সংযোগ বাড়াতে এবার পাড়ায় পাড়ায় ডিম ভাত কর্মসূচি তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে। নদীয়াতে কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে এই উদ্যোগ। পিকনিকের আদলে সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এই হবে এই কর্মসূচি। কারো বাড়ি থেকে আসবে চাল, কেউ দেবেন তেল নুন, কেউবা ডিম। পরিকল্পনা হবে এমনটাই। শুরু হচ্ছে আগামী ২১এ ফেব্রুয়ারি থেকে। সেইমতো প্রস্তুতি ও সারছে যুব তৃণমূল কংগ্রেস।
কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি জয়ন্ত সাহা ' বলেন,'জনসংযোগ ভালো করতেই আমাদের এই কর্মসূচি। একটা সময় এই ডিম ভাতে কত আনন্দ ছিল। এখন সেই জায়গায় এসেছে বিরিয়ানি।কিন্তু সেই আনন্দটা কোথাও হারিয়ে গিয়েছে। সেই জায়গা থেকেই আমরা পাড়ায় পাড়ায় ডিম্ভাত কর্মসূচি করতে নেমেছি। প্রথমে কৃষ্ণনগর লোকসভায় আটটি বিধানসভায় সমস্ত জায়গা, পরে নদীয়ার বাকি বিধানসভা গুলিতেও এই কর্মসূচি পালন করা হবে।'
শাসক দল তৃণমূল এ জনসভায় কর্মীদের জন্য ডিম ভাতের আয়োজন চেনা ছবি। ২০১৮ সালে ডিম ভাতের গায়ে রাজনৈতিক রঙ লাগে। ২১ সে সমাবেশের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ডিম ভাত। বিকৃত করে বলা হয়ে থাকে,'ডিম্ভাত'।২০১৮ সালে তৃণমূলের ছাত্র-যুব সম্মেলনে প্রতিনিধিদের ডিমের ঝোল ভাত খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে বিতর্কের পর মমতা বলেছিলেন,'১২ টাকায় ডিমের ঝোল ভাত খাওবো আমি। বাড়িতে লোক এলে তাকে কি খেতে দেবো না? সারাদিন সম্মেলন করবে লোক গুলো, আর কিছু খাবে না? দিনভর দেওয়া হচ্ছে তাতে কি হয়েছে?'
কিছুদিন আগে থেকে কলকাতা চালু হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পিত 'মায়ের রান্নাঘর'। মাত্র ৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে ডিম ভাতের থালি। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, কলকাতার ১৬ টি বরোতেই দুপুরে এই খাবারের জোগান দেবে পুরসভা। এরইমধ্যে নদীয়া জেলায় এই কর্মসূচি।এই জেলাতেই গ্রামীণ এলাকায় জনসংযোগ বাড়াতে মহিলা নেতৃত্ব ও এলাকার বাসিন্দাদের নিয়ে বনভোজনে মেতে উঠেছেন। কোথাও আবার গ্রামের মহিলাদের নিয়ে খেলা হচ্ছে।নদীয়া রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে এমনভাবে জনসংযোগ গড়ার চেষ্টা চালাতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলকে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে ঘর গোছাতে ময়দানে নেমেছে তৃণমূলের সমস্ত শাখা সংগঠন গুলি। তবে সভা-সমাবেশ বাদ দিয়ে দিন ভারতের এমন জনসংযোগ এই প্রথম।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন