কিছু স্কিম আছে সরকারের তরফ থেকে। সদ্যোজাত বাচ্চার জন্য যে পুষ্ট সম্পন্ন আহার প্রদান করবে সরকার। আর তার জন্য সরকার ই-রুপির ব্যবহার করতে পারে। আর এর থেকে সরকার এটি নির্ধারণ করতে পারে যে কারণে সরকার টাকা খরচা করছে সেটা বৃথা যাচ্ছে না। আর এই e-RUPI কে এনেছে কে, The National payments corporation of India সাথে সাথে‌ UPI এর সুবিধা তার জন্য সহযোগিতা করেছেন, Department of Financial, Ministry of Health and Family Welfare and National health authority. আর শেষমেষ এটা আপনাদের কাছে‌ জানার থাকলো‌ কোন কোন‌ কাজে সরকার e-rupi কে ব্যবহার করতে পারে সরকার।

আরও পড়ুন:একটা পরমাণু দুর্ঘটনায় (বোমা না, এক্সিডেন্ট) মিনিমাম কতগুলো প্রাণ যেতে পারে?







Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন