Boss এর আবদার না রাখলে চাকরি থাকবে না। ইভেন্ট ম্যানেজার এর কথা না শুনলে কাজ জুটবে না। মূলত অর্থ উপার্জনের জন্যই তাদের ডাকে সাড়া দিতেন তাহমিনা নামের এই তরুণী। ফরমাল পোশাক অভদ্র চেহারার আড়ালে মনরঞ্জন করতেন বসের। তাহমিনার কদর ছিল বেশ। তাই বস থেকে বস এর বন্ধু এভাবে সেবাগ্রহীতার সংখ্যা বাড়তে থাকে তার। তারপর কোরোনা প্যানডেমিক এর সময় একপর্যায়ে চাকরিটা চলে যায় তার। অতঃপর বেছে নিতে হয় অন্য প্ল্যাটফর্ম। যেখানে তিনি স্বাধীন, এখন কথায় কথায় কামনার ঢেউ তোলেন। সেই সঙ্গে কথা বলে তার শরীর।
যেখানে তাহমিনা সহ রয়েছেন রাজধানী ঢাকার অসংখ্য তরুণী। রাতের লাল পরী।রাত গভীর হলে নিত্যনূতন সাজে নিজেকে প্রদর্শন করেন। আবেদনময়ী বাক্য, শারীরিক অঙ্গভঙ্গি তে সৃষ্টি করে তীব্র আকর্ষণ। দর্শকদের আকাঙ্ক্ষা পূরণে একধাপ এগিয়ে থাকেন তারা। প্রদর্শন করে শরীরের নানা অংশ। এর সবই কোটি ভার্চুয়াল মাধ্যমে। স্বল্পবসনা এসব তরুণীদের ফলোয়ারের সংখ্যা বিপুল। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একটি আইডিতে হাজির হন বহু ব্যবহারকারী। উদ্দাম নাচ গান থেকে শুরু করে ঘটে অনেক কিছুই। এই অনেক কিছুর শুরু এই ভার্চুয়াল লাইফ থেকেই। লাইফে দেওয়া হয় বিকাশ নাম্বার।টাকা পেলেই তবে ব্যক্তিগত ইমো বা হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার শেয়ার করেন তরুণী।রাত জেগে পুরুষদের মনোরঞ্জন করে কামিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। কথা হয়েছে এরকম কয়েকজন তরুণী ও তাদের ফলোয়ারদের সঙ্গে।
তাদের একজন তাহমিনা। খুব ভালো না হলেও নাচ ও গান করতে পারেন তিনি। রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর বাসিন্দা এই তরুণী গান করছেন বিভিন্ন মঞ্চে। কিন্তু গান করে যা আয় হতো তা দিয়ে সংসার চলত না তার। পরিবারে আছেন অসুস্থ মা, ছোট এক ভাই ও বোন। বাবাকে হারিয়ে মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে হাল ধরে সংসারে। তাহমিনা জানান,লেখাপড়া কম তাই ভালো চাকরির পিছনে উঠতে পারছিলেন না। মঞ্চে গান কইও ভালো কিছু উপার্জন হতো না। প্রতিটি ক্ষেত্রেই কাজের বিনিময় একান্তে সময় কাটানোর প্রস্তাব দেয়া হতো। রাজি না হলে কাজ বাতিল বা টাকার পরিমাণ কমে যেত।
রিসিপশনিস্ট পদে চাকরি করেছিলেন একটি কর্পোরেট হাউসে কিন্তু সেখানেও বিপত্তি বস বারবার ডেকে পাঠাতেন তাকে। কখনো বাসায়, আবার কখনো হটেলে। বাধ্য হয়েই ছেড়ে দিতে হয় সেই কাজ। তারপর রিসেপশনিস্ট পিএ।বসের সঙ্গে যেতে হয় দেশের বিভিন্ন স্থানে। এমনকি বেশ কয়েক দেশেও। স্লিম ফিগার ফর্সা সুন্দর মায়াবী চেহারা। বসের কাছে বেশ কদর। এবার বসের বন্ধুরা ভাগ বসাতে চান। আপত্তি জানান তাহমিনা। বিষয়টি নিয়ে বস রেগে জান। শেষ পর্যন্ত চাকরি চলে যায় তাহমিনার।
দুশ্চিন্তায় বেশ কিছুদিন ওই সময়ের এক বান্ধবীর মাধ্যমে খোঁজ পান বিগো লাইভের। লাইভ স্ট্রিমিং এর এই প্লাটফর্মে আইডি করে শুরু করেন যাত্রা।যেখানে ওয়েবসাইটটির ব্যবহারকারীরা সরাসরি তাদের ফলোয়ারদের সাথে ভিডিও স্ট্রিমিং এ কথা বলতে পারে। তাহমিন লাইভে জান এবং কথায় কথায় কামনার ঢেউ তলেন। লাইভে গিয়ে আগ্রহীদের কাছে দেন বিকাশ নাম্বার। দাবি করেন ঘন্টা প্রতি ৫,০০০।৩০ মিনিটে ৩'০০০। বিকাশে টাকা পেলেই দরজা খোলেন ইমুর। ইমুতে ভার্চুয়াল প্রশান্তি দেয় তার ফলোয়ারদের। বিনিময় উপার্জন করেন টাকা। এভাবেই রাতের পরী রাত জাগেন। শুধু তহমিনা না এমন অনেক নারী এভাবেই উপার্জনের পথ বেছে নিয়েছেন।
কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত জানান।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন