ঘূর্ণিঝড় ইয়াশ বা যশের আগেই ভরা কোটাল বা জোয়ারের সময় নদীর জলস্ফীতির ফলে কানমারি সহ সন্দেশখালির বহু গ্রামে প্লাবিত। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, মেদিনীপুর সহ পশ্চিমবঙ্গের অনেক জেলাতেই ঘূর্ণিঝড় ইয়াশের তাণ্ডব দেখা যাবে এমনটাই পূর্বাভাস ছিলো আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে। গত ২৪ তারিখ থেকে আজ ২৬ শে মে, ২০২১ আজকের দিনের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে প্রান্তিক বা উপকূলীয় অঞ্চলগুলি এমনটাই প্রত্যাশা করে আবহাওয়াবিদ ও প্রশাসনের তরফ থেকে অগ্রিম সতর্কতা জারি করা হয়েছিলো। তবে নিম্নচাপ এবং ভরা কোটালের প্রভাবে সমুদ্র ও নদীর জলের উচ্চতা বৃদ্ধি পায়।
উত্তর ২৪ পরগণার বিদ্যাধরী নদীর জলস্ফীতির ফলে নদী সংলগ্ন এলাকা যেমন মালঞ্চ, কানমারি, ধামাখালি, তুষখালী-সহ বিভিন্ন জায়গায় নদীবাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে পার্শ্ববর্তী গ্রামে জল ঢুকে পড়ে। এর ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং তারা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বাড়ী থেকে রওনা দিতে থাকে।
তবে বিকেলের দিকে জোয়ারের জল কমতে থাকলে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও স্বাভাবিক হতে থাকে, তবে পুরোপুরি নয়। "রাতের বেলা জোয়ারের জল আসার পূর্বেই যতটা সম্ভব বাঁধ মেরামতের কাজ করতে হবে", এমনটাই স্থানীয় নেতা ও সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে। বাজার ও বাড়ি-ঘরে জল ঢুকে যাওয়া, ও কিছু সংখ্যক বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে যাওয়া ছাড়া "জীবনহানির" খবর এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন