শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়লো, তার বিকল্প পূরণ করার মতো কিছু থাকবেনা তৃণমূলের হাতে। তাব বি লক্ষণ জানেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানেন তৃণমূল নেতাকর্মীরাও। তারপর শুভেন্দু দল ছাড়লেন একা ছাড়বেন না, তার সঙ্গে তৃনমূলের একটি বড় অংশ বেরিয়ে যাবে তৃণমূল থেকে। তা স্বত্তেও রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক বিতর্কিত বার্তা দিলেন।
শুভেন্দু অধিকারী একাধারে দক্ষ সংগঠক লড়াকু নেতা,অন্যদিকে তিনি একজন জনপ্রিয় এবং জনদরদী নেতা হিসেবে পরিচিত। তার অভাব পূরণ করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়বে ২০২১ এ। আর এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু তৃণমূল ছাড়লে, তা হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বড় ধাক্কা।তার পরও তৃণমূল নেতারা তা না বুঝে দলের বিপদ বাড়াচ্ছেন। আর বিজেপি বিজয়ী হবার পথকে সুগম করে দিচ্ছেন।
তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয়নেতৃত্বে তরফে যখন শুভেন্দুর কাছে প্রতিনিয়ত ইঙ্গিতবাহী বার্তা পাঠানো হচ্ছে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি এড়াতে। এরই মধ্য রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি এমন কিছু কথা বলে বসলেন, জানিয়ে তৃণমূলের অন্দ্রে বিতর্ক সৃষ্টি করলো। তার এলাকাতেই কালীপুজোর উদ্বোধনী গিয়ে শুভেন্দুুু যে বার্তা দিয়েছেন তার প্রত্যুত্তরে অখিল গিরির অস্বস্তি বাড়িয়েছেন।
অখিল গিরির বলেন, দলীয় পতাকা ছাড়া এসব চলতে পারে না। শুভেন্দু অধিকারী কে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। উনি যেন নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন, তা না হলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কেউই দলের ঊর্ধ্বে নয়, মমতার ছবি থাকবে না তা হতে পারে না
এখন প্রশ্ন উঠছে, দলের বিপদ যা তৈরি হয়েছে, তার মেটানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তারপর তো অগ্নিগিরি এই সাতদিনের সময়সীমা বেঁধে দিলেন কেন? তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে! কার নির্দেশে তিনি এই বার্তা দিলেন? তার এই স্পর্ধাই বা হয় কি করে! প্রশ্ন উঠছে, যদি সুভেন্দু এবার তো দিতেই হয়, তবে অখিল গিরি কেন,দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী বার্তা দিতে পারতে
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন