Today News ডেস্ক: আবারো নেপালের প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত বসতে চলেছেন 'চিনপন্থী'কেপি শর্মা ওলি। আস্থা ভোটে হারিয়েও ক্ষমতাচ্যুত করা গেল না তাকে। রাস্ট্রপতির দেওয়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিরোধী দলগুলি সরকার গঠনের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারল না। তাই নেপালি সংবিধানের ৭৬(৩) ধারা অনুযায়ী আবারো কেপি শর্মা ওলি প্রধানমন্ত্রী পদে বসছেন। শুক্রবারে শীতল নিবাসে রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভান্ডারী শপথবাক্য পাঠ করাবেন কেপি শর্মা অলি কে (KP Sharma Oli)।
সম্প্রতি সাংসদের আস্থা ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি(KP Sharma Oli)। তারপর থেকে নেপালে (Nepal) তুঙ্গে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। পরবর্তী সরকার গড়া নিয়ে গুটি সাজায়ছি লোক বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এনো পরিস্থিতিতে নতুন সরকার গড়তে বৃহস্পতিবার রাত ৯ টা পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভান্ডারী (Bidya Devi Bhandari)। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন নেপালি কংগ্রেস নেতা শের বাহাদুর দেউবা(Sher Bahadur Deuba)। কিন্তু নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা :প্রচন্ড'ওরফে পুষ্পকমল দহলের(Pushpa Kamal Dahal) সমর্থন পেলেও জনতা সমাজবাদী পার্টির সমর্থন পেতে ব্যর্থ হন তিনি। হোলির সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে সরকার গঠনের দাবি জানাতে যেতে পারেনি নেপাল কংগ্রেস। আর তাই আস্থাভোটে হেরেও ফের মসনদে সেই ওলি। রাত নটার পর নেপালের প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় যেহেতু দুই বা ততোধিক দল জোট সরকার গঠনের দাবি জানায়নি, তাই একক বৃহত্তম দল হিসেবে সরকার গড়বে কেপি শর্মা ওলির দল।
প্রসঙ্গত, নেপাল কংগ্রেস ৬১ এবং প্রচন্ডের দলের ৪৯ জন সদস্য রয়েছে। তবে এদের সম্মলিত ১০১ টি আসন, সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পক্ষে যথেষ্ট নয়। ২৭৫ আসন বিশিষ্ট নেপালি সংসদে বর্তমানে ২৭১ জন সদস্য রয়েছে। এই আবহে ম্যাজিক ফিগার হল ১৩৬। তবে ওলির সমর্থনে রয়েছেন ১২১ জন সদস্য। এই আবহে মাধব নেপালের ২৮ সদস্যের প্রয়োজন হবে ওলির। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অলি এবং মাধব বৈঠকেও বসেন। তবে সমস্যা এখনই মিটছে না। আগামী ৩০দিনের মধ্যে ফের আস্থা ভোট হবে নেপালে। সেখানে ফের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে ওলিকে। ব্যর্থ হলে নেপালের সংবিধানের ৭৬(৫) ধারায় সরকার গঠনের চেষ্টা করা হবে। আর এই দুটি পদ্ধতি কাজে না এলে ভারতের প্রতিবেশী দেশ থেকে ফের একবার সাধারণ নির্বাচনের সম্মুখীন হতে হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন