ব্রিকস এ অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর নেতারা বিশ্বের প্রেক্ষাপটে ব্রিকস এর সদস্য দেশ গুলির মধ্যে যোগাযোগ,সর্বোপরি করুণা মহামারীর সম্ভাব্য প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করবে বলে বিদেশ মন্ত্রকের তরফ জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া ব্যবসা, স্বাস্থ্য, শক্তি এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হবে।
বিদেশ মন্ত্রকের তরফ এ জানানো হয়েছে যে, এই সম্মেলনে বিশ্ব নিরাপত্তা শান্তি এবং উদ্ভাবনী বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হবে। ভার্চুয়ালি প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী এই বৈঠকে অংশ নেবেন। ব্রিকস সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের ৭৫ বছরপূর্তি এবং পুরনো মহামারীর মধ্যেই।
এনিয়ে ব্রিকসের সম্মেলন এর ভারতের তৃতীয় বার সভাপতিত্ব করার সুযোগ হতে চলেছে। এর আগে ২০১২ এবং ২০১৬ সালে ভারত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেছিল। আগামী ২০২১ এ ব্রিক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবে বলে বিদেশ মন্ত্রকের তরফ জানানো হয়েছে।
এদিকে এদিনের বৈঠকের পর ২১ ও ২২ শে নভেম্বর গ্রুপ অফ টোয়েন্টি-বা জি-টোয়েন্টি এর বৈঠক রয়েছে। যেখানে বিশ্বের কুড়িটি তাঁবুর দেশ সদস্য হিসেবে রয়েছে। যেখানে ভারত ও চীন এর সদস্য।এই বৈঠকের সময় ভারত এবং চীন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়তো করার সময় পাবে না, কিন্তু এই সম্মেলনে একই সময়ে দুইজনের উপস্থিতি কিছু সম্ভাবনা তৈরী করতে পারে সেটা মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
২০১৮ সালে ইউহানে বৈঠকে দুই রাষ্ট্রনেতার গভীর আলোচনা হয়েছিল। এমনকি ২০১৯ এ এস সি ও সামিটেও আলাদাভাবে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি ও জিনপিং। সেই সূত্রেই দুই দেশের প্রধানের মধ্য লাদাখ পরিস্থিতি নিয়ে কোনো প্রসঙ্গ উঠলেও উড়তে পারে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহলে একাংশ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন