আজ বলবো এমন একজন আমেরিকান লেবাননি অভিনেতা এবং মডেল বিষয়ে যিনি 2014 সাল থেকে পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে পর্ন অভিনেত্রী হিসাবে কাজ করতে শুরু করেন। আর মাত্র কিছু বছরেই একজন সফল অ্যাডাল্ট স্টার হয়ে গেলেন।যাকে সবাই মিয়া খালিফা নামে চেনেন।
আর আজ পড়বেন তার জীবনের সংঘর্ষে কথা। মিয়া খলিফার জন্ম 10 ই ফেব্রুয়ারি 1993 লেবাননের বেইরুটে হয় । মিয়া খালিফার আসল নাম সারা জো চামাও (Sarah Joe Chamoun) আর ওনার আর এক নাম মিয়া কেলেস্টার(Mia Callista) । মিয়ার নামের কারনে মনে হতে পারে মিয়া খালিফা একজন মুসলিম। আরও জেনে রাখুন মিয়ার পরিবার ক্যাথলিক আর মিয়া ছোট থেকেই এই ধর্ম অনুসরণ করে। কিন্তু আজ মিয়া কোন ধর্ম পালন করে না।
আর মিয়ার পড়াশোনা কথা বলতে গেলে । মিয়া ফ্রান্স প্রাইভেট স্কুল, BIERUT এ ভর্তি হয় ।আর যেখান থেকেই ইংলিশ বলতে ও লিখতে শেখে।আর তারপর জানুয়ারি 2001 এ যখন মিয়ার 7 বছর বয়েস তখন তার পুরো পরিবার আমেরিকার ম্যেরিল্যান্ড এর মন্টেগোমারি কান্টি তে চলে যায়। তবে ইস্কুলে পড়ার সময় কালো হওয়ার দরুন বাকি বাচ্চারা তার মজা উড়াত। আর এটা 9/11 অ্যাটাক এর পর আরও বেড়েযায় ।আর বাচ্ছারা তাকে আর বেশি বিরক্ত করতে থাকে । কিন্তু তা সত্ত্বেও Varginia শহরের Massanutten Military Academy তে যোগ দেন । আর সেই কোর্সটি শেষ করে মায়া টেক্সাস (Texas) শহরে চলে আসে । আর যেখানে The University of Texas থেকে ইতিহাসে Bachelor of arts ডিগ্রি অর্জন করেন। আর এখান থেকে স্নাতক উত্তীর্ণ হয় মিয়া মিয়ামির ফেলোডার শহরে চলে আসেন।
তবে মিয়া অ্যাডাল্ট ইন্ডাস্ট্রিতে যোগ দেওয়ার পূর্বে Whata Burger রেস্টুরেন্টে কাজ করেছেন। তাছাড়াও মডেলিং, বারটেন্ডার গার্ল, ডিল অর নো ডিল স্প্যানিশ গেম টিভি শোতে কাজ করেছেন। আর এসব কাজ করার সময় মিয়া খালিফার 2014 তে নিউড মডেলিং এর অফার আসে। আর যেটা মিয়া সম্মতি জানায়। আর কিছু মাস বাদেই অক্টোবর 2014 তে মিয়া খালিফা পর্ন ইন্ডাস্ট্রি তে যোগদান করে। আমি যখন মিয়াপর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে চোখ ভেবে ভেবে নিয়েছেন। তক্ষণ মিয়ার পরিবার তার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। কেননা আমি আর এই পদক্ষেপ তাদের কখনোই ভালো লাগেনি।
আরও পড়ুন:এমন দিন দেখেছি , সোনু সুদের জীবনী বিস্তারিত
তারপর ডিসেম্বরের 2014 এর কিছু পরে 1.5 মিলিয়ন ভিউ পেয়ে 22 বছরের মিয়া খালিফা পৃথিবীর সবথেকে বড় অ্যাডাল্ট ফিল্ম শেয়ারিং সাইট পর্নহাবে সবথেকে বেশি বার সার্চ হওয়া অভিনেত্রীর তালিকায় চলে আসে। তবে যখন মিয়া খলিফা এক নম্বর পদে উঠে আসে। তখন তার একটা বিতর্কিত অ্যাডাল্ট ভিডিও জন্য। ইরাক সহ বেশ কয়েকটি মুসলিম রাষ্ট্র থেকে হুমকি আসতে থাকে। কেননা এটা ওই জন্য হয়েছিল যে ওই ভিডিও মিয়া খলিফা হিজাব পরে পর্ন ভিডিওতে অভিনয় করেছিলেন। আর হিজাবকে মুসলিম রাষ্ট্রে পবিত্র হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। আর যার কারণে বেশ কিছুটা বিতর্ক দানা বাঁধে মুসলমান ধর্ম অবলম্বী দের মধ্যে।
জানুয়ারি 2015 তে Bang Bros এর সাথে একটি দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিতে সাইন করেন। কিন্তু সেখানে কিছু সপ্তাহ কাজ করার পর উনি রিসাইন করে দেয়। আর তারপর সর্বসমক্ষে শেষমেষ 2016 এর জানুয়ারিতে পর্ন ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন।
যদিও মিয়া খালিফা BBC এর একটি ইন্টারভিউতে বলেছেন, তিনি পর্ন ইন্ডাস্ট্রি তে 12টি ভিডিওর জন্য মাত্র $12,000 ইনকাম করেছেন। আর এই কথা কতটা সত্যি তা কতটা মিথ্যা একমাত্র মিয়াই জানে। তবে মিয়া খালিফা 2016 মে এ উনি Webcam Model শুরু করেন। আর উনি ওয়েব ক্যাম মডেল হিসেবে কাজ করতে থাকেন। আর তারপর মায়া প্যারালেগাল, হিসাবরক্ষক হিসাবে কাজ করতে থাকেন। তার সাথে ইউটিউব এবং টুইজ এ লাইভ স্ট্রিমিং করতে থাকেন। শুধু তাই নয় Patreon নামক ওয়েবসাইটে তার মার্চেন্ডাইজার আছে।
যদি কথা বলা যায় আমি মিয়াখালিফার রিলেশন স্ট্যাটাস নিয়ে। তবে মিয়া 18 বছর বয়সে 2011 তে আমেরিকান এক ব্যক্তির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু পাঁচ বছর পরে 2016 তে ইনাদের ড্রাইভর্স হয়ে যায়। আর তারপর মার্চের 2019 এ মিয়া খালিফা রবার্ট সেন্টওয়াক,যে লসএঞ্জেলেসে একটু সেফ এর কাজ করে। যার সাথে সে এঙ্গেজমেন্ট করে নেয়। আর তারপর মার্চ 2020 তে ইনাদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোন কারণবশত তা স্থগিত হয়ে যায়। তবে এরা দুজন খুব তাড়াতাড়ি বিয়ে করবে বলে সূত্রে খবর। আশা করি অনেক তথ্য দিতে পারলাম যদি আপনি কোন অজানা তথ্য জানেন তাহলে কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না।
 |
| Khalifa left the industry and is now engaged to Swedish chef Robert Sandberg. Credit: Instagram/Mia Khalifa |
আরও পড়ুন: জুনিয়ার এনটিআর নন্দামুরি হরিকৃষ্ণার দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান, সিনেমাকে হার মানাবে এনার পরিবার !
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন