ভা
রতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে হাল্কা যুদ্ধবিমান নিজস্ব তেজস(Tejas) থেকেও এবার নিক্ষেপ করা যাবে ইজরায়েলের প্রযুক্তিতে তৈরি পঞ্চম প্রজন্মের পাইথন (Python-5)। আজ বুধবার গোয়ায় গোয়ায়(Goa) এই এয়ার টু এয়ার মিসাইলের সফল পরীক্ষা হয় বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO)। এর ফলে তেজসের ঘাতক ক্ষমতা আরও বেড়ে গেল।

পাইথন-৫ স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। যার দৃষ্টি বাইরে থাকা লক্ষ্যবস্তুকে নিখুঁত নিশানা করতে পারে। এখনো পর্যন্ত পাইথন ক্ষেপণাস্ত্রের ১০০ শতাংশ সঠিক নিশানায় আঘাত করার রেকর্ড রয়েছে। গোয়াতেও আজ  তেজস থেকে ছোঁড়া পাইথন-৫ ক্ষেপণাস্ত্র নির্দিষ্ট সব লক্ষ্য আঘাত করেছে বলে জানিয়েছে ডিআরডিও।


Python-5  এর দৈর্ঘ্য ৩.১ মিটার ওজন ১০৫ কেজি। যার মধ্যে ১১ কেজি শক্তিশালী বিস্ফোরক বহন করার ক্ষমতা রয়েছে। যে ক্ষেপণাস্ত্র আকাশ থেকে আকাশে আঘাত হানার ক্ষেপণাস্ত্র, যেটি আগেই ভারতের হাতে ছিল। রাফাল ইতিমধ্যেই এই রকম ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার হয়ে এসেছে। কিন্তু ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি তেজসে এই প্রথম পাইথন ব্যবহার করা হল। পাইথন ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্যবস্তু খুঁজে বার করার প্রযুক্তি অত্যন্ত উন্নত। এমনকি বিপক্ষের বিমানের বিশেষ কোনো একটি অংশের যদি আঘাত করার প্রয়োজন হয় তবে পাইথন ঠিক নিখুঁতভাবে সেখানেও আঘাত করতে সক্ষম।
 
তাছাড়া যে বিমান থেকে পাইথন ছোঁড়া হবে তার পাইলটের ঠিক সামনের দিকে যদি নাও থাকে লক্ষ্যবস্তু তাতেও সমস্যা নেই। বিমানের অভিমুখ না ঘুরিয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে শোনা যাবে পাইথন। এদিক ওদিক ঘুরে ফিরে ঠিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করবে এই ক্ষেপণাস্ত্র। পলি সবদিক দিয়ে বিবেচনা করে দেখা যায় লক্ষ্যবস্তুকে যদি নিশানা করে ফেলে এই পাইথন তাহলে তার বাঁচার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ফলের তেজসের সঙ্গে পাইথন-৫ এর এই মেলবন্ধন ভারতীয় বায়ুসেনা কে বেশ ক্ষমতাশালী করবে বলেই আশাবাদী।
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
আপনার মূল্যবান মতামত জানান কমেন্ট বক্সে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন