Image-Pixabay

কবালপুর তরুণীকে খুন করে দেহ বস্তাবন্দি করে ফেলে দিয়ে যাওয়ার ঘটনায় শনিবার পর্যন্ত অধরা হয়েছিল অভিযুক্ত। তবে শেষ রক্ষা হয় তো হল না রবিবার ভোর রাতে এই খুনের কাণ্ডে এক দম্পতিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মিশন রোড ও ডক্টর সুধির বসু রোড এর কাছে মোঃ সাজিদ হোসেন ও তার স্ত্রী অঞ্জুম বেগমকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ।







এই খুনের কিনারা করতে একবালপুর থানা সহ লালবাজারের হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দা ও তদন্ত করছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রোহিত ও ইমরান নামে নিহত সভা খাতুন ওরফে নয়নার দুইটি পরিচিত যুবক, সাবার বান্ধবী সোমন ও তাঁর মা রেশমার এবং আরও দুই ‌যুবকের কাছ থেকে ওই রাতে তাদের অবস্থান জানার চেষ্টা চলছে। এদের মধ্যে কয়েকজন কে লালাবাজারে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দারা। আর তারই সূত্র ধরে সাজিদের নাম সামনে আসে।



পুলিশের সন্দেহ ছিল, তরুণী খুন এর পেছনে পরিচিতদের হাত আছে। আরে এ ব্যাপারে অনেকটাই নিশ্চিত ছিল পুলিশ। খুনের আগে স্বভাবতই শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল। তেমনি ইঙ্গিত মিলছে ময়নাতদন্তে। মিলছে নিগ্রহের প্রমাণও, সিগারেটের ছ্যাকা দেওয়া হয়েছিল তাকে।



জানা গিয়েছে, বুধবার রাত দশটার আগেই তার ফোনটি বন্ধ হয়ে যায়। আরে সেই সূত্র ধরে পুলিশের অনুমান যে দশটার আগেই খুন হয়েছে । পরে দেহটিকে বস্তাবন্দি করে ফেলে যাওয়া হয়। আর সন্ধ্যে সময় সাবা কোথায় ছিল তা ফোন লোকেশন ধরে জানার চেষ্টা করছে তদন্তকারীরা। অপরদিকে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের মোবাইলের তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শুক্রবার দিনভর জেরা করা হয় নয়নার পরিচিত দুই যুবক রোহিত ওরফে সাজিদ এবং ওয়াসিম বিল্ডার ওরফে ইমরান কে। ইমরান বুধবার সন্ধ্যায় সাবাকে ফোন করে বলে জানা গিয়েছে। যেহেতু সাবা বান্ধবীর বাড়িতে থাকতেন সেখান থেকে তিনি বেরিয়ে যান। অপরদিকে রোহিতের বাড়ির সামনে মেলে বস্তাবন্দি বডিটি। রোহিত পুলিশকে খবর দিয়েছিলেন। এমনকি দেহটি উদ্ধারের সময় রোহিত ইমরান দুজনেই হাজির ছিলেন। শুধু তাই নয় তরুনীর পরিচয়ও তারাই পুলিশকে জানায়। রোহিতের সঙ্গে সাবর ঘনিষ্ঠতা ছিল বলে খবর‌। ময়নাতদন্তের হাতি সিগারেটের ছ্যাঁকা চিহ্ন মিলেছে। খুন করার আগে যে তাকে নির্যাতন করা হয়েছে তা বুঝতে আর কোন সমস্যা নেই। শারীরিক সম্পর্কের ইঙ্গিত মিলেছে, যদিও তা বলপূর্বক করা হয়েছে কিনা এখন স্পষ্ট হয়নি। গোটা ঘটনা টা নিয়ে এখনো কিছুটা দ্বন্দ্বে তদন্তকারীরা। তবে ঠিক কি কারণে স্বামীকে খুন করা হতে পারে, তা এখনও পরিষ্কার নয় পুরোপুরি। সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে নাকি অন্য কারনে, জানার চেষ্টা করছে তদন্তকারীরা। ওই তরুণী মাদক ব্যবসার পাশাপাশি উশৃঙ্খল জীবনযাপনের বিষয়ক জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সেদিকটাও গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন