বাংলায় ডিসাইডিং ফ্যাক্টর হয়ে উঠবে বামেরা!
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় মূল লড়াই হবে তৃনমূল বনাম বিজেপির । সেখানে বাম বা কংগ্রেস এবার লড়বে অস্তিত্ব রক্ষা করতে। যদিও বাম-কংগ্রেস উভয়ই দাবি করছে, তারা এবার প্রবল প্রতাপে ফিরে আপবে। বাংলায় তারাই এবার ডিসাইডিং ফ্যাক্টর হয়ে উঠবে। বাম-কংগ্রেস জোট করে লড়বে ধরে নিয়ে রাজনৈতিক মহলের একাংশও এ ব্যাপারে আশাবাদী।
বামেরা ভেঙে বিজেপির দিকে চলে গিয়েছে!
রাজনৈতিক মহল মনে করছে,২০১৯ দেখিয়ে দিয়েছে রাজ্যে বামেরা ভেঙে বাজেপির দিকে চলে গিয়েছে। ফলে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত হয়েছে লোকসভা নির্বাচনে। এক লাফে বেড়ে ১২ থেকে বেড়ে ৪০ শতাংশ পৌঁছে গিয়েছে বিজেপি। আর বামেরা কমে ২৯ থেএক ১০-১১য় আসে। বামিরা শূন্য হয়ে গিয়েছে লোকসভা আসনে। আর বিজেপি ২ থেকে ১৮ হয়ে গিয়েছে।
এদিকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের আসন সংখ্যা ২৪ থেকে কমে ২২ হলেও, তাদের ভোট কিন্তু কমেনি ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে তারা ৪৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে। সে নিরিখে বলা যায় সিপিএম বা বামেদের ভোট ঢুকেছে বিজেপির বাক্সে। এই অবস্থায় ভাবে বামেরা প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠলে তো সেই ভোট ফিরে আসবে। তাহলে ক্ষতি হবে বিজেপিরই।
আবার পক্ষান্তরে বলা যায়। ২০১১ সালে যখন বাংলায় পরিবর্তন হলো। তখন সিপিএমের একটা অংশের ভোট
টি তো তৃণমূলের বাক্সে গেছিল। ১০বছরের ইনকামবেন্সির এর ফলে সেই ভোট ফের নামাজের দিকে ফিরে যাচ্ছে না তো, তাহলে কিন্তু ক্ষতি তৃণমূলের। আবার বিপরীতমুখী চোরাস্রোতে ও রয়েছে। কারন তৃণমূল ও বিজেপি দুই পার্টি ভাঙছে।
পারস্পারিক এই দলবদল এর মধ্যে একটা বিষয় সিপিএম বাপ আমাদের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হচ্ছে, তাহলো ভিতরে ভিতরে বাম বা কংগ্রেস শক্তিশালী হচ্ছে। থেকে ইনকামবেন্সি ফ্যাক্টর রয়েছে, তারপর করোনা কালে পরিযায়ী শ্রমিক অসন্তোষ ও কাজ করছে। আমফানের সময় দ্বারে দ্বারে ছুটে গিয়েছে বামেরা, তার সুফল ও মিলবে বলে বিশ্বাসী তারা। এখন দেখার এটাই যে,বামেরা ভোট বাড়িয়ে বাংলায় প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠার খেলায় কাকে পিছনে ফেলে দেয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন