পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন যজ্ঞে শামিল হয়ে দিলীপ ঘোষ ও নাকি স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড করেছেন বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। মঙ্গলকোটে দলীয় সভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অনুব্রত বলেন, 'উপায় নেই বুঝেই মমতার কাছে আত্মসমর্পণ করলেন দিলীপ ঘোষ। উনি এবং ওর পরিবার আজকে স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড এর আওতায়।' এরপরই তার বক্তব্য, 'উপায় নেই বুঝে গিয়েছে। দেখছে যে দলটা তো এবার উঠে যাবে। তাই আগে ভাগেই সারেন্ডার করি।'যদিও অনুব্রত ভুল তথ্য দিচ্ছেন বলে সরব হয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাদের দাবি, দীলিপবাবু স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে নাম নথিভূক্ত করেননি। কিন্তু বাস্তব বলছে,বিজেপির রাজ্য সভাপতি নিজে কাজ না নিলেও তার ভাইয়ের স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ঝারগ্রাম এর গোপীবল্লভপুর এর কুলিয়ানা গ্রামে স্বাস্থ্যসাথীর ক্যাম্পে হাজির হয়ে কার্ড করিয়েছেন। বিষয়টা নিয়ে বিরম্বনায় বাড়ছে গেরুয়া শিবিরে। এবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ নিজে জানালেন, তিনি স্বাস্থ্যসাথী বিরোধী নন, সুযোগ পেলে তিনি ও কার্ড করাবেন।
গোপীবল্লভপুর এর খুলবে না গ্রামে থাকেন দিলীপ ঘোষের মা ভাই সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। শুধু তাই নয়,দিলীপ ঘোষের ভাই হীরক ঘোষ সেখানকার বিজেপির মন্ডল সভাপতি ও।তাই মুখেই বারবার সমালোচনা শোনা গিয়েছে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের।কিন্তু গ্রামের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের ক্যাম্পে গিয়ে সেই হিরো ঘোষের স্ত্রীসহ পরিবারের একাধিক সদস্যরা কার্ড করিয়েছেন। আর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই চরম সমস্যায় পড়ে পড়ে গেছেন গেরুয়া শিবির। যদিও দিলীপ ঘোষের ভাইয়ের দাবি, তার পরিবারের সদস্যরা যে ওখানে যাবেন, এটা তিনি জানতেন না, কারণ তিনি গ্রামে ছিলেন না।
তবে তাতে বিড়াম্বনা একটুও কমেনি গেরুয়া শিবিরে। এবার তাই এগিয়ে আসতে হয়েছে দিলীপ ঘোষকে। আর তিনি বলেন, 'আমি স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর বিরোধিতা করছিনা। কিন্তু আমি এই লুটেরা সরকারের প্রতারণার বিরোধী। সরকারের সমালোচনা আমি করবই। কিন্তু স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করার সুযোগ পেলে আমিও করবো।'তাহলে এত অভিযোগ কেন বিজেপির? দিলিপের কটাক্ষ,'স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড পেলেন, তবে হাসপাতালে চিকিৎসার কোনো সুযোগ পেলেন না, তখন কি হবে?ওই কার্ড মাথায় নিয়ে শুলে জ্বর, শরীর খারাপ ঠিক হয়ে যাবে তো?'
রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু অবশ্য বলেন, 'আমার জানা নেই দিলীপ ঘোষের বাড়ির কেউ স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড নিয়েছেন কিনা। তবে এটা বলতে পারি স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর থেকে আয়ুষ্মান ভারত এর কার্ডে কার্যকারিতা অনেক বেশি। কিন্তু বাংলায় যে সুবিধা নেই।অনুব্রত মণ্ডল আয়ুষ্মান ভারত এর সুবিধা পেতে চাইলে প্রতিবেশী রাজ্য ঝারখন্ড চলে যেতে পারেন।'
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন