বৃ
হস্পতিবার সাতসকালেই এক তরুনীর বস্তাবন্দি উত্তর খাস কলকাতায়।চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে  এগবালপুর থানা এলাকায় এম এম আলী রোডে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে সকালে কাগজ করতে গিয়ে একজন খেয়াল করেন একটি ভারী সিমেন্টের বস্তা। সন্দেহ হয় তিনি কয়েকজনকে সেটি দেখান। বস্তার মুখ খুলতেই সকলি হকচকিয়ে যান‌। এক তরুনর মৃতদেহ দেখতে পেয়েই এলাকার মানুষজন খবর দেয় একবালপুর থানায়। পুলিশ এসে বিউটি উদ্ধার করে ময়না তদন্ত পাঠায়।





পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে ওই তরুনীর নাম শাবা খাতুন ওয়াটগঞ্জ দিদিমার কাছে থাকতো সে।যদিও বেশ কিছুদিন ধরে রেশমা নামে এক বান্ধবীর সঙ্গে থাকতে শুরু করেছিলেন সাবা। জানা গিয়েছে রেশমা মাদকাসক্ত। স্থানীয়দের দাবি, যে রেশমার বাড়িতে বিভিন্ন বয়সের ছেলেরা আসা-যাওয়া করতেন। সেখানে ড্রাগের আসল বসতো। পুলিশ রেশমাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, রেশমা জানিয়েছে, সবার সঙ্গে এক যুবকের ঘনিষ্ঠতা ছিল। বুধবার সন্ধ্যায় ফোনে তার সঙ্গে বাদানুবাদ হয় সবার। আর তারপর ঘর থেকে বেরিয়ে যায় সাবা। বৃহস্পতিবার সকালেই মিলেছে তার বস্তাবন্দি দেহটি।




পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতের  গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সবার মোবাইল ফোনটি নিখোঁজ এবং সেটি বন্ধ। সাভার মোবাইল ফোনের হদিশ এখনো পায়নি পুলিশ।তন্তু কারীদের ধারণা এই মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করতে পারলেই খুনের রহস্য ভেদ করা যাবে।তবে পুলিশের চিন্তায় ঘুরপাক খাচ্ছে কে বা কারা এই ব্যস্ত রাস্তায় বস্তাবন্দি দেহটি ফেলে গেল ‌। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান প্রণয়ন ঘটিত কারণ বা ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে খুন হতে পারে সাবা খাতুন। ইতিমধ্যেই বডি টি ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এলাকায় সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে পাশাপাশি সবার ঘনিষ্ঠ বন্ধুর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন