ভারতে OTT এর দুনিয়াকে স্পেশাল বানানোন জন্য চার পাঁচ শো আছে যাকে আপনি ভুলতে পারবেন না । আর তার মধ্যে সব থেকে বেস্ট Special Ops 1.5 কথা না বলা হয় তবে অসম্পূর্ণ থেকে যায়।
একটি ক্ষমতাসম্পন্ন ওয়েবসিরিজ ইন্ডিয়ান শো যেখানে আতঙ্কবাদীর মতো সামাজিক সমস্যার গালে সপাটে চড় মারে। তাছাড়া বলিউডের সব থেকে আন্ডাররেটেড অভিনেতা কে কে মেনন এর দেখা পাওয়া ভারতীয় দর্শকদের কত বড় পাওনা এই কথা মনে পড়িয়ে দেয় । Special ops এ হিম্মত সিং কে , আর তিনি কি কি করতে পারেন তা সবাইয়ের জানা সিজেন ওয়ান দেখার পর । কিন্তু হিম্মত সিং, হিম্মত সিং হলো কি করে , সে ঘটনাও বেশ মজাদার যেটাকে হাইলাইট করে স্পেশল ওপস 1.5 হিসাবে আত্মপ্রকাশ হয়েছে।
কাহিনী এখান থেকে শুরু যখন বড় বড় ইন্ডিয়ান অফিসার মধুচক্রের শিকার হয়ে যায় । মনে একটি সুন্দর মহিলা তার সুন্দরি রুপের জালে ফাঁসিয়ে তাদের কাছে থেকে গোপন তথ্য চুরি করে নিয়ে যেতে থাকে । শুধু এখানেই থেমে থাকে না সেই অফিসার শেষমেষ আর প্রানেই বাঁচে না । দেশ পাল্টে যাচ্ছে কেস এর উপর কেস পড়ছে কিন্তু কিন্তু তাদের মৃত্যু অস্বাভাবিক ভাবে হতে থাকে । ব্ল্যাকমেল বা সুইসাইড দুটোই হতে পারে । যার জন্য বাড়তে বাড়তে আগুন আতোটাই ছড়িয়ে যায় যে সব থেকে কাবিল অফিসারকে ডাকতেই হয়।
আর তারপর হিম্মত সিং কে কেসের দ্বায়িত্ব দেওয়া হয় এই অফিসারদের মৃত্যু বন্ধ করতে এবং আর চুরি হওয়া তথ্য ছড়িয়ে পড়তে না দেওয়া এনার মিসন হয়ে যায় । কিছু সময় পর একটি চেহেরা সামনে আসে । যার কাছে এই কেস সম্বন্ধে সব তথ্য ছিল । আর সব থেকে ভালো বেপার হলো হিম্মত সিং এর এই ব্যক্তির সাথে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। ওয়েবসিরিজটি বানানো হয়েছে খুবই সুপার ফাস্ট স্টাইলে শুধু মাত্র 4 এপিসোডেই শেষ করে দেওয়া হয়েছে। চোঁখ বন্ধ হওয়ারও টাইম পাওয়া যায় না এখানো চোঁখ বন্ধ হলে ওখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্য হারাতে হবে ।
কাহানি টি আরও মাজাদার বানায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র যারা আগের সিজিনে ছিলেন না এই বার চলে এসেছেন। সাধারণ ভাবে যেখানে ভিলেন ক্যাটাগরির আছে যেটাই তেজ চিন্তাশক্তি ছাড়াও সুন্দর দেখতে মেয়েদের ব্যবহার করা হয়েছে। আর এটি এই সিরিজের দর্শকদের আকর্ষন আরো বাড়িয়ে তোলে । সবথেকে মজাদার ব্যাপার হলো প্রত্যেকটি এপিসডে হিম্মত সিং এর ব্যাপারে আলাদা আলাদা ঘটনা জানতে পারবেন। যার অর্থ হলো সিরিজ একটি কিন্তু কহিনি ভিন্নভিন্ন যাকে খুবই চমৎকার ভাবে উপস্থাপনা করা হয়েছে । আর পরিস্কার ভাবে একে অপরের সাথে এমন ভাবে জোড়া হয়েছে যেটার কারনে আসল ঘটনার উপর কোন রকম প্রভাব পড়ে নি।
নিরাজ পান্ডে এত চালাক ডিরেক্টর যে কখন আপনার চিন্তাশক্তির সাথে খেলা করে জাবেন আপনি বুঝতেও পারবেননা। এমন লুকানো সত্য সামনে আসে যেটা সিজেন ওয়ান এ আমল দেওয়া হয় নি। আর আমরা দর্শক রুপে সেই ব্যাপারটা লক্ষই করিনি ।
আর ভিলেনের আসল চরিত্র আদিল খান এই অভিনেতার আওয়াজি যথেষ্ট কোন ব্যাক্তির রাতে ঘুম শান্তি কেড়ে নেওয়ার জন্য । কে কে মেননের সামনে দাঁড়ানো তা ও আবার এমন আত্মবিশ্বাসের সাথে যে হিরো ভিলেনের থেকে কোম দেখতে লাগে । এ সবার দ্বারা সম্ভব না অভিনয় এমন হওয়া দরকার মানুষের মন ভয়ের উদ্বেগ হয়।
তবে এত কিছু ভালোর পরে খারাতো থাকবেই । সেটাও জলদি পড়ে নিন। এই সিজেনকে, সিজেন ওয়ান এর সাথে তুলনা কখনই করবেননা। ওখানে লম্বালম্বা এপিসোড ছিল যেখানে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে উপস্থাপনা করা হয়েছে সম্পূর্ন কাহিনী দেখানো হয়েছিল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। কিন্তূ Specila Ops 1.5 ডিটেলিং এর দিক থেকে খুবই দু্র্বল। পুরো ঘটনাটিকে উপর উপর দেখিয়ে বাঁকি ব্যাপার দর্শকদের উপর ছেড়ে দেওয়া হয় । একটি সমস্যা এও আছে যে এই সিজেনে কথা বেশি আছে তবে একশন কিছুটা কম। লম্বা লম্বা কথোপকথনের ডায়লগ আছে তবে একশন নামে চার পাঁচ জায়গায় গোলির দৃশ্য দেখতে পাবেন। আরে হ্যাঁ এনার নাম করাই হইনি যে স্পেশাল Ops 1.5 কে স্পেশাল বানিয়েছে ।
কে কে মেননি আসল চরিত্র যে হিম্মত সিংকে রিয়েল চরিত্র বানাতে এতটুকু জয়গা ছাড়েন নি। একতো হলো এনার ট্রাসফরমেশন ব্যকে গিয়ে যুবক হওয়া একই মনোভাব এবং একই শক্তি যে কোন অভিনেতার পক্ষে এটি খুবই কঠিন কাজ তবে কেকে মেননের পক্ষে ব্রেড এর উপর বাটারের মতো এই সিজেনকে আরও টেস্টি বানিয়ে দিয়েছে । সে যে দৃশ্যই হোকনা কেন মজার, আবেগপ্রবণ,চিন্তা, বা ভয় কে কে মেননের(Kay Kay Menon) কাছে বাঁ হাতের খেলা। এক এক সেকেন্ডে ইনি দশ দশ এক্সপ্রেশন পরিবর্তন করেন। আমি দেখলাম Special Ops 1.5 কে আমার তরফ থেকে 5 এ 4 star. আপনি কতো দেবেন। কমেন্ট বক্সে জানান ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন