Today News ডেস্ক: কথায় বলে, 'শালী আধা ঘরওয়ালি' কিন্তু সে যে পুরো গৃহিণী হয়ে যান সেটা হয়তো আপনি দেখেনি অর্থাৎ খুলে বললে এই দাঁড়ায় স্ত্রীর সাথে শালীকেও বিয়ের সুযোগ মেলে। তাও আবার একই দিনে একই মঞ্চে দুই পরিবারের উপস্থিতি দুই বোনের গলায় মালা দিয়ে চমকে দিয়েছেন কর্ণাটক এর এক যুবক। তবে মনের সুখে দুই বোনের সঙ্গে সংসার করার সাধ পূর্ণ হলো না তার। বড় তার আগেই নিয়ম ভাঙার অপরাধে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
কর্ণাটকের বাসিন্দা সুপ্রিয়া এবং ললিতা। সম্পর্কে তারা তুতো বোন। বিয়ে ঠিক হয় দুজনের অবশ্য তার কারণ একটা আছে। গত ৭ ই মে কর্নাটকের কুরন্ডুমালে মন্দিরে দুজনের বিয়ে হয়। তবে মজার বিষয় দুজনের স্বামী একজন ব্যক্তি। পরিবারের সকলের উপস্থিতিতে সামাজিক নিয়ম-নীতি মেনে নিতে হয় পাত্র উমাপতির সঙ্গে। তবে কেন এমনটি হলে?
সাধারণত গল্প বা সিনেমায় এই ধরনের ঘটনা দেখা যায়। দুই বোন একে অপরকে ছেড়ে থাকতে পারবে না বলে কি পিকনিকে বিয়ে করেন। কিন্তু বাস্তবে কেন এমনটা হল? সেই গল্পটা শুনিয়েছেন উমাপতি স্বয়ং। তিনি জানান, বিয়ে করতে চেয়ে সুপ্রিয়া কে প্রপোজ করেছিলাম। আমার প্রস্তাবে রাজি হলেও এক মারাত্মক শর্ত রেখেছিল সুপ্রিয়া। কি সেই শর্ত? সুপ্রিয়া কি একা নয়, বিয়ে করতে হবে তার খুড়তুতো বোন ললিতাকেও।
আরও পড়ুন:প্রেমিকের সঙ্গে পাশের ঘরে স্ত্রী, শীৎকারে ঘুম ভাঙলো স্বামীর!
পরিবার সূত্রে খবর, জন্ম থেকে কথা বলতে পারেনা ললিতা। এই ত্রুটির জন্য তার বিয়ে হচ্ছিল না। টাইম অবধি বিয়ের প্রস্তাব দিল সুপ্রিয়া তার বোনকে বিয়ে করতে বলে। দুই পরিবারের সম্মতিতেই বিয়ে সম্পন্ন হয়। তবে হিন্দু ধর্ম মতে একটির অধিক বিয়ে করা সম্ভব নয়। আর যদি বিয়ে করতে হয় তাহলে আগে বিয়ে করায় স্ত্রীকে প্রথমে ডিভোর্স দিতে হয়। বিয়ের ভিডিও ভাইরাল (viral) হতেই পুলিশ উমাপতিকে তাকে গ্রেফতার করে।
তবে দেশে এ ধরনের ঘটনা প্রথম নয়। ২০১৯ সালে মধ্যপ্রদেশে এক ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে পুনর্বিবাহ করেন। পাশাপাশি ওই অনুষ্ঠানে নিজের শালির গলাতেও পড়িয়েছিলেন বরমাল্য। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলো পর কর্ণাটকে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন