PTI
রিপাবলিক টিভি এডিটর-ইন চিফ অর্ণব গোস্বামী অন্তর্বর্তী জামিন আবেদন খারিজ করে দিল বোম্বে হাইকোর্ট। শনিবার বিশ্বে শুনানির পর রায়দান স্থগিত রেখেছে বিচারপতি এসএস শিল্ডে এবং এম এস কার্নিক। সেই মামলার শুনানিতে সোমবার আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত।


এদিকে সুন্দরী অর্ণব গোস্বামী নিরাপত্তার অনুভব স্বাস্থ্য সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে মহারাষ্ট্র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের সঙ্গে কথা বলেন সে রাজ্যের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি। তিনি মন্ত্রী কে বলেন, অন্যদের সঙ্গে যেন তার পরিবারকে দেখা করতে দেওয়া হয়।

বিচারবিভাগীয় কাস্টডিতে থাকাকালীন ও মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছিলেন তিনি। সক্রিয় ছিলেন সোশ্যাল মিডিয়াতেও।বিষয়টি তদন্তকারীদের নজরে আসতে রিপাবলিক টিভির প্রথম সম্পাদক কে নবি মুম্বাইয়ের তালোজা ছেড়ে সরিয়ে দেয় রায়গড় পুলিশ। যে তালোজা জেলে ইসলামিক টেরোরিস্ট আবু সেলিম ছিল,যে ১৯৯৩ মুম্বাই ব্লাস্টট কেসের সাথে যুক্ত ছিল। 


ইন্টেরিয়র ডিজাইনার অন্বয় নায়েক ও তাঁর মায়ের আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলায় অভিযুক্ত অন্যকে গত বুধবার ওরলির বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়। আরিফ আগের মিউনিসিপাল স্কুলে বন্দীদের জন্য তৈরি একটি করেনটাইন সেন্টারে রাখা হয়েছিল অর্নবকে।


রায়গড় ক্রাইম ব্রাঞ্চে তদন্তকারী অফিসার জামিল শেখের কথায়, 'শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে আমরা বুঝতে পারি, অর্ণব গোস্বামী কারো মোবাইল ব্যাবহার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাক্টিভ হয়েছিলেন।অর্ণবের  ব্যক্তিগত মোবাইল আমরা গ্রেপ্তারের দিন বাজেয়াপ্ত করেছিলাম। মামলার তদন্তকারী অফিসার হিসেবে আমি আলিবাগের জেল সুপার কে চিঠি লিখি। কোয়ারেন্টাইন সেন্টার অন্য কিভাবে মোবাইল ব্যবহারের সুযোগ পেলেন, সে ব্যাপারে তদন্ত রিপোর্ট চেয়ে পাঠাই।সেইসঙ্গে রবিবার সকালে অন্যকে তালোজা জেলে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।



তালোজা জেলে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ ভ্যান থেকে চিৎকার করতে শোনা যায় অর্ণবকে। সেই ভিডিও সম্প্রচার করেছে রিপাবলিক টিভি। অন্যকে বলতে শোনা যায় "আমার জীবন বিপন্ন। আমাকে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না। আজ সকালে আমাকে ধাক্কা মেরে হেনস্থা করা হয়েছে। ওরা বলেছে, আমাকে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলার অনুমতি দেবে না। দয়া করে দেশের মানুষকে জানান, আমার জীবন বিপন্ন।"



তবে সাাংবাদিক মহলে  একটাই প্রশ্ন কিভাবে এরেস্ট করা হলো অর্ণব গোস্বামী কে। কারন‌  কোর্টে  যেখানে কেস রি-ওপেন করার জন্য কোন আবেদনই করা হয় নি, তাহলে  অর্ণবকে গ্রেফতার কিভাবে করা হলো? আর তাকে জামিন বা কেন দেওয়া হলো নাা? এটা আঙুল তুলছে কংগ্রেস তথা শিবসেনার সরকারের দিকে।
   

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন