ইউনাইটেড নেশন এর দিক থেকে একটি বিরাট বড় ভয়ানক খবর সামন এসেছে । এখানে এনাদের বক্তব্য পাকিস্তানি তালিবানের ছয় হাজার আতঙ্কবাদী আজকের সময় তালিবানের হয়ে যুদ্ধ করছে। আর এটি পাকিস্তানের জন্য সুসংবাদ নয়। 


এটি খুবই খারাপ সংবাদ পাকিস্তানের জন্য। এটি খুবই বিপদজনক একটি সংবাদ পাকিস্তান তথা চায়না, ইন্ডিয়া পুরো বিশ্বের জন্য। আস্তে আস্তে আফগানিস্তান হারাচ্ছে তার জায়গা। হিন্দুস্থান টাইমস, এন.ডি.টিভি প্রকাশ করছে একই খবর পাকিস্তানের 6,000 পাক তালিবান যোগ দিয়েছে আফগান তালিবানের সাথে । যে রিপোর্ট পেশ করছে UN. আর NO One Win অর্থাৎ সম্ভাবনা এমন‌ হচ্ছে , আফগানিস্তান অস্থির হয়ে যাবে যে না‌এখানে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না ইন্ডিয়া বা চিনো নয়।  


সম্প্রতি যে রিপোর্ট এসেছে UN এর তরফ থেকে। এটা বোঝার জন্য আপনাকে একটি সাধারন কথা বুঝতে হবে। আর তারপরেই বাঁকি ব্যাপারটা আপনি বুঝতে পারবেন।  


যখন আমরা বলি তালিবান । তালিবান ও দুই রকমের হয়ে থাকে। প্রথমটি হচ্ছে আফগান তালিবান - যারা খুবই কম কে ছিলেন। এনাদের দাবি আফগানিস্তানের এদের শরীয়ত আইনকে বলবৎ করা আফগানিস্তানকে দখল করে নিজেদের সাম্রাজ্যকে প্রতিস্থাপন করা। এনারা আফগানিস্তানকে এটাও নামও দিয়ে ফেলেছেন Islamic Emirate of Afghanistan (IEA) । আর নাম আর ক্ষমতার লড়াই চলছে আজ । আর দ্বিতীয় টি হল পাকিস্তানি তালিবান -যেমনভাবে আফগান তালিবানরা চাই পুরো আফগানিস্তানকে দখল করে নেবে। আর এখানে শরীয়ত আইন চালু হোক। যে কোন উপায় ক্ষমতা প্রয়োগ করে এরা আফগানিস্তানের শাসনকে হাতে আনতে চায়। আর ঠিক এমন ভাবে অনেকটা এরকমম মতাদর্শে বেড়ে ওঠা তাদের নাম হল পাকিস্তানি তালিবান । এরা তারিক- ই- তালিবান‌(Tehtik- i-Taliban) । 


এখনে পাকিস্তান তালিবান সমর্থন করে আফগান তালেবানদের ‌ এটা কোন সম্পর্ক বাড়ায় পাকিস্তান যে একবার যদি আফগানিস্থান পুরোপুরি তালিবানের হাতে চলে আস। তবে আফগান তালেবানদের সাথে পাকিস্তানি যদি ভালো রিলেশন হয় তবে পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণ আফগানিস্তানের পড়ে ব্যাপকভাবে বেড়ে যাবে এটা ভেবে। ইন্ডিয়া নিয়ন্ত্রণ আফগানিস্তানকে পুরোপুরি শেষ করার এটা একটি বড় অস্ত্র। অপরদিকে দেখতে গেলে পাকিস্তান পছন্দ করেনা পাকিস্তানী তালিবানদের। কারণ পাকিস্তান-তালেবান ওটাই  করতে চাই যেটা আফগানিস্থানে‌ ইতিমধ্যে করছে। আর পাকিস্তানী তালিবান ঠিক একই রকমভাবে পাকিস্তানি সরকারকে সরিয়ে শরিয়া আইন বলবৎ করতে চাই একদম আফগানিস্তানের মতই।


এক পাকিস্তান তেহরিক-ই-তালিবান এর উপর অনেক অপারেশন করেছে যার মধ্যে একটি হলো জারবে আজব(Zarb e azb) । তাছাড়া আজও বহু অপারেশন চলছে পাকিস্থানি তালিবানের উপর। 


আসলে যেটি UN এর রিপোর্ট এটাই কি লেখা আছে ? যে পাকিস্তান তালিবান আছে এদের ঘাটি পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের কেপি অংশে। এখন পাকিস্তান তালিবান কি করছে, এরা আফগান তালেবানদের সমর্থন করছেন। অর্থাৎ যে গ্রুপ সবথেকে বড় শত্রু পাকিস্তানের সেই তেহরিক-ই-তালিবান গ্রুপ সমর্থন করছে আফগান তালেবানদের। তেহরিক-ই-তালিবান এদের আশা আফগান তালিবান গোটা আফগানিস্তানের দখল করে নেয় তারপর দুই তালিবান এক হয়ে পাকিস্তান সরকারকে সরিয়ে দেবে। যদি বলি এখন তালিবানের সংখ্যা কত তবে এদের সংখ্যা 70-80 হাজার। সেখানে আফগান তালেবানদের সংখ্যা প্রায় প্রায় 10-15 হাজার আতঙ্কবাদী। শেষমেষ যদি পাকিস্তান এবং তেহরিক-ই-তালিবানের একসাথে আনা যায় তবে 1 লাখ আতঙ্কবাদী এমনি চলে আসে। 


আর এটা ভুলবেন না আফগানিস্তানের জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন কোটির উপর। আর আফগানিস্তান থেকে আতঙ্কবাদী নিয়োগ করে তার সংখ্যা বাড়াতে পারেন। আর ভবিষ্যতে বড় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে পাকিস্তানের ভিতরে। এর ফলে এমন একটি পরিস্থিতিতি আসবে যেখানে কেউই জিততে পারবে না ক্ষমতা ।


ভারতের যে প্লান ছিল ইরান থেকে আফগানিস্তান হয়ে তাজিকিস্তান পৌঁছানোর সেই প্লান বাতিল হয়ে যাবে । পাকিস্তানের যে প্লান ছিল আফগানিস্তানকে‌ নিয়ন্ত্রণ করবেন সেটা হবে‌না। এমনকি চায়নার যে প্লান ছিল আফগানিস্তানকে কন্টোল করা শুরু করে‌ দেবে ।  U.S পুরোপুরি যাওয়ার পর সেটাও হয়ে যাবে বাতিল। 


কিন্তু সবথেকে বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠবে পাকিস্তান এবং চায়নার জন্য। The Tribune আর্টিকেল লেখা হয়েছে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান এবং চায়নার জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠবে। অপর দিকে দেখতে গেলে‌ চায়না ও পাকিস্তান খুবই চিন্তিত এই বিষয় নিয়ে । যদি‌ এই গ্রুপ(Tehreek-e-Taliban) যদি আবার শক্তিশালী হয়ে যায় তবে একে আর নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। আর এই জন্য পাকিস্তানের যে বিদেশমন্ত্রী শাহি মোহাম্মদ কুরেশি ইনি চায়নায় গিয়েছিলেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভিজিট এর জন্য। আর এই ভিজিটে চায়না ও পাকিস্তান একটি Joint action Plan বা যৌথ উদ্যোগে আফগানিস্তানের সাথে লড়ায় করবে । 


আজকের সময় দেখলে দেখতে পাবেন পাকিস্তান এবং চিন পার্টনার হয়ে গিয়েছে। দুইজন‌ মিলে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে যে, যদি কাল কোনরকম পাকিস্তান তালিবানদের নিয়ে পরিস্থিতি খারাপ হয় CPAC Project এর উপর আক্রমণ বেড়ে যায় । তবে চাইনিজ এবং পাকিস্তানী মিলিটারি এখানে যোথ ভাবে লড়বে তালিবানদের বিরুদ্ধে। কেননা সম্প্রতি বোম ব্লাস্টে যে 9 চিনা ইঞ্জিনিয়ার মারা গেছেন পাকিস্তানে । আর ভবিষ্যতে এমন আক্রমণ আরও বাড়তে পারে । ইতিমধ্যেই চায়না এই ব্যাপার নিয়ে খুবই চিন্তিত । চায়নার তদন্তকারী দল ইতিমধ্যেই পাকিস্তানে গিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয় মৃত্যুভয়ে চাইনিজ ইঞ্জিনিয়ার পিঠে AK-47 বন্দুক বহন করছেন। সম্ভাবনা আছে চাইনিজ সৌনিক ভবিষ্যতে আফগানিস্তান পাকিস্তান বর্ডারের দেখতে পারেন। কারন তেহরিক-ই-তালিবান কে এরা কোন ভাবেই বেড়ে উঠতে দিতে চান না। যদি তেহেরিক-ই-তালিবান সক্রিয় হয়ে যায় তবে এত বোম ব্লাস্ট হবে যার কারনে CPAC সমস্যায় পড়তে পারে। 


আরও পড়ুন:চীন নিষিদ্ধ করলো ভারতীয় নাবিকদের, 21,000 চাকরি হারাতে হতে পারে !

আর এসব‌ বন্ধ‌ করতে আসে‌ পাসের‌ দেশ‌ গুলি কি পদক্ষেপ নিতে পারে। ভারত এখানে‌ সব‌ থেকে‌ ভাল‌ পরামর্শ দিয়েছিল পাকিস্তানকে । পাকিস্তানে‌ যে আতঙ্কবাদী দে ফান্ডিং করা হয় সেটাকে বন্ধ করতে হবে।মূলত পাকিস্তানি তালিবানদের বেশিরভাগ ফান্ডিং পাকিস্তান থেকে আসে। পাকিস্তানের বহু গ্রুপ আছে যারা সমাজ সেবার নামে অবৈধ ব্যবসা দেখিয়ে প্রচুর পয়সা আত্মসাৎ করে। আর এই বড় একটা পরিমাণ টাকা সরবরাহ করা হয় তালিবানদের। তবে পাকিস্তানে সমস্যা এটাই সর্বোচ্চ সাপেক্ষে কালো টাকার উপর যদি এরা ব্যান্ড লাগায় । টেলার ফাইন্যান্সিং এর উপর পুরোপুরি নজর রাখে তবে বহু প্রো- পাকিস্তান আতঙ্কবাদী যেমন‌ হাফিস সাইদ, মাসুদ আজাহারের মতো পাকিস্থানের নুন খেয়ে বেড়ে ওঠা আতঙ্কবাদী এদের ফান্ডিং আসা বন্ধ হয়ে যাবে। আর তার জন্য পাকিস্তানকে একটি সঠিক পদ্ধতির‌ মধ্য দিয়ে চলতে হবে। যেটার একটাই উদ্দেশ্য থাকবে এই পদ্ধতি চালু হলে আতঙ্কবাদী দের ফান্ডিং বন্ধ হবে। আর এটা যদি সঠিক কার্যকর হয় তবে আতঙ্কবাদী দের ফান্ডিং বন্ধ হবে যার জন্য তেহরিক-ই-তালেবান এরাও ক্রমশ দুর্বল হবে। কিন্তু পাকিস্তানের সমস্যা একটাই যে এমন ধরনের পদ্ধতি তারা আনতে চায় না। আর পাকিস্তান সেই জন্য আজও FATF Grey list এ আছে । আর মনে হয় না ভবিষ্যতে এটা থেকে বেরোতে পাবে । আর এটি একটি বড় বিষয় এখানে পাকিস্তানকে 'বড় সংস্কার'  করতে হবে। বাকি দেশে হয়ে থাকে ভূমি সংস্কার, আইন সংস্কার, পুলিসি ব্যবস্থার সংস্কার আর পাকিস্তান কে করতে হবে সন্ত্রাসী অর্থায়ন সংস্কার। আর এটা নিশ্চিত করতে হবে যে এদের আতঙ্কবাদীদের কাছে যেন ফান্ডিং না যায়। নাহলে পাকিস্তানি তালেবান যেভাবে তাদের বংশ বিস্তার করছে এবং এমন না হয় একটা অতিকায় দানবদের রূপ নেবে। তখন এই তালিবানদের সামলানো পাকিস্তান কেন চীনের উপরেও ভারী পড়তে পারে। আশরাফ গানীর সরকার যেভাবেই হোক তালিবান কে রুখতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। প্রায় 700 তালিবানকে মারা গেছে। কিন্তু যে দ্রুততার সাথে পাকিস্তান থেকে তালিবান আফগানিস্তানে তালেবানের সাথে যোগ দিচ্ছে। সুত্রে খবর প্রায় 500 তালিবান সহযোগিতা করতে যাচ্ছে তালিবানদের প্রতি মাসে। এরপরে আশরাফ গানীর কাছে তালিবানদের সামাল দিতে হিমশিম খাবেন। যদি আফগানিস্তানের তালিবান একাই থাকতো হয়তো সামাল দেওয়া সম্ভব হতো। কিন্তু বিপুল পরিমাণে পাকিস্তান-তালেবান সহ বাকি গ্রুপ যোগ দেওয়াতে দিন দিন তার আকার নিচ্ছে ভয়ানক।


আরও পড়ুন:মীরাবাঈ চানু স্বর্ণপদক পেতে পারেন, অলিম্পিকে চীনের জন্য খারাপ সংবাদ

সূত্র:হিন্দুস্থান টাইমস, এন.ডি.টিভি






Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন