Image-PTI

স্ত্রবিরতি লংঘন করে হামলা চালানোর পরে তিনি 'অভিযোগের রাজনীতি' শুরু করল পাকিস্তান। ইসলামাবাদের সরাসরি অভিযোগ, সন্ত্রাসবাদের মদত দিচ্ছে নয়াদিল্লি। পাকিস্তানি সন্ত্র ছড়ানোর কাজে ব্যবহার হচ্ছে ভারতের মাটি। নয়াদিল্লির লক্ষ্য একটাই, পাকিস্তানের সঙ্গে চীনের সু-সম্পর্ক নষ্ট করা।এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য প্রমাণ নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের শরণ নেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি। ভারতে এখনো পর্যন্ত এই অভিযোগের কোনো জবাব দেয়নি। তবে সীমান্তে শুক্রবারের পাক হামলা নিয়ে যথেষ্ট কড়া অবস্থান নিয়েছে কেন্দ্র।ইতিমধ্যেই তলব করা হয়েছে পাক রাষ্ট্রদূত কে। তার হাতে এই ঘটনার বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ পেশ করা হয়েছে।



শনিবার বিকেলে ইসলামাবাদে একটি সাংবাদিক বৈঠক ডাকে পাক প্রশাসন। তাঁতি করেছি এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সেনা মুখপাত্র মেজর জেনারেল বাবর ইফতিকার। সেখানে অভিযোগ তোলা হয় যে ভারতের গুপ্তচর রা আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তান সীমান্তে হামলা চালানোর ছক কষছে। শুধু তাই নয়, পাক বিদেশ মন্ত্রীর  সোজাসুজি অভিযোগ,ভারত নিজের মাটিকে বেহার করতে দিচ্ছে পাকিস্তান বিরোধী সন্ত্রাস ছড়ানোর কাজে। তিনি আর বলেন,  প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে পাকিস্তানের উপরে হামলার পরিকল্পনা করছে ভারত।



আর এই অভিযোগটি সত্যি তা প্রমাণ করার জন্য অসংখ্য তথ্য-প্রমাণ পাকিস্তানের হাতে রয়েছে বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন কুরেশি। এগুলি নিয়ে তারা রাষ্ট্রপুঞ্জের দ্বারস্থ হবেন। পাক বিদেশ মন্ত্রী কোথায়, আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তার দাবি আমাদের কাছে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ রয়েছে। যা আন্তর্জাতিক মহলে কাছে ডিসিয়ারের এর আকারে তুলে দেওয়া হবে।



তারা যে মিথ্যে বা ফাঁকা আওয়াজ দিচ্ছে না, তার প্রমাণ হিসেবে বাবর ইফতিকার কিছু ছবি দেখান। ছবিতে দেখা যাচ্ছে জালালাবাদে ভারতীয় দূতাবাসে কিছু লোক হানাদারের প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। তিনি একটি অডিও ক্লিপও দেন যেটাতে ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থার অফিসারের সঙ্গে একজন বালুচিস্তানের একজন সন্ত্রাসবাদের কথোপকথন রয়েছে। বাবরের আরও অভিযোগ, তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান জামাত উল আজহার ,  বালুচ লিবারেশন আর্মির মত নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদি সংগঠন কে সাহায্য করছে ভারত। ভারতের লক্ষ্য একটাই। চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের চেয়ে সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে যেনতেন প্রকারে তা নষ্ট করা।


সেনা সূত্রে খবর,ভারতীয় সেনার পাল্টা হামলায় শুক্রবার রাত পর্যন্ত ১১ জন পাকসেনা প্রাণ গিয়েছে। আহত ১৬ জন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ও উড়িষ্যার এ হামলা চালিয়ে এরকম পাল্টা আক্রমণের মুখে পড়তে হবে, তা সম্ভবত বুঝতে পারেনি পাকিস্তান সেনা। তাই তারা নিয়ন্ত্রণ রেখার বেশ কিছুটা ভেতরে চলে এসেছিল। আর তাতে তাদের ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে। সংকট বাড়ছে দেখি আসরে নামে ইসলামাবাদ। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে উদ্বিগ্ন ইসলামাবাদ পাকিস্তান ভারতের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত কে তলব করেছে। তারা পাল্টা দাবি করে, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সেনা আর ভারত সেই অভিযোগ মানতে চায়নি। বিদেশ মন্ত্রকের যুগ্ম-সচিব পি এ আই জিপি সিং পাক হাই কমিশনের কাছে শুক্রবার যুদ্ধবিরতির তীব্র নিন্দা করেছেন, এই ঘটনার দায় চাপিয়ে নয়াদিল্লিকে সংযত হওয়ার বার্তা দিতে পারে ইসলামাবাদ। আর ঠিক সেটাই সত্যি প্রমাণিত হলো কুরেশির সাংবাদিক বৈঠকের পর।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন