Today News ডেস্ক: এপ্রিলে দেশের করোনা সংক্রমনের এক অন্যতম হটস্পট হচ্ছে দিল্লি। বাড়তে থাকা সংক্রমণ ও সেইসঙ্গে অক্সিজেনের ঘাটতি কিরে মৃত্যু-মিছিল ক্রমশ বাড়ছে। এরপর এই লকডাউন এর সিদ্ধান্ত। তবে অবশেষে সুখবর দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি জানালেন, গত ২৪ ঘন্টায় রাজধানীতে সংক্রমিত সংখ্যা নেমে গিয়েছে ১০ হাজারের নিচে নেমে গিয়েছে ‌‌। একথা জানানোর পাশাপাশি এদিন আরো একটি ঘোষণা করলেন কেজরিওয়াল। জানিয়ে দিলেন, দিল্লিতে যে শিশুরা বাবা মাকে হারিয়েছে তাদের পড়াশোনা ও অন্যান্য দায়িত্ব নেবে সরকার।


এদিন এক ওয়েবকাস্টে কেজরিওয়াল বলেন, 'আমাদের সকলের জন্যই খুব যন্ত্রণায় কেটেছে বিগত দিনগুলি। বহু পরিবারই একের বেশি মৃত্যুর সম্মুখীন হয়েছে। বহু শিশুর বাবা-মা দু'জনকেই হারিয়েছে। আমি তাদের কষ্টটা বুঝি। আমি তাদের পাশে আছি। যে শিশুরা অভিভাবকদের হারালো তাদের পড়াশোনার দায়িত্ব আমাদের। তাদের বেড়ে ওঠার সব খরচ যোগাবে সরকার। সেই সঙ্গে প্রতিবেশী ও পরিবারগুলিকে ও বলতে চাই আপনারা ওদের খেয়াল রাখুন। এছাড়াও এমন অভিভাবকরা আছেন যাদের সন্তান মারা গেছেন কোভিডে। কত পরিবার হারিয়েছে তাদের একমাত্র উপার্জনকারী সদফস্যকে।আমরা তাদেরও দেখভাল করব।'


সেইসঙ্গে সংক্রমণ কুমার কৃতিত্ব তিনি দিচ্ছেন দিল্লিবাসীকেই। প্রসঙ্গত গত ২০ এপ্রিল সংক্রমিত সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার। তারপর তা ক্রমেই বাড়ছিল। বহুদিন বাদে এবার তা নেমে এসেছে সাড়ে আট হাজারে। পজিটিভিটি রেট সেখানে ২২ এপ্রিল পৌঁছে গিয়েছিল ৩৬ শতাংশ সেখানে এমন এখন তা কমে ১২ শতাংশ।


এ প্রসঙ্গে কেজরিওয়াল জানাচ্ছেন,'এর কৃতিত্ব দিল্লিবাসীর করা হবে আপনারা নিয়ম মেনে চলেছেন। তবে আত্মতুষ্টির জায়গা নেই। আরও কড়া হতে হবে। না হলে ফের বাড়বে সংক্রমণ।"সেইসঙ্গে দৈনিক সংক্রমণের হার কে সাড়ে ৮ লক্ষ্য থেকে কমিয়ে আনার সংকল্প করার কথা বলেন কেজরিওয়াল। তাদের কথায় কোন গ্যারান্টি নেই গাছাড়া মনোভাবে আবারো বাড়তে পারে সংক্রামক।"
 


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন