বহুদিন ধরে চায়না এবং পাকিস্তানের সম্পর্কে এমন মোড় আসবে যখন চায়না দাবি করবে যে তাদের নাগরিকদের সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে না, তাদের নাগরিকরা বিপদের মুখে। আর সেজন্য চায়না নিজেদের আর্মি আনতে চায় পাকিস্তানে‌। পাকিস্তানের যে সব বড় বড় শহর আছে সেখানে চায়নিজ আর্মির আউটপোস্ট থাকবে। এই সংবাদ এখন বড় বড় মিড়িয়া হাউস রিপোর্টিং করছে। অবাক হবেন না আসছে এক বছরের মধ্যে চাইনিজ মিলিটারি পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় দেখতে পান তাদের ছোট আউটপোস্টে। সম্প্রতি CNN News-18 এ রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে, যেখানে লেখা আছে ' Islamabad in Tight Spot as China Demands Military Outposts in Pakistan' । Tight spot কথার অর্থ হলো এই ব্যপারটি নিয়ে ইসলামাবাদ কে নির্নয় নেওয়া বা কোন সিদ্ধান্তে আসা খুব কঠিন হবে।  কেননা চায়না দাবি তুলেছে এরা মিলিটারি আউটপোস্ট বানাবে পাকিস্তানে। এখন ইসলামাবাদ Tight Spot এ কেন আছে? কারণ ইমরান খানের অধিনে পাকিস্তান USA কে জানিয়েছে, আমরা আপনাকে মিলিটারি বেজ দেবনা। শুধু তাই নয়, USA এ ব্যাপারে পাকিস্তানকে কখনই কিছু প্রস্তাব দেয় নি। কিন্তু ইমরান খান বারংবার এই কথাটি আওড়াতে থাকেছে। এখন এটাই দেখার ইসলামাবাদ কিভাবে চায়নাকে আউটপোস্ট দিয়ে দেবে? একদিকে বলা হচ্ছে আমেরিকার মিলিটারি বেজ এবং চায়নার মিলিটারি আউটপোস্ট দুটির মধ্যে তাফাত কি? এ জন্য ভারতের কি কি সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে, কি কি প্রভাব পড়তে পারে ভারতের উপর ? 


চায়নার যে দাবি এই মিলিটারি আউটপোস্ট নিয়ে , হতে পারে তখনই তারা করেছে যখন শাহবাজ শরীফ কল করছে চায়নার প্রধানকে । এনারা বলতে পারেন যে আমরা সুরক্ষিত মনে করছিনা পাকিস্তানে । আমরা ইতিমধ্যে কিছু শিক্ষককে চায়নায় নিয়ে এসেছি। আর এই শিক্ষকরা ছিলেন চায়নার সরকারি পে-রোলে। আর ভবিষ্যতে যদি এই পরিকল্পনা থাকে যে চায়নার 50 লাক্ষ নাগরিক পাকিস্তানে  বসবাস করবে। আর এই প্লান যদি বাস্তবায়ন করতে হয় তবে দরকার চাইনিজ আউটপোস্ট। আসলে চাইনিজ রা কি করবেন, পাকিস্তানের ভিতরেই কিছু পকেট বানিয়ে দেবেন জায়গাগুলিকে যেখানে কোন পাকিস্তানি নাগরিক প্রবেশ করতে পারবেন না। চাইনিজ মিলিটারি নিয়ন্ত্রণ করবে পূর ক্ষেত্রগুলি। বেশিরভাগ চাইনিজ নাগরিক যারা কাজ করবে পাকিস্তানের মাটিতে। তারাই থাকবেন চাইনিজ এই মিলিটারির রক্ষন বেক্ষনে। 


এটি হওয়া কোথানা কোথা থেকে যুক্তিযুক্ত ও বটে। এখানে যে শব্দটির ব্যবহার হয়েছে Outpost খুবই বুদ্ধমত্তার সাথে ব্যবহার করেছে চায়না। কোথাও এটা উল্লেখ করে নি যে তারা  মিলিটারি বেজ বানাবে। কেননা মিলিটারি বেজ শুনেই আম-জনতার কান খাড়া হয়ে যায়। Outpost শুনে এটাই মাথায় আসে যে হয়তো কোন লাইট হাউস হবে টাওয়ারের মতো যেখানে সৈনিক উপরে বন্দুক নিয়ে‌ বসে থাকবে। পাকিস্তানি জনতার এ নিয়ে কোন রকম মাথাব্যথা নেই । তবে এটা সত্যি যদি আপনি Outpost এর সংজ্ঞা পড়েন তবে আউটপোস্ট একটি ছোট মিলিটারি পোস্টি হয়। ধরুন অনেক সময় বহু  মিলিটারি বেজ  বানান হয়েছে কোম বাজেটে ছোট বানানো হয়েছে, সেগুলিকেও আউটপোস্ট বলা হয়।

 

 


 

এখানে দেখতে পাচ্ছেন একটি আমেরিকান আউটপোস্ট যেগুলি বানান‌ হয়েছিল আফ্রিকা, আফগানিস্তানে মতো জায়গায়।তো‌ চায়নার পরিকল্পনা মূলত এটাই হবে । যে এ লোক একটি বড় অংশ পাকিস্তানের সেখনে কলনি তৈরী করে দেবে । যেখানে চাইনিজ নাগরিক থাকবে। আর ওই কলনির আসে পাসে এমন থোট ছোট আউটপোস্ট থাকবে কেননা কখনো এই কলনির উপর কোন রকম আক্রমন না হয়ে যায়।এই চায়না এই আউটপোস্ট পাকিস্তানের মাটিতেই বানাবে।


USA এর আর্মি জেনারেন অন রেকর্ড বলেছেন, যে পিপল রিপাবলিকান চায়না আফ্রিকার যে আউটপোস্ট আছে, যেটি থ্রেট পোস্ট করে আটলান্টিক তথা ইউনাইটেড স্টেড আমেরিকা। আফ্রিকার দেশগুলি চায়না থেকে যে চড়া সুদে ধার নিয়েছে যার জন্য করের বোঝায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে তার কারনে চায়না এই সব দেশগুলিকে চায়না প্রস্তাব দিচ্ছে মিলিটারি আউটপোস্ট বানানর জন্য এবং তার ফলে কিছুটা ঋণের বোঝা হলকা করবে চায়না। সেসব ছোট ছোট আউটপোস্টের মধ্যে যাতায়াতের সড়ক থাকবে যেন খুব তাড়াতাড়ি তার একজায়গায় জড়ো হতে পারে। তবে চায়না এখানে ব্যবহার করছে না মিলিটারি বেজ এর কথা । যার জন্য কোন রকম বিভ্রান্তি না সৃষ্টি হয় যে স্বাধীন রাষ্ট্রে কেন চায়না মিলিটারি বেজ করছে।

আরও পড়ুন: iPhone কেন এত দামী হয় ? Apple সমন্ধে এইসব তথ্য আপনি জানেন না!

সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে যে চায়না কিছু আউটপোস্ট বানবো ইউনিভার্সিটির ভিতরে বাহিরে যেখানে আমাদের লোক থাকবে। তাছাড়া আমাদের সেখানে আউটপোস্ট বানাতে হবে যেখানে আমেরিকার সৈনিকরা থাকতো। শুধু তাই নয় ঠান্ডাযুদ্ধের সময় USA সৈনিকরা থাকতো ওখানেও আমাদের আউটপোস্ট চাই। কেননা চায়না মনে করে আমেরিকার হস্তক্ষেপ কোথাও না কোথাও রয়েছে। আমেরিকার সিক্রিরেট সার্ভিস এখনো সক্রিয়। পাকিস্তানের দিক থেকে দেখলে দেখবেন যে বর্তমানে যে সরকার আছে শাহবাজ শরীফ চায়নাকে অনুমতি দেবে। কেননা যতদুর দেখা যাচ্ছে এনার যে বিদেশনীতি পরিচালনা খুবই নিরপেক্ষ ইনি চায়না এবং আমেরিকা দুজনের সাথে সমান সম্পর্ক রেখে চলতে চান। ইমরান খানের তরফ থেকে হতে পারে চায়না অনুমতি পেয়ে যায় যখন ইমরান খান আবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে আসবে।


ইমরান খান যত বারই বলেন না কেন, আমি আমেরিকার বিপক্ষে নয়। তবে অনরেকর্ড এতবার আমেরিকার উপর আঙুল তুলেছে যে আমেরিকা পাকিস্তানেকে গুলাম বানতে চায়।আমরা গুলাম হব না আমেরিকার। যার জন্য আমেরিকা বেশি কথা বাড়বে না পাকিস্তানের সাথে। যার জন্য পাকিস্তানের সম্পূর্ণ নির্ভর করতে হবে চায়নার উপর। আর এই চাপের মুখে পড়ে হতে পারে চায়না আউটপোস্ট বানানোর ছাড়পত্র পেয়ে যায়। এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে এর প্রভাব লক্ষ্য করতে পারবেন। এর এই বড় মাথাব্যথার কারণ হতে পরে ইন্ডিয়ার জন্য। কেননা মনে রাখবেন‌ যেমনটা আগে বলা হয়েছে আউটপোস্ট যতগুলিই বানান না কেন অথবা দুই চারটি মিলিটারি বেজ বানিয়ে দেও সেনা কিন্তু আসবে সম পরিমানে সেখানে আর পরিকাঠাম ততটুকুই হবে। এটা আলাদা যদি পাকিস্তান এটা বলে চায়নাকে মানিয়ে নেয় যে 3 থেকে 4 টা আউটপোস্ট থাকবে বেশি হলে 5 থেকে 6টা এর বেশি নয়। আর তারপরো যদি বহু আউটপোস্ট বানায় চায়না ততে ভরতের মাথাব্যথা বেশ বাড়বে আমাদের ওয়েস্টার্ন বর্ডারে চাইনিজ সেনা থাকবে।


3 দিন আগে একটি আর্টিকেল প্রকাশ হয় যে ইন্ডিয়া তাদের 6 টি ডিভিশন সরিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান থেকে চায়নার দিকে। ধিরে ধিরে দেখবেন আমরা চাইনিজ বর্ডারের উপর বেশি নজর দারি করছি। একটি ডিভিশনে থাকে 15,000 সৈনিক । যার অর্থ হল বহু সেনা এখন চায়না বর্ডারে মতায়ন করা হয়েছে। পাকিস্তানের বড় বড় শহর যেমন ইসলামাবাদ, রাহুলপিন্ডি যেগুলি ইন্ডিয়া বর্ডারের কাছে। চাইনিজ সেনা যদি এখানে আউটপোস্ট বানিয়ে বসে যায়। তাহলে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। 


আর মনে হয় না চায়নার তার নাগরিকদের নিয়ে কোন মাথাব্যথা আছে। এরা নিজেরাই এদের‌ নাগরিকদের হত্যা করে। বিগত একবছরে চায়না নাগরিক মরেছে পাকিস্তানে প্রায় 20 জন। যেটা নিয়ে চায়না চিন্তা যাহির করেছে যার ফল সরূপ চায়না আউটপোস্ট বানানোর বাহানা পেয়ে যাবে।

আরও পড়ুন: লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে আপনি দিক হারাতে পারেন, এই ঘটনাটি শেখাবে আপনার জীবনের মানে!

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন