নিজের নাম নিয়ে শুরু হওয়া বিবাদ নিয়ে বিহারের পাটনার(Bihar, Patna) শিক্ষক জনপ্রিয় খান স্যার বললেন, 'যদি এমন বিতর্কিত মন্তব্য হতে থাকে তাহলে তাকে ইউটিউব থেকে চলে যেতে হবে। উনি কমেন্টে জনতার রায় জানতে চেয়েছেন।' খান স্যার (Khan sir) ভিডিওর শেষে বলেছেন , 'জানিনা কোন ভিডিও, আমার শেষ ভিডিও হয়ে যায়।'
প্রসঙ্গত এই বিবাদ চালু হয় , ২৪ এপ্রিল যখন উনি তার খান স্যার নামক ইউটিউব চ্যানেল এ একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। ওই ভিডিওতে পাকিস্তানে ফ্রান্সের রাজদূতকে দেশে ফিরে যেতে বিদ্রহ প্রদর্শন করছিলেন সেই ব্যাপারে বলছিলেন। সেখানে থাকা ৭-১২ বছর বয়েসি কিছু বাচ্চাদের দেইয়ে তিনি বলেন এরা তো কিছু জানেই না এরা জানে না রাষ্ট্রদূত কি। শুধু বিরোধিতা করতে চলে এসেছে। তার পর তিনি বলেন কারোর কথায় নেচো না, না হলে বড় হলে পন্চার বানাবে। আর এখানেই হয়েছে সমস্যা। খান স্যারের এই কথা এক সমদায়কে ছোট করা হয়েছে বলে দাবি তাদের ।
আর তারপর কি যথারীতি সে কোন সমদায়ের হিন্দু, না মুসলিম এ নিয়ে বিবাদবেঁধে যায় । কেউ বলছে খান স্যার নয় ওনার নাম অমিত সিং (Amit Singh) আবার কেউ বলছেন ফেজেল খান (Faisal khan) । তবে খান স্যার এই সব নেগেটিভিটি কে উড়িয়ে তার নতুন ভিডিওতে তিনি বলেছেন, ' কন বানেগা ক্রোড়পতি অমিতাভ বচ্চন যখন জিজ্ঞাসা করবে খান স্যারের আসল নাম কি তখন তিনি জানাবেন তার আসল নাম। তিনি ভিডিওতে আরো বলেন তিনি কোনো আতঙ্কবাদী তো নন। তিনি বলেন যদি আমার নাম জানতে হয় তাহলে বচ্চন কে ফোন লাগাতে বলবেন। আমি ওদিন নাম বলে দেবো। আমার সাথে যখন কেউ জোর করে তখন আমি বলি তোমার যেটা ভালো লাগে সেটাই বুঝে নেবে।
তিনি আরো বলেন , যাদের ওই ভিডিতে সমস্যা আছে তাদের বলছি ওই ভিডিওটি ১০ মিনিট আগে এবং ১০ মিনিট পরের ভিডিও ক্লিপটিও চালান। কারণ অর্ধেক সত্যি কথা পুরো মিথ্যে কথা থেকে অনেক বিপদজনক। পাটনার খান স্যার সাদাসিধে দেশি ভাষায় অর্থাৎ যেটাকে আমরা সরল ভাষা বলতে পারি সেই ভাসায় পড়ানোর জন্য খুব কম সময়ে তিনি অনেক ছাত্র-ছাত্রীর মন জয় করে নিয়েছেন। উনার ইউটিউব চ্যানেল ৯.৫৮ মিলিয়ন বেশি সাবস্ক্রাইবার।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন