‘Thousand Grains of Sand’--- চিনের আন্তর্জাতিক গুপ্তচর বৃত্তির এটাই টেকনিক। আমাদের বা পুরনো অন্যান্য গুপ্তচর সংস্থার কর্ম পদ্ধতির সাথে এর মুল তফাৎ হল আমরা প্রশিক্ষিত স্পাই দের মাধ্যমে সলিড ইন্টেল বের করি , এতে ব্যাপার টা অরগানাইজড আর পার্ফেক্ট থাকে।

টারগেটেড ইনফো পাওা যায়। আর চিনের গুপ্তচর সংস্থা মুলত সাধারণ মানুষ যেমন এমপ্লয়ার, ব্যবসায়ী, ছাত্র এমনকি ট্যুরিস্ট দের মাধ্যমে ছোট্ট ছোট্ট তথ্য সংগ্রহ করে যার individual price হয়ত বেশি না।

কিন্তু এই তথ্য গুলো সাজালে অনেক প্যাটার্ন লক্ষ্য করা যায়, বা এই ইন্টেল গুলো ইতিমধ্যেই জানা খবরের সাথে তুলনা করলেও সাধারণ তথ্য থেকে অনেক অসাধারন টিপ বেরিয়ে আসে, আর এরা সেটাই করে।

এতে সুবিধে হল;

১। খরচা কম

২। বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার ্প্রয়োজন/ খরচা নেই

৩। অফিশিয়ালি গুপ্তচর হিসেবে রিক্রুট না করলেও চলে , অনেকটা ফ্রী ল্যান্সিং এর মতো

আফগানিস্তানে সাম্প্রতিক কালে একটা ‘spy ring’ ধরা পড়েছে যার অংশীদার রা সকলেই সাধারণ চিনা নাগরিক। অথচ এই সাধারণ নেট ওয়র্ক টির হাত ছিল আফগান তালিবান থেকে হাক্কানি নেটওয়ার্ক অব্দি, আর এদের ‘contact point’ ছিল একটা সাধারণ রেস্টুর‍্যান্ট। 

বর্তমানে চিনের হয়ে গুপ্তচর বৃত্তি তে নিয়োজিত হল চিনের অফিশিয়াল নিউজ এজেন্সি Xinhua (শিনহুয়া)।

http://www.xinhuanet.com/english/

বলা হয় শিনহুয়া নাকি চিনের গুপ্তচর সংস্থা এম এস এস এর ‘চোখ ও কান’।

এদের প্রায় ২০ টা নিউজপেপার আর ডজন খানেক ম্যাগাজিন আছে ৮ টা ভাষায় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে ১০৭ টি রাষ্ট্রে যাদের সব মিলিয়ে এমপ্লয়ির সংখ্যা অন্তত ১০,০০০। 
 
ফলে দেখতে গেলে এই টেকনিক টা নতুন হলেও বেশ ভালো ফল দেয়। কিছু অসুবিধেও আছে,

১। প্রশিক্ষণের অভাবে গুপ্তচর দের ধরা পড়া সোজা

২। এরা প্রফেশনাল নয়

৩। ডেটা থেকে অপ্রয়োজনীয় বা ‘noise’ ছেঁকে বের করা সময়সাপেক্ষ।

৪। All of it makes it vulnerable for the whole network to be exposed easily. একজন ধরা পড়লে জেরার মুখে সহজেই ভেঙ্গে পড়ে কারন এরা প্রশিক্ষিত স্পাই নয়, সাধারণ মানুষ।

তা সত্ত্বেও ইদানিং  এই গুপ্তচর দের অত্যাচার ভালোই বেড়েছে আর যত বেশি এদের modus operandi এর ব্যাপারে এওারনেস বাড়বে, এই ছিদ্র গুলো ইনফিল্ট্রেট করা ততই আমাদের পক্ষে সোজা হবে।
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
আপনার মূল্যবান মতামত জানান কমেন্ট বক্সে। 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন