এবার আইপিএলে বাংলাদেশের এই বাঁহাতি অলরাউন্ডারের ভিত্তিমূল্য ছিল সর্বোচ্চ ২ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার চেন্নাইতে নিলামের দ্বিতীয় সেটেই তোলা হয় তার নাম। ভিত্তিমূল্য শুরুতে তাকে পেতে বিড করে বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের মালিকাধীন কলকাতা। খানিক পর ২ কোটি ২০ লক্ষ ডাক তোলে পাঞ্জাব। কলকাতা সাকিবকে দলে নিতে মরিয়া। তারাও দাম বাড়ায়। ২০ লক্ষ বাড়িয়ে বাড়িয়ে চলতে থাকে নিলাম। তবে ৩ কোটি রুপি পর্যন্ত দাম তুলে হাল ছেড়ে দেয় বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিন্টা দল পাঞ্জাব। ৩ কোট ২০ লক্ষ্য রুপিতে তাই ফের শাকিবের ঠিকানা কলকাতা।
কলকাতার ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে সর্বোচ্চ ৬ টি ম্যাচ খেলেছেন শাকিব। এরপর তার ঠিকানা হয় সানরাইজার হায়দ্রাবাদ। সেখানে তিনি ছিলেন ২টি সিরিজে। তবে জুয়াড়ির সঙ্গে আলাপের তথ্য গোপন করে নিষিদ্ধ থাকায় এই ক্রিকেটার খেলতে পারেননি সবশেষ ম্যাচটি। ফলে তাকে ছেড়ে দেয় সানরাইজার্স।২০০৯ সালে প্রথম আইপিএলের নিলামে নিজের নাম উঠেছিলেন সাকিব। সেবার কোন ফ্র্যাঞ্চাইজি আগ্রহী হয়নি তার ব্যাপারে। ২০১১ আসরে প্রথম তাকে ৪ লাখ ২৫ হাজার ডলারে দলে নেয় কলকাতা। কলকাতার হয়ে ৭ টি সিরিজ এ ৬ টি ম্যাচ খেলেন। অবশ্য এবার তিনি চোটের কারণে খেলেননি। এরপর ২০১৮ সালে ২ কোটি রুপিতে তাকি নিয়েছিল সানরাইজার্স।
আইপিএলের সব মিলিয়ে ৬৩টি ম্যাচে ২১.৩১ ঘরে শাকিবের সংগ্রহ ৭৪৬ রান এবং ২৮.০০ গড়ে সে ৫৯ টি উইকেট পেয়েছেন। নিলামে বাংলাদেশী ক্রিকেটারদের মধ্যে দল পাওয়ার দৌড়ে বরাবরই এগিয়ে থাকেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই তারকা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন