নিবার সকালে ধুন্ধুমার কান্ড বেধে গেল আসানসোলের বারাবনিতে। গেরুয়া  পার্টির 'আর নয় অন্যায়' কর্মসূচি চলছিল। আর তারই মধ্যে বোমাবাজি শুরু হয়ে যায়। এমনকি গুলিও চলে। কালি চরন দাস নামে এক বিজেপি কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে। জখম হয়েছেন আরো চারজন। গুলিবিদ্ধ কালীচরণ কে দুর্গাপুর মিশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।অশান্তির দায় রাজ্য শাসকদলের উপর চাপিয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। যদিও টিএমসি নেতৃত্বে পাল্টা অভিযোগ, বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বের এই ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় কোনো ভাবেই তৃণমূল জড়িত নয়।




মন্ত্রি মলয় ঘটকের দাবি, 'বরাবনিতে বিজেপির চারটি গোষ্ঠী রয়েছে। প্রায় এদের ঝামেলা হয়। বরাবনির ঘটনা বিজেপির নিজস্ব গোষ্ঠী কোন্দলের ফলে হয়েছে।তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য "দুয়ারে সরকার"এই কর্মসূচির বিপুল সাড়া দেখে বিজেপি এই গন্ডগোল পাকাচ্ছে। সেখানে পাঁচটি বাইক পুড়েছে বলে সূত্রের খবর।


জানা গিয়েছে 'আর নয় অন্যায়' কর্মসূচির মেশিন চলছিল আসানসোলের বারাবনিতে। সেই মিছিল চলো একটু পরেই দুষ্কৃতীরা চালায় হামলা। আগুন ধরিয়ে দেয় এবং বাইক ভাঙচুর করে। লাঠি নিয়ে তেড়ে আসে । এমনকি কয়েকটি দোকানে আগুন লাগানো হয় বলে অভিযোগ।



বিজেপির স্থানীয় নেতা লক্ষণ ঘড়ুই জানান, মিছিল শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ বাড়ি বৌমার গুলির বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়।তিনি নিজেই 4 আহত বিজেপি সমর্থক কে গাড়ি করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে।




এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে জিতেন্দ্রনাথ তেওয়ারি অভিযোগের সুরে বলেন, 'বিজেপি দলের অনেক গুন্ডা ও দুষ্কৃতী ঢুকেছে। তারা যদি ইচ্ছে করে গন্ডগোল পাকায়, তার দায় তৃণমূলের নয়। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন 'এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের যুক্ত নয়। এটি সম্পূর্ণ বিজেপি গোষ্ঠী কোন্দল এর ফলে সৃষ্টি হয়েছে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন