তথ্য অনুয়ায়ী, ২০০০ সাল থেকে ২০১০ সালের মধ্যে চীনের(China) বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল গড়ে ০.৫৭ শতাংশ। কিন্তু ২০১০ সালের পর থেকে ২০২১ সালের মধ্যে তা কমে দাঁড়িয়েছে ০.৫৩ শতাংশ। বর্তমানে চীনের জনসংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১.৪১ বিলিয়ার অর্থাৎ ১৪১ কোটি। সূত্রের খবর, বিগত কয়েক বছরের চিনে নবজাতকের সংখ্যা কমেছে। এর ফলে সংশ্লিষ্ট দেশে জনসংখ্যা ক্রমশ কমছে। চীনের পরিবার পরিকল্পনার নীতি এর অন্যতম কারণ, মত অভিজ্ঞমহলের। বর্তমানে চীনের মোট জনসংখ্যার ১৩.৫ শতাংশ ৬৫ এর ঊর্ধ্বে,যা ২০১০ সালে ছিল ৮.৯ শতাংশ।
যার অর্থ হলো প্রবীনদের সংখ্যা চিনে ক্রমশ বাড়ছে, কিন্তু নবজাতক বা তরুণের সংখ্যা ক্রমশ এই দেশে কমছে। যেখানে চিনে ২০১৯ সালে শিশু জন্ম নিয়েছিল ১ কোটি ৪৬ জন। কিন্তু ২০২০ সালে শিশু জন্ম নিয়েছিল ১ কোটি ২০ লক্ষ। অর্থাৎ ১৮ শতাংশ কমেছে শিশুর জন্ম। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, চীনের এই অসম বয়সের জনসংখ্যার সমস্যা গোটা বিশ্বের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এ প্রসঙ্গে উইসকনসিন-মেডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ডা. ই ফুক্সিয়ন জানান, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি চীন। এক্ষেত্রে চীনের তরুণ প্রজন্ম কমলে বিশ্ব অর্থনীতিতে তার প্রভাব পড়বে। চীনে তরুণদের সংখ্যা কমলে আজ থেকে ১০ বছর পরে শ্রমিক পাওয়া যাবে না।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন