শেষ হয়নি বছর। কিন্তু করোনা কালে খাস কলকাতায় প্রায় ৪৫০ জন আত্মঘাতী হয়েছে।সরকারিভাবে এখনো আত্মহত্যার খতিয়ান প্রকাশ হয়নি অবশ্য। কিন্তু কেন্দ্রীয় সংস্থা ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো দেশে প্রতিবছর যে আত্মহত্যার ক্ষতির প্রকাশ করে,তার ২০১৯ এ রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে গত বছর কলকাতায় আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছিল ১৮১ টি। এবছর মার্চ থেকে নভেম্বর এই নয় মাসে আত্মহত্যার সংখ্যা আড়াই গুণ হয়ে গিয়েছে।সারাবছর পরিসংখ্যান কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা এখনও বলা মুশকিল।
লালবাজার সূত্রের খবর,চলতি বছরের এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত যে প্রায় 450 জন আত্মঘাতী হয়েছেন,তাদের মধ্যে প্রায় 200 জনের বয়স 21 বছর থেকে 40 বছরের মধ্যে এবং বাকিদের মধ্যে একটা বড় অংশের বয় 41 থেকে 60। তাছাড়া কিছুসংখ্যক কিশোর-কিশোরীর রয়েছে এর তালিকায়। আত্মঘাতী এদের মধ্যে বড় অংশই পুরুষ, প্রায় 300 জন।গত বছরের শেষে লালবাজার এর তরফ থেকে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে যারা আত্মহত্যা করেছেন, তাদের একটা খতিয়ান তৈরি করার কাজ চলছিল। তারা কি কারণে আত্মহত্যা করেছেন। তাদের মধ্যে একই ধরনের কোনো কারণ রয়েছে কিনা তা সমীক্ষা করা হচ্ছে। সেই পরীক্ষা চলাকালীন এবার মার্চ থেকে শুরু হয়ে যায় করোনা পর্ব, দেশজুড়ে লকডাউন।
এরপর আনলক পর্ব শুরু হলেও এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি কোন কিছুই। করোনা কালে আজহারী অথবা অন্য নানা কারণে মানসিক অবসাদ অনেক গুণ বাড়বে বলে প্রথম থেকে আশঙ্কা করেছিলেন মনোবিদ এবং সমাজতত্ত্ববিদ রা। পুলিশ সূত্রে খবর,গত কয়েকমাসে এমনও অনেক দিন গিয়েছে যেদিন এক সঙ্গে পাঁচ-ছয়জন শহরের বিভিন্ন প্রান্তে আত্মঘাতী হয়েছেন।এদের মধ্যেও লকডাউন এ কাজ হারিয়ে বা ব্যবসায় মন্দার জেরে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। যেমন শুক্রবারে একটি ফার্মের একজন বয়স্ক একাউন্টেন্ট কাজ হারানোই মানসিক যন্ত্রণায় আত্মঘাতী হন যাদবপুরে।
তবে গোটা রাজ্যের সামগ্রিক ছবিটা কি তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন