দিল্লি স্পেশাল ছেলের ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ জানিয়েছে,গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে সোমবার রাত ১০ টা ১৫ মিনিট নাগাদ মিলেনিয়াম পার্ক ও সরাই কালের খানের কাছে ফাঁদ পাতা হয়। জানা যায় সেখানে দুই সন্দেহভাজন সন্ত্রাসবাদি গা-ঢাকা দিয়েছে। দুজনেই জম্মু এবং কাশ্মীর এর বাসিন্দা বলেও জানায় গিয়েছিল। দু'জনকেই সনাক্ত করা গেছে গিয়েছে। বারমুলা জেলার ২২ বছরের আব্দুল লতিফ মীর ও কুপওয়ালা জেলার কুড়ি বছরের মোঃ আশরাফ খাটানা।
দুই সন্দেহভাজন জঙ্গি কে গ্রেপ্তারের সঙ্গে সঙ্গে তাদের কাছ থেকে পাওয়া গেছিল দুটি semi-automatic পিস্তল এবং ১০ রাউন্ড গুলি।শুরু করেছে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে।
প্রসঙ্গত,অক্টোবরের গোড়াতেই বড় নাশকতার ছক ভেস্তে দিয়েছিল দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল,বিশেষ অভিযান চালিয়ে রাজধানীর রিং রোড থেকে চার কাশ্মীর জঙ্গি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মিলেছে আগ্নেয়াস্ত্র ও একশো কুড়ি রাউন্ড গুলি।পুলিশের দাবি রাজধানীতে বড় হামলার পরিকল্পনা করেই দিন কয়েক আগে তারা দিল্লিতে এসে আশ্রয় নেয়। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা ঘুরে হামলার ছক কষেছিল। এইচআর কট্টর জঙ্গির একজন ইসফাক মজিদ কোকা। কাশ্মীরে নিহত জঙ্গী বুরহান কোকার বড় দাদা। বুরহান কোকা ছিল আনসার গাজওয়াত উল হিন্দের প্রাক্তন প্রধান। জম্মু কাশ্মীরের আল-কায়েদার একটি শাখা হলো গাজওয়াত উল হিন্দ। বাকি তিন জনের নাম আলতাফ আহমেদ ডর, মুশতাক আহমদ গনি ও আকিব শফি। পুলিশের কর্তা জানান, সোর্সের খবরের ভিত্তিতে আইটি ও এর কাছে ফাঁদ পাতা হয়েছিল। রিংরোড ঐ চারজনকে একসাথে দেখতে পেয়ে পুলিশ পিছু নেয়। আর পুলিশের ধাওয়ায় পালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারে একটি গাছে ধাক্কা মারে গাড়িটি। এরপর জঙ্গিরা আর পালাতে পারেনি।
চলতি বছরের আগস্টে ও রাজধানীর বুকে বড়োসড়ো নাশকতার ছক ভেস্তে দেয় দিল্লি পুলিশ। তুমুল গুলির লড়াইয়ের পর আইডি বিস্ফোরকসহ এক আই এস আই এস জঙ্গীকে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। ধৃতের নাম আবু ইউসুফ খান বলে জানা গিয়েছে। ডেপুটি পুলিশ সুপার প্রমোদ সিংহ জানিয়েছেন, শুক্রবার গভীর রাতে ধৌলা কুঁয়া এবং করোল বাগ এর মাঝে রিচ রোডে পুলিশের সঙ্গে আবু ইউসুফ খানের গুলির লড়াই চলে এবং তার পরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন