চ্ছা আপনি কি পর্ন দেখেন? হয়তো দেখেন? না না আমি আপনাকে জার্জ করছি না। আচ্ছা বলুন তো একজন পর্নস্টারের প্রতি আপনার কি ধারনা? আচ্ছা বাদ দিন আপনি এটা বলুন যে একজন মহিলা পর্নস্টারকে দেখলে আপনার কি মনে হয়? তাদেরকে খুব সস্তা সহজলভ্য হলে মনে হয়। তাহলে আজ একটা গল্প বলি চলুন।


সুদূর মুম্বাই থেকে উড়ে আসা খ্যাতনামা এবং সম্ভ্রান্ত সেই অভিনেত্রী সামনে সেদিন বছর দুয়েকের বাচ্চাটাকে আনতে চাননি অনাথ আশ্রম কর্তৃপক্ষ। কেননা বিগত দু বছরে অনাথ আশ্রম দত্তক নিতে আসা পরিবারদের মধ্যে প্রায় 12 টি দম্পতি ওই বাচ্চাটাকে দত্তক নিতে রাজি হননি। কারণ, কারণ বছরের কন্যা শিশুর গায়ের শ্যামলা রং এবং তার শারীরিক অসুস্থতা। দত্তক নিতে আসা বাকি দম্পতিদের সাথেই সেদিন লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন সেই অভিনেত্রী তার স্বামী। নিজেদের পরিচিতির কারণে কোনো রকম অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা তারা নিতে চাননি।

 


শিশুদের ঘরে ঢুকতেই প্রথমে তাদের চোখে পড়ে ঘরের কোণে হাতে একটা আদছেঁড়া পুতুল নিয়ে খেলায় মত্ত এক ছোট্ট রাজকণ্যা রুপোর। গায়ে আধময়লা সাদা একটা ফ্রক, চুল বাঁধা ঝুঁটি করে। অভিনেত্রী টি আলতো করে খোলে তুলে নেন মেয়েটিকে। ব্যাগ থেকে বার করে আনেন নিজের রুমাল এবং অতি সযত্নে মুছে দিতে থাকেন তার কপালের ঘাম.


 আরও পড়ুন:Special Ops 1.5 - রিভিউ, হিম্মত সিং সেখান থেকে উদ্ধার করতে গিয়ে সেই ফাঁদ দেখতে পেলেন!

নিজের হাতে তাকে খাইয়ে দিতে থাকেন সঙ্গে করে নিয়ে আসা খাবার। বারোটি পরিবার ফিরিয়ে দেবার সেই শ্যামলা বর্নের অনাথ কন্যা শিশুটি আজ ভারতবর্ষের অন্যতম ধনী দম্পতির প্রথম সন্তান রূপে পরিচিত। অনাথ আশ্রমের 10/10 কামরা পেরিয়ে আজ তার জীবন জুড়ে রয়েছে বহুতল বিলাসবহুল বাংলো। উন্নত মানের জীবনধারা হাজারো সুখ স্বাচ্ছন্দ এবং একজোড়া দায়িত্ববান মা-বাবা। কন্যা শিশুটির নাম নিশা কর ওয়েবার।  আর তার  মায়ের নাম করনজিং কর ওরফে সানি লিওনি। হ্যাঁ সেই একদা পর্নস্টার হিসেবে বিখ্যাত সানি লিওনি, হ্যাঁ সেই সানি লিওনি যে পন দুনিয়া থেকে বেরিয়ে এসে যখন বলিউডে নিজের জায়গা তৈরি করতে চেয়েছিলেন তখন তার কপালে প্রডিউসারের কুপ্রস্তাব ছাড়া আর কিছুই জুটেনি। আসলে পর্নস্টার কিনা তাই খুব সহজলভ্য.

 

এমনটাই ভাবনা ছিল অধিকাংশ লোকদের কিন্তু এই জাতীয় সমস্ত কুপ্রস্তাব কে দূরে ঠেলে দিয়ে ক্রমাগত লড়াই করে আজ তিনি বলিউডের সুপ্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী। জায়গা করে নিয়েছেন শাহরুখ খান জন আব্রাহামের মত স্টারদের সিনেমায়। অথচ আজও সমাজের বেশ কিছু মানুষের কাছে তার পূর্বতন পেশার কারণে তিনি হাসি এবং অসম্মানের খোরাক। আজও সমাজের বহু মানুষ তাকে অনায়াসেই বেশ্যা বলতেও দ্বিধা বোধ করেন না। কিন্তু সেই সানি লিওনি নিজের আয়ের প্রায় 20 শতাংশ ব্যয় করে দেন বহু অনাথ আশ্রম আর ক্যান্সার হসপিটালের জন্য মুম্বাইয়ের বহু পথশিশু তাকে মা বলে ডাকে। বহু অসহায় বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের দুবেলার খোরাক জোগায় তিনি। জীবনের বিভিন্ন সময়ে যৌন হেনস্থার শিকার হওয়া প্রায় 300 এরও বেশী মেয়ের পড়াশোনার সামগ্রিক খরচ চালানোর পাশাপাশি মুম্বাইয়ের বিভিন্ন হাসপাতালে প্রায় 50 টিরও বেশি ক্যান্সার বেডের গোটা বছরের সমস্ত খরচ বহন করেন তিনি।

 


আজকের পুরুষতান্ত্রিক সমাজে সানি লিওনি হলেন সেই মহিলা যিনি আজ অব্দি হয়তো নিজের জীবনের প্রত্যেকটা সিদ্ধান্ত নিজে নিয়েছেন। তা সে ক্যারিয়ার সম্পর্কিত হোক কিংবা ভবিষ্যৎ। আজ পর্নস্টার সানি লিওনিকে ছাপিয়ে গেছে স্ত্রী, মা একজন প্রতিষ্ঠিত নারী কারেনজিং কৌর ভোহরা। যিনি বারংবার নিজের কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন। শিরদাঁড়া সোজা রেখে লড়াই করলে যেকোন অসম্মান অপমান সমস্যাকে ছাপিয়ে যাওয়া যায় ভালো থাকুন সানি।

Cradit -UltiMad Media(SujoyNeel)

আরও পড়ুন:Red Notice রিভিউ, ডোয়াইন জনসন-গাল গ্যাডট-রায়ান রেনল্ডস ফিল্ম অতিরিক্ত প্রতিশ্রুতি এবং কম বিতরণ

 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন