Hou Zhihui & Mirabai Chanu

য়ত আপনারা যেনে গেছেন সম্ভাবনা আছে মীরাবাঈ চানু পেতে পারেন গোল্ড মেডেল অলিম্পিকে। ইনি যে রুপার পদক পেয়েছিলেন, সেটা রূপান্তর হয়ে সোনার পদক জিতে নিতে পারেন তিনি। কি করে ? 

আপনার সবাই জানেন আজকে সময় 2020 সামার জাপানের টকিয়োতে(Tokyo Olympics)  হচ্ছে। আর সেখানে মেয়েদের ভার উত্তোলন বিভাগ (female weightlifting category ) রুপোর পদক জিতেছিলেন মিরাবাঈ চানু‌। আর এই পদক জয় কে সেলিব্রেট করেছিল পুরো দেশ । আজ এই বিষয়টি এত চর্চায় কারন রুপা থেকে রূপান্তর হয় যদি সোনা হয়ে যায় তবে ভারতের রেঙ্ক অনেকটাই এগিয়ে যাবে। 


আর এটা কিভাবে হবে এবং কেন হবে সেটাই এখন আলোচ্য বিষয়। মিরাবাঈ চানু যে ইভেন্টে সিল্ভার মেডেল যেতে ওই ইভেন্টে স্বর্ণপদক যেতেন চিনের হাও জিহুই (Hou Zhihui)। আর এখানে ব্রঞ্চ পদক জেতেন ইন্দোনেশিয়ার উইন্ডি (Windy Cantika Aisah) এবং চতুর্থ রেঙ্কে কে ছিলেন তাইওয়ান এর ফেঙ্গ(Fang Wan-Ling)। তাহলে এখানেই কথা চলছে যে , সম্ভাবনা আছে চায়নার ওয়েটলিফটার এখানে চিটিং করেছে ব্যান্ড উপকরন বা  ড্রাগ নিয়ে । ড্রাগ নিয়ে তার পারফরমেন্স কে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। আর এই জন্য তাকে পরিক্ষা নিরিক্ষা করা হচ্ছে । যদি প্রমান হয়ে যায় চাইনিজ ওয়েটরিফটার এখানে ড্রাগের আশ্রয় নিয়েছে তবে ইন্ডিয়া পেয়ে যাবে স্বর্নপদক, ইন্দ্রোনেশিয়া রুপো এবং তাইওয়ান ব্রোঞ্জের পদক পেয়ে যাবে। 


তবে এখানে পশ্ন চায়নিজ ওয়েট লিফটার এর উপর ইনভেস্টিগেশন কেন শুরু হল। কি এখানে কোনো ক্লু মেলেছে? কেন অন্যকোন ওয়েটলিফটারদের উপর ইনভেস্টিগেশন হচ্ছে না। এখানে কারণ হিসাবে চায়নার যে ওয়েটলিফটার যে পারফরম্যান্স দিয়েছেন সেটি ছিল অসাধারণ। ইনি অলিম্পিকের ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন। 49 weightlifting category তে । প্রত্যেকে বিস্মিত এমন সহজভাবে ওয়েট লিফটিং করছিলেন। এমন লাগছিল হয়তো তিনি ফর্মে ছিলেন অথবা ইনি কোন ব্যান্ড উপকরণ অথবা ড্রাগ নিয়েছেন।


আর এটার জন্য, এই ব্যাপারটিকে অনুসন্ধানের জন্য অলিম্পিকের কাছে আছে একটি আন্টি ডোপিং অথরিটি (Anti-doping authorities) যে কমিটির কাজ সন্দেহভাজন অলিম্পিকে যোগদানকারী  প প্রতিযোগীদের  রক্তের নমুনা (blood sample) টেস্ট করে দেখা তার রক্তে কোন ড্রাগ বা ব্যান্ড হওয়া কোন উপকরণ যুক্ত আছে কিনা। 


শুধুমাত্র সন্দেহভাজন প্রতিযোগীদের টেস্ট করা হয় এমন নয় সকল প্রতিযোগীদের টেস্ট করা হয়। চায়না বহু আগে থেকেই এটা আরপ লাগাচ্ছে যে , রাশিয়া এবং চায়নার খুবই বেশি টেস্ট হয় । কারন এখানে অলিম্পিকে জিওপলিটিক্স গেম খেলা হয় । us, ওয়েস্টার্ন ইউরোপ, জাপান এসব দেশ মিলে একসাথে চেষ্টা করে রাশিয়া এবং চায়নার যেন কোম মেডেল পায়। তবে এটা শুধুমাত্র চায়নার দৃষ্টিভঙ্গি। 


এবার বলি কতোটা সম্ভাবনা আছে মীরাবাঈ চানু স্বর্ণপদক জেতার? এখানে বলাই যায় একটা বড় সম্ভাবনা আছে তবে এই আশঙ্কাটা খুবই কম যে , আমরা কখনোই 100 শতাংশ নিশ্চিত হতে পারি না যে চাইনিজ ওয়েটলিফটার বিশাল একটি ফর্মে আছে। হতে পারে উনি এত পরিশ্রম করেছেন‌যে আজ বিশ্ব রেকর্ড বানাচ্ছেন। তবে এটাও হতে পারে ইনি প্রতারণা করেছেন। 


আপনি যদি পিছনের দিকে তাকান তবে চায়নার আগেও রিপোর্ট অতটা ভাল নয় প্রতারনা নিয়ে।  2008 এ সামার অলিম্পিক হয়েছিল চায়নায় এই অলিম্পিকে ওয়েটলিফটিং বিভাগ বিরাট মাত্রায় প্রতারনা করে । এনাদের প্রতিযোগী ছিলেন‌  3 জন। আর 3 জন ছিলেন Weightlifting বিভাগে এবং এই তিন জনের গোল্ড মেডেল কেডে নেওয়া হয়েছিল। পরে যানা যায় এরা প্রতারনা করে‌ স্বর্ন পদক যেতে। আর যে ব্যান্ড ড্রাগ এরা ব্যবহার করেছিলেন নিজের শরীরে‌‌  শক্তিকে ধরে‌ রাখতে সেগুলি হল GHRP-2 আর GHRP-2 M2। এর জন্য লম্বা সময় প্রযন্ত আপনি এক্সেসাইজ করতে পারবে। এমন না একটি ইনজেক্ট করার পরে কোন ব্যক্তি হাল্কের মতো শক্তি পেয়ে যাবে তবে বডি বেশ লম্বা সময় পর্যন্ত পারফর্ম করবে। যার জন্য ওই সময় বেশি‌বেশি কাজ ও করিয়ে নিতে পারের শরীর দিয়ে । আর এটা সোজা কথা পদক জেতাতেও সাহায্য করবে।


এমন চিন্তার না করার কনো‌ করন‌ নেই যে এনারা ড্রাগ ব্যবহার করে নি। এটাও বলতে পারেন এটাতো 2008 এ করেছিলেন দশ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে এখন‌ এসব করে না। তবে না 2017 তে চায়নার এক ডাক্তার USA এ গিয়ে এই কথার পুষ্টি করেন রাশিয়ার মতো‌ চায়নাও‌ সরকারি ভাবে ডোপিং করে। চায়নার  কমিউনিস্ট সরকার চায় চায়না যখনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করুক অলিম্পিকে এনাদের দেশে আসতে হবে প্রচুর পদক। আর এ জন্য চায়নিজ সরকার নিজেই এদের ড্রাগ এনিয়ে দেয় ‌‌। এটাও‌ বলেন ড্রাগ এমনভাবে নেবে যে কখনই পরিক্ষায় ধরা না পড়। এ যে ডোপিং এর সিস্টেম সেটি সাবার সামনে আনে এই ডাক্তার । 


আরও পড়ুন:চীন নিষিদ্ধ করলো ভারতীয় নাবিকদের, 21,000 চাকরি হারাতে হতে পারে !

তবে‌ এমন কিছু আজও প্রমান হয় নি । তবে এখন অপেক্ষা আর দেখার পালা কেননা‌ এখনো একটু দেখার আছে । প্রথমবার টেস্ট হবে যদি‌ কিছু সন্দেহজনক রিপোর্ট আসে তবে পুনরায় টেস্ট করা হয় এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তারপর। এখানে পদক জেতা ব্যাক্তিকে অনেক প্রশ্ন‌ করা হতে পারে তকে ড্রাগ নিতে কেউ বাধ্য করেছে কিনা। 

তবে এই সমালোচনার ঝড় উঠতেই চীন শুরু করে দিয়েছে তার নাকে কান্না।পোপগান্ডা চালু করে দেয়।  চীনের যে Ambassador উনি বলছেন Hou Zhihui একটি সোনার হৃদয়ের অধিকারী খেলোয়ার। ও ডোপিং কি ভাবে করতে পারে। যে চায়নার অ্যাম্বেসেডর আশিয়ান কান্ট্রিজ  ইনি বলেছেন যখন‌ চায়নিজ ওয়েট লিফটার গোল্ড মেডেল জেতে তখন তার পাশে সিলভার মেডেলিস্ট এবং গোল্ড মেডেলিস্ট পোডিয়াম এর উপর উঠিয়ে নেয়। আর চায়নিজ কমিউনিস্ট ‌‌‌‌‌‌‌‌‌সরকার পুরো দমে চেষ্টা করবে এই গোল্ড মেডেল এদের হাত ছাড়া না হয়। আর যদি এমন হয় যা হলে আর এক বার বিশ্বের‌ কাছে চিনের খারপ ইমেজ তৈরি হবে । ইন্ডিয়া প্রথম স্থান, তাইওয়ান দ্বিতীয় এটি কখনোই দেখতে চাইবে না চিন । 

আরও পড়ুন:চীনে বন্যার কারনে বিশাল ‌‌ক্ষতি, প্রায় 10 বিলিয়ন ডলারের মাশুল ! বিস্তারিত




Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন