Today News ডেস্ক: পরকীয়া সম্পর্কে সাক্ষী হওয়ার ফলে ভয়াবহ বিপদের মুখে পড়তে হলো এক ব্যক্তিকে। ঘটনা চাপা দিতে শরীরী প্রলোভন দেখানো হয়েছিল তাকে। কিন্তু তিনি তাতে রাজি না হওয়ায় তার পুরুষাঙ্গ কেটে নিল এক মহিলা! বিহারের মোজাফফরপুর এর বিষ্ণুপুর গ্রামে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটে। আক্রান্ত হরেন্দ্র মাঝি নামের ওই ব্যক্তি এই মুহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।



ঠিক কি হয়েছিল? তদন্তকারী পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, গ্রামবাসীদের কথায়, একটি মাঠের মধ্যে অভিযুক্ত ৩২ বছরের পাবিত্রি ও পাপ্পু ভগৎ নামের এক ব্যক্তি আপত্তিকর অবস্থায় ছিল। সেই অবস্থায় তাদের দেখে ফেলেন ৪০ বছর বয়সী হরেন্দ্র। এরপর পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তাকে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করে এই মহিলা। কিন্তু তিনি রাজি না হওয়ায় হঠাৎই ঘাস কাটা ধারালো কাচি দিয়ে  তার পুরুষাঙ্গে কোপ মারে সে।

 
মাঝির স্ত্রী পাস্পাতি পুলিশকে অভিযোগ দায়ের করেছেন পাবিত্রি ও পাপ্পু দুজনের নামেই। পুলিশ পাবিত্রিকে গ্রেপ্তার করলেও পাপ্পু পলাতক। তদন্তে নেমে পুলিশ আরো জেনেছে পাবিত্রির একসময় বিয়ে হলেও সে স্বামীবিচ্ছিন্না। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বহু পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তার। তেমনি একজন পাপ্পু। সেদিন মাঠে প্রাসঙ্গিক ঘনিষ্ঠ অবস্থায় ছিল পাবিত্রি। আর তখনই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় হরেন্দ্র।


আজ যার পরেই এই অবস্থা। ঘটনার পরেই দ্রুত তিনি নিকটবর্তী একটি হাসপাতালে চলে যান। কিন্তু তার পরিস্থিতি দেখে তাকে দ্রুত পার্টনার এক হাসপাতালে যাওয়ার নির্দেশ দেয় ওই হাসপাতাল। পুলিশ জানিয়েছে, পার্টনার হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে হরেন্দ্র পুরুষাঙ্গ জুড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তবুও প্রচুর রক্তক্ষরণের ফলে তার অবস্থা এখনও বেশ আশঙ্কাজনক।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন