রা
তভর রাজ্য নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অমিত শাহ। তাতেও হেস্টিংস এর নির্বাচনী কার্যালয়ে বিক্ষোভ প্রশমিত হলো না। মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের হেস্টিংসের সামনে ভিড় জমলো প্রার্থী তালিকা নিয়ে ক্রুদ্ধ দলের সমর্থকদের।তাদের দাবি উত্তর দক্ষিণ 24 পরগনার বেশ কয়েক জন প্রার্থীকে অবিলম্বে বর্জন করতে হবে। দল মনোনীত প্রার্থীদের বহিরাগত প্রার্থী বলছেন ক্রুদ্ধ বিজেপিরা। প্রার্থী বাছাইয়ের মধ্য দুর্নীতিও দেখছেন তারা।

অর্ণব রায় নাম এসেছে ক্যানিং পশ্চিমে প্রার্থী হিসেবে। স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা বলছেন ২৬ দিন হয়েছেন তিনি দলে এসেছেন। অভিযোগ এত দিন তৃণমূলের হয়ে অত্যাচার করেছে ওঁরাই। ভাবমূর্তির প্রশ্নেই অবিলম্বে এই প্রার্থী বদর চাইছেন তারা। সমস্যা রয়েছে মগরাহাটের পশ্চিম বিজেপি প্রার্থী চন্দন নস্কর কে নিয়েও। তাকে মানতে না পেরেও সরাসরি ক্ষুব্ধ বিজেপি সমর্থক জড়ো হয়েছেন হেস্টিংসে। তার পাশাপাশি কুলপি বিধানসভার প্রার্থী ‌ প্রনব মল্লিককে মানতে নারাজ স্থানীয় মানুষজন। মন্দির বাজারের প্রার্থী দিলীপ জাটুয়াকে কোন ভাবেই মানতে চাইছে না স্থানীয় কর্মীরা। এইরকম খুব রয়েছে রায়দিঘির প্রার্থী শান্তনু বাপুলিকে নিয়ে। এরকম দফায় দফায় বিক্ষোভ স্বাভাবিকভাবে চিন্তার ভাঁজ রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের মাথায়। কেন্দ্রে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের বারংবার।

যেখানে গেরুয়া শিবিরের উচ্চপদস্থ নেতারা প্রকাশ্যে সবাই বলছেন ২০০ আসন দেখছেন তারা। তখন এই বিক্ষোভ কোন কিছু করেই চেপে রাখা যাচ্ছে না। এই অবস্থায় সোমবার গুহাটি গিয়েও মধ্য রাতের শহরে ফিরে আসেন অমিত শাহ। রাতভর ম্যারাথন বৈঠক চলে। এ রাজ্যের সংগঠন নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলেন শাহ।সাগর সরাসরি বৈঠকে উপস্থিত রাজ্যের তাদের জিজ্ঞাসা করেন, প্রার্থীপদ ঘোষণার পর কেন এই ক্ষোভ, তাহলে কি গঠনতন্ত্র মেনে স্থানীয় নেতৃত্ব কে প্রশ্ন করে প্রার্থী বাছাই হয়নি? তাছাড়া ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকতেই পারে তাই বলে সদরে কামান দাগা! সংগঠনের রাস কেন এত আলগা জানতে চান অমিত শাহ। লক্ষ্য মনে করিয়ে দিয়ে অংশ স্পষ্ট জানতে চান, ঠিক কোন সমস্যা তৈরি হচ্ছে প্রার্থী বাছাইয়ে। দ্রুত সমস্যা নিষ্পত্তির কথাও বলেন শাহ।

কিন্তু সেই কথায় কিছু যে কাজ হলোনা তার প্রমাণ মিলল এদিন সকালে। বলাই বাহুল্য এর থেকে বাড়তি ডিভিডেন্ট ঘরে তুলবে শাসক দল। দেখার বিজেপি কত তাড়াতাড়ি এই ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে পারে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন